এসপি’র দাবি: রিফাত হত্যার পরিকল্পনায় মিন্নি জড়িত
বরগুনায়
প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার পরিকল্পনায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা
মিন্নি জড়িত ছিল বলে জানিয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ
হোসেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এসপি বলেন, মিন্নি আমাদের
কাছে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আমাদের কাছেও
প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে, মিন্নি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। মিন্নি
স্বীকার করেছেন বলেই আমরা বিষয়গুলো আদালতের কাছে তুলে ধরে সত্যতা যাচাইয়ের
জন্য রিমান্ড আবেদন করেছি। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। যারা
হত্যাকারী ছিল তাদের সঙ্গে মিন্নি শুরু থেকেই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
তিনি এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় অংশ নেন।
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আগে এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার, তার সবকিছুই মিন্নি করেছেন। হত্যাকারীদের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনার মিটিংও করেছেন মিন্নি। রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুধু টিকটক হৃদয় একাই নন, এ মামলার একাধিক অভিযুক্ত রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির জড়িত থাকার কথা জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার। রিফাতের বাবার সংবাদ সম্মেলনের পরই মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হলো- এর সঙ্গে পুলিশের কোনো যোগসাজশ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, যোগসূত্র থাকা বা না থাকার বিষয়টির আসলে আইনের কাছে গুরুত্ব নেই। তদন্ত স্বচ্ছ এবং সাবলীল প্রক্রিয়া মাত্র। তদন্তের ক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলো সামনে আসে, আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে সেইসব বিষয় নিয়েই কাজ করেছি। শুধু আমি না, আপনারাও দেখেছেন ডিআইজি মহোদয়ও বেশ কিছু দিন এখানে অবস্থান করেছিলেন। প্রেস কনফারেন্স ও মানববন্ধন যা আমাদের তদন্তের সঙ্গে সংঘর্ষিক সে বিষয়গুলোকে বাদ দিয়ে আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই বা অন্য কোনো মহলেরও চাপ নেই।
এদিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি মো. রাশেদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিশান বরগুনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোডের দুলাল ফরাজীর ছেলে এবং ওই মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীর ছোট ভাই। রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিসহ এখন পর্যন্ত ১৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১০ জন রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়াও এ মামলার চারজন অভিযুক্ত রিমান্ডে রয়েছেন।
এ ছাড়া বুধবার আদালতে মিন্নির রিমান্ড শুনানির সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির আদালতকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে এ মামলার একাধিক অভিযুক্তের সঙ্গে মিন্নির কথোপকথনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ সময় প্রযুক্তির সহায়তায় সংগৃহীত সেই সব তথ্য-প্রমাণ আদালতে তুলে ধরেন তিনি।
মিন্নির রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত থাকা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বলেন, মিন্নির শুনানির সময় আদালতে রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে আদালত মিন্নির সঙ্গে কথা বলেন। আপনার পক্ষে কোনো আইনজীবী আছে কিনা? এবং আপনার কোনো কিছু বলার আছে কিনা? আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্নি বলেন, আমি নির্দোষ। আমি রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
আইনজীবী সঞ্জীব দাস আরো বলেন, আদালত রিফাত হত্যায় অভিযুক্তদের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে মোবাইলফোনে কথোপকথনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্নি চুপ হয়ে যান এবং আদালতের এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। পরে আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আমার মেয়ে নির্দোষ, কথাটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন: মিন্নির বাবা
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এ সময় মিন্নির পক্ষে আদালতে দাঁড়ায়নি কোনো আইনজীবী। এ বিষয়ে বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে নির্দোষ। আমার মেয়ে ও পরিবারকে নিয়ে বরগুনার প্রভাবশালী একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। খুনিদের বাঁচাতে আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার মেয়ে নির্দোষ, কথাটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন। তাহলে সে বাঁচতে পারবে। এ সময় মিন্নির বাবা সঠিক তদন্ত করে যারা প্রকৃত দোষী তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমার মেয়ে এই মামলার ১ নম্বর সাক্ষী। গত ২৬শে জুন প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাতকে যখন সন্ত্রাসীরা কোপাচ্ছিল, তখন আমার মেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। মিন্নি নিজের জীবনের দিকে তাকায়নি। কিন্তু দুর্ভাগ্য। আমরা কিসের বলি হলাম? স্বামীকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে খুন করার পর থেকে আমার মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
মিন্নির বাবার অভিযোগ, মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই খুনের নেপথ্যে যারা আছেন তারা খুবই ক্ষমতাশালী ও প্রভাবশালী। আমি তিনজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তাদের দাঁড়ানোর কথা ছিল। প্রতিপক্ষের ভয়ে তারা আমার মেয়ের পক্ষে দাঁড়ায়নি। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি, আমাদের এই ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচান।
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আগে এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার, তার সবকিছুই মিন্নি করেছেন। হত্যাকারীদের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনার মিটিংও করেছেন মিন্নি। রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুধু টিকটক হৃদয় একাই নন, এ মামলার একাধিক অভিযুক্ত রিফাত হত্যাকাণ্ডে মিন্নির জড়িত থাকার কথা জানিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার। রিফাতের বাবার সংবাদ সম্মেলনের পরই মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হলো- এর সঙ্গে পুলিশের কোনো যোগসাজশ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, যোগসূত্র থাকা বা না থাকার বিষয়টির আসলে আইনের কাছে গুরুত্ব নেই। তদন্ত স্বচ্ছ এবং সাবলীল প্রক্রিয়া মাত্র। তদন্তের ক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলো সামনে আসে, আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে সেইসব বিষয় নিয়েই কাজ করেছি। শুধু আমি না, আপনারাও দেখেছেন ডিআইজি মহোদয়ও বেশ কিছু দিন এখানে অবস্থান করেছিলেন। প্রেস কনফারেন্স ও মানববন্ধন যা আমাদের তদন্তের সঙ্গে সংঘর্ষিক সে বিষয়গুলোকে বাদ দিয়ে আমরা আমাদের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই বা অন্য কোনো মহলেরও চাপ নেই।
এদিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তিন নম্বর আসামি মো. রাশেদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিশান বরগুনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোডের দুলাল ফরাজীর ছেলে এবং ওই মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীর ছোট ভাই। রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী মিন্নিসহ এখন পর্যন্ত ১৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১০ জন রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়াও এ মামলার চারজন অভিযুক্ত রিমান্ডে রয়েছেন।
এ ছাড়া বুধবার আদালতে মিন্নির রিমান্ড শুনানির সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির আদালতকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে এ মামলার একাধিক অভিযুক্তের সঙ্গে মিন্নির কথোপকথনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ সময় প্রযুক্তির সহায়তায় সংগৃহীত সেই সব তথ্য-প্রমাণ আদালতে তুলে ধরেন তিনি।
মিন্নির রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত থাকা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বলেন, মিন্নির শুনানির সময় আদালতে রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে আদালত মিন্নির সঙ্গে কথা বলেন। আপনার পক্ষে কোনো আইনজীবী আছে কিনা? এবং আপনার কোনো কিছু বলার আছে কিনা? আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্নি বলেন, আমি নির্দোষ। আমি রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমি আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
আইনজীবী সঞ্জীব দাস আরো বলেন, আদালত রিফাত হত্যায় অভিযুক্তদের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে মোবাইলফোনে কথোপকথনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্নি চুপ হয়ে যান এবং আদালতের এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। পরে আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আমার মেয়ে নির্দোষ, কথাটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন: মিন্নির বাবা
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এ সময় মিন্নির পক্ষে আদালতে দাঁড়ায়নি কোনো আইনজীবী। এ বিষয়ে বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে নির্দোষ। আমার মেয়ে ও পরিবারকে নিয়ে বরগুনার প্রভাবশালী একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। খুনিদের বাঁচাতে আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার মেয়ে নির্দোষ, কথাটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন। তাহলে সে বাঁচতে পারবে। এ সময় মিন্নির বাবা সঠিক তদন্ত করে যারা প্রকৃত দোষী তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমার মেয়ে এই মামলার ১ নম্বর সাক্ষী। গত ২৬শে জুন প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাতকে যখন সন্ত্রাসীরা কোপাচ্ছিল, তখন আমার মেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। মিন্নি নিজের জীবনের দিকে তাকায়নি। কিন্তু দুর্ভাগ্য। আমরা কিসের বলি হলাম? স্বামীকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে খুন করার পর থেকে আমার মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
মিন্নির বাবার অভিযোগ, মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই খুনের নেপথ্যে যারা আছেন তারা খুবই ক্ষমতাশালী ও প্রভাবশালী। আমি তিনজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তাদের দাঁড়ানোর কথা ছিল। প্রতিপক্ষের ভয়ে তারা আমার মেয়ের পক্ষে দাঁড়ায়নি। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি, আমাদের এই ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচান।
No comments