পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য by এসএম আব্বাস
বইয়ের প্রচ্ছদ |
ভ্রমণ
কাহিনীতে সাধারণত গৎবাঁধা তথ্যের গতানুগতিক রূপ পাওয়া যায়। কোথায় গেলাম,
কী করলাম, কী খেলাম, থাকার জায়গাটা কেমন ইত্যাদি তথ্যের সন্নিবেশেই এ ধরনের
লেখার ভিত রচিত হয়ে থাকে। কিন্তু ‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’ গ্রন্থটি
চিরচেনা সেই কাঠামো ভেঙে বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে।
গ্রন্থটির লেখক জাকারিয়া মণ্ডল পেশায় সংবাদকর্মী। তিনি যতটা না সংবাদ সংগঠক, তার চেয়েও বেশি রিপোর্টিং মানসিকতা ধারণ করেন। ‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’ বইয়ে তাই রিপোর্টিং ও ফিচারের অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে।
পেশাগত প্রয়োজনে পারস্য উপসাগরের দ্বীপদেশ বাহরাইন, দক্ষিণ চীন সাগরের পশ্চিমপাড়ের মালয় উপদ্বীপ ও পূর্ব পাড়ের বোর্নিও দ্বীপ, হিমালয় কন্যা নেপাল এবং প্রতিবেশী ত্রিপুরার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন জাকারিয়া মণ্ডল। আয়েশি পর্যটকের আড়মোড়া ভেঙে হয়ে উঠেছেন পরিশ্রমী পরিব্রাজক। সরেজমিন অভিজ্ঞতার সঙ্গে কিংবদন্তি, ঐতিহ্য, ইতিহাস, সাহিত্য ও সভ্যতার গল্প মিশিয়ে নিজস্ব ঢঙে বুনেছেন ভ্রমণ সাহিত্য। ফাঁকে ফাঁকে বেদ, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত, মহাপুরাণ, উপপুরাণের আখ্যান ও উদ্ধৃতি বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’তে মোট ১২টি ভ্রমণ গল্প স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি মালয় উপদ্বীপের, চারটি ত্রিপুরার ও অবশিষ্ট তিনটি বোর্নিও, বাহরাইন ও নেপালের প্রেক্ষাপটে রচিত। প্রতিটি গল্পেই জ্বলজ্বল করছে অগণিত এক্সক্লুসিভ রিপোর্টের সম্ভাবনা। যেমন বাহরাইনের গল্পে মেসোপটেমীয় ও অ্যাসেরিয় সভ্যতার মিশেলে গড়ে ওঠা দিলমুন সভ্যতার প্রেক্ষাপট ও বিবর্তন, মালয়েশিয়ায় ভারতীয়দের অভিবাসন, বোর্নিওতে আত্মার উপাসক মুসলিম বাজাউ সম্প্রদায়, নেপালের স্বয়ম্ভু মন্দিরের বিবর্তন ও সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের ময়নামতি ও পাহাড়পুরের প্রতিচ্ছায়ায় ছাওয়া ত্রিপুরার পিলাক নগর নিয়ে নিঃসন্দেহে বড় বড় রিপোর্ট হতে পারে। রবীন্দ্রনাথের ভুবনেশ্বরী, মাতাবাড়ির ত্রিপুরেশ্বরী, কসবার কমলেশ্বরী নিয়েও দারুণ রিপোর্ট করা যায়।
চোখে দেখা বিবরণে কীভাবে তথ্যের সমাবেশ ঘটাতে হয় তার অনন্য নজির হয়ে উঠেছে ‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’ গ্রন্থটি। তবে অনেক বিষয়ে গবেষণালব্ধ অজানা বিষয়ের সমাবেশ ঘটালেও কিছু কিছু প্রসঙ্গ ইচ্ছে করেই অসমাপ্ত রেখে দিয়েছেন লেখক। এতে পাঠক মনের তৃষ্ণা আরও বেড়েছে নিঃসন্দেহে।
‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’ গ্রন্থে অনেক কঠিন বিষয়কে সহজ ছন্দে গেঁথেছেন লেখক। তার বিবরণ সাবলীলভাবে এগিয়ে চলে বাঁধ ভাঙা স্রোতস্বিনীর মতো। একবার পাঠের মধ্যে ঢুকে পড়লে মগ্ন হয়ে পড়তে হয়। বইয়ের পাতায় ফুটে উঠতে থাকে একের পর এক ভ্রমণ দৃশ্যের প্রাণবন্ত সব ছবি।
সব গল্পেই প্রাসঙ্গিক ও দুর্লভ আলোকচিত্রের উপস্থিতিতে বইটি আরও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। সহায়িকা হিসেবে ব্যবহার করা বিভিন্ন গ্রন্থ ও সূত্রের উদ্ধৃতি গ্রন্থটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। গত অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশক শুদ্ধপ্রকাশ। চার রঙে ছাপা বইটির দাম ২৫০ টাকা। বিভিন্ন অভিজাত বইয়ের দোকান ছাড়াও অনলাইনে রকমারি ও ইত্যাদি শপে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
গ্রন্থটির লেখক জাকারিয়া মণ্ডল পেশায় সংবাদকর্মী। তিনি যতটা না সংবাদ সংগঠক, তার চেয়েও বেশি রিপোর্টিং মানসিকতা ধারণ করেন। ‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’ বইয়ে তাই রিপোর্টিং ও ফিচারের অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে।
পেশাগত প্রয়োজনে পারস্য উপসাগরের দ্বীপদেশ বাহরাইন, দক্ষিণ চীন সাগরের পশ্চিমপাড়ের মালয় উপদ্বীপ ও পূর্ব পাড়ের বোর্নিও দ্বীপ, হিমালয় কন্যা নেপাল এবং প্রতিবেশী ত্রিপুরার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন জাকারিয়া মণ্ডল। আয়েশি পর্যটকের আড়মোড়া ভেঙে হয়ে উঠেছেন পরিশ্রমী পরিব্রাজক। সরেজমিন অভিজ্ঞতার সঙ্গে কিংবদন্তি, ঐতিহ্য, ইতিহাস, সাহিত্য ও সভ্যতার গল্প মিশিয়ে নিজস্ব ঢঙে বুনেছেন ভ্রমণ সাহিত্য। ফাঁকে ফাঁকে বেদ, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত, মহাপুরাণ, উপপুরাণের আখ্যান ও উদ্ধৃতি বইটিকে সমৃদ্ধ করেছে।
‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’তে মোট ১২টি ভ্রমণ গল্প স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি মালয় উপদ্বীপের, চারটি ত্রিপুরার ও অবশিষ্ট তিনটি বোর্নিও, বাহরাইন ও নেপালের প্রেক্ষাপটে রচিত। প্রতিটি গল্পেই জ্বলজ্বল করছে অগণিত এক্সক্লুসিভ রিপোর্টের সম্ভাবনা। যেমন বাহরাইনের গল্পে মেসোপটেমীয় ও অ্যাসেরিয় সভ্যতার মিশেলে গড়ে ওঠা দিলমুন সভ্যতার প্রেক্ষাপট ও বিবর্তন, মালয়েশিয়ায় ভারতীয়দের অভিবাসন, বোর্নিওতে আত্মার উপাসক মুসলিম বাজাউ সম্প্রদায়, নেপালের স্বয়ম্ভু মন্দিরের বিবর্তন ও সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের ময়নামতি ও পাহাড়পুরের প্রতিচ্ছায়ায় ছাওয়া ত্রিপুরার পিলাক নগর নিয়ে নিঃসন্দেহে বড় বড় রিপোর্ট হতে পারে। রবীন্দ্রনাথের ভুবনেশ্বরী, মাতাবাড়ির ত্রিপুরেশ্বরী, কসবার কমলেশ্বরী নিয়েও দারুণ রিপোর্ট করা যায়।
চোখে দেখা বিবরণে কীভাবে তথ্যের সমাবেশ ঘটাতে হয় তার অনন্য নজির হয়ে উঠেছে ‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’ গ্রন্থটি। তবে অনেক বিষয়ে গবেষণালব্ধ অজানা বিষয়ের সমাবেশ ঘটালেও কিছু কিছু প্রসঙ্গ ইচ্ছে করেই অসমাপ্ত রেখে দিয়েছেন লেখক। এতে পাঠক মনের তৃষ্ণা আরও বেড়েছে নিঃসন্দেহে।
‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য’ গ্রন্থে অনেক কঠিন বিষয়কে সহজ ছন্দে গেঁথেছেন লেখক। তার বিবরণ সাবলীলভাবে এগিয়ে চলে বাঁধ ভাঙা স্রোতস্বিনীর মতো। একবার পাঠের মধ্যে ঢুকে পড়লে মগ্ন হয়ে পড়তে হয়। বইয়ের পাতায় ফুটে উঠতে থাকে একের পর এক ভ্রমণ দৃশ্যের প্রাণবন্ত সব ছবি।
সব গল্পেই প্রাসঙ্গিক ও দুর্লভ আলোকচিত্রের উপস্থিতিতে বইটি আরও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। সহায়িকা হিসেবে ব্যবহার করা বিভিন্ন গ্রন্থ ও সূত্রের উদ্ধৃতি গ্রন্থটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। গত অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশক শুদ্ধপ্রকাশ। চার রঙে ছাপা বইটির দাম ২৫০ টাকা। বিভিন্ন অভিজাত বইয়ের দোকান ছাড়াও অনলাইনে রকমারি ও ইত্যাদি শপে বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
No comments