মিয়ানমারে সেনা নিয়ন্ত্রিত সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
সংবিধান সংশোধনের পক্ষে বিক্ষোভ |
মিয়ানমারে
সেনাবাহিনী প্রণীত সংবিধান সংশোধন করতে অং সান সু চি’র দল ন্যাশনাল লিগ ফর
ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)’র নেওয়া উদ্যোগের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে সমাবেশ করেছে
কয়েকশ' মানুষ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,
১৭ জুলাই বুধবার সকালে ইয়াঙ্গুনে সংবিধান সংশোধনের দাবিতে বিক্ষোভ করে
তারা। আবার সংবিধান সংশোধনের বিরোধিতা করে এদিন বিকালে ওই শহরেই পাল্টা
বিক্ষোভের আয়োজন করেছে বিরোধীরা।
সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি-এনএলডি’র অন্যতম নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল মিয়ানমারের সেনানিয়ন্ত্রিত সংবিধান সংশোধন করা। তবে ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় তিন বছর পর এ বছরের ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো সু চি’র দলের পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনের আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আলোচনার জন্য গৃহীত হবে কিনা- এই বিষয়ে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সেনাপ্রধান নিয়োগকৃত ও অনির্বাচিত ২৫ শতাংশ সেনা এমপি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। সেনাবাহিনী ভোটাভুটি বর্জন করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য গৃহীত হয়। অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন দল এনএলডি,সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ও কয়েকটি জাতিগত দল বিতর্কে অংশ নেয়। তবে অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় কোনও সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্বকারী এমপির নাম ছিল না। বিতর্ক শেষে সংবিধান সংশোধন উদ্যোগ সফল করতে একটি কমিটি গঠনের ব্যাপারে সম্মত হয় মিয়ানমারের পার্লামেন্ট। সংবিধান সংশোধনের পক্ষে ৩৭৬০টি প্রস্তাব সম্বলিত একটি প্রতিবেদন ১৫ জুলাই সোমবার মিয়ানমারের পার্লামেন্টে জমা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সংবিধান সংশোধনের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে যে অ্যাক্টিভিস্টরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা সু চি’র দলের কেউ নন। এদিন বিক্ষোভকারীরা মাথায় লাল রঙের কাপড় পরে ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নামেন। ওই লাল কাপড়ে লেখা ছিল: ‘২০০৮ সালের সংবিধান সংশোধন করুন।’
বিক্ষোভের আয়োজক পিয়াই ফিয়ো জ বলেন, ‘বর্তমান সরকার সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ২০০৮ সালের সংবিধান বহাল থাকার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।’ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর তদারকির দায়িত্ব নির্বাচিত নেতাদের হাতে ছেড়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
কিয়াউ খিনে উয়িন নামে আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, তিনি সংবিধান সংশোধনের পক্ষে বিক্ষোভ করছেন কারণ বিদ্যমান সংবিধানে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সু চি’র ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তার অভিযোগ, ‘জোরপূর্বক’ এ সংবিধান আরোপ করা আছে। কিয়াউ আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশ চাই যেটি জনগণের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে’।
বুধবার পাল্টা এক বিক্ষোভ ডেকেছে সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবের বিরোধীরা। বিক্ষোভে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিতরণকৃত লিফলেটে বলা হয়েছে ‘যারা তাদের বর্ণ ও ধর্মকে ভালোবাসেন’ তাদেরকে সংবিধান সংরক্ষণের উদ্যোগে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কথিত গণতান্ত্রিক উত্তোরণের নামে মিয়ানমারে আদতে জারি রয়েছে সেনাশাসন। ২০০৮ সালে প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনের যে কোনও প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাস হতে হলে ৭৫ শতাংশের বেশি সমর্থন প্রয়োজন। অথচ দেশটির পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনেও রয়েছেন সেনাবাহিনী মনোনীত ব্যক্তিরা। গণতান্ত্রিক সরকার বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে তাদের। সংবিধানে নাগরিকত্ব বিবেচনায় সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার অধিকারও ক্ষুণ্ন করে রাখা হয়েছে।
সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি-এনএলডি’র অন্যতম নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ছিল মিয়ানমারের সেনানিয়ন্ত্রিত সংবিধান সংশোধন করা। তবে ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় তিন বছর পর এ বছরের ২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো সু চি’র দলের পক্ষ থেকে সংবিধান সংশোধনের আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আলোচনার জন্য গৃহীত হবে কিনা- এই বিষয়ে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে সেনাপ্রধান নিয়োগকৃত ও অনির্বাচিত ২৫ শতাংশ সেনা এমপি এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। সেনাবাহিনী ভোটাভুটি বর্জন করলেও সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে আলোচনার জন্য গৃহীত হয়। অং সান সু চি’র নেতৃত্বাধীন দল এনএলডি,সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ও কয়েকটি জাতিগত দল বিতর্কে অংশ নেয়। তবে অংশগ্রহণকারীদের তালিকায় কোনও সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্বকারী এমপির নাম ছিল না। বিতর্ক শেষে সংবিধান সংশোধন উদ্যোগ সফল করতে একটি কমিটি গঠনের ব্যাপারে সম্মত হয় মিয়ানমারের পার্লামেন্ট। সংবিধান সংশোধনের পক্ষে ৩৭৬০টি প্রস্তাব সম্বলিত একটি প্রতিবেদন ১৫ জুলাই সোমবার মিয়ানমারের পার্লামেন্টে জমা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার সংবিধান সংশোধনের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে যে অ্যাক্টিভিস্টরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারা সু চি’র দলের কেউ নন। এদিন বিক্ষোভকারীরা মাথায় লাল রঙের কাপড় পরে ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নামেন। ওই লাল কাপড়ে লেখা ছিল: ‘২০০৮ সালের সংবিধান সংশোধন করুন।’
বিক্ষোভের আয়োজক পিয়াই ফিয়ো জ বলেন, ‘বর্তমান সরকার সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ২০০৮ সালের সংবিধান বহাল থাকার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।’ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর তদারকির দায়িত্ব নির্বাচিত নেতাদের হাতে ছেড়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
কিয়াউ খিনে উয়িন নামে আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, তিনি সংবিধান সংশোধনের পক্ষে বিক্ষোভ করছেন কারণ বিদ্যমান সংবিধানে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সু চি’র ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তার অভিযোগ, ‘জোরপূর্বক’ এ সংবিধান আরোপ করা আছে। কিয়াউ আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশ চাই যেটি জনগণের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে’।
বুধবার পাল্টা এক বিক্ষোভ ডেকেছে সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবের বিরোধীরা। বিক্ষোভে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিতরণকৃত লিফলেটে বলা হয়েছে ‘যারা তাদের বর্ণ ও ধর্মকে ভালোবাসেন’ তাদেরকে সংবিধান সংরক্ষণের উদ্যোগে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কথিত গণতান্ত্রিক উত্তোরণের নামে মিয়ানমারে আদতে জারি রয়েছে সেনাশাসন। ২০০৮ সালে প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী সংবিধান সংশোধনের যে কোনও প্রস্তাব পার্লামেন্টে পাস হতে হলে ৭৫ শতাংশের বেশি সমর্থন প্রয়োজন। অথচ দেশটির পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা পরিষদের ১১টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনেও রয়েছেন সেনাবাহিনী মনোনীত ব্যক্তিরা। গণতান্ত্রিক সরকার বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে তাদের। সংবিধানে নাগরিকত্ব বিবেচনায় সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার অধিকারও ক্ষুণ্ন করে রাখা হয়েছে।
অং সান সু চি |
No comments