আউশ ক্ষেতে পচন রোগ, কৃষকের মাথায় হাত
এবার
বোরো মৌসুমে ধানের আশানুরূপ দাম পাননি কৃষকরা। সেই ক্ষতি খানিকটা পুষিয়ে
নিতে দিনাজপুরের হিলিতে আউশ ধান আবাদের দিকে ঝুঁকেছিলেন তারা। কিন্তু ধানের
পাতা হলদে বর্ণের হয়ে আস্তে আস্তে গাছ মারা যাচ্ছে। ওষুধ প্রয়োগ করে কোনও
ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এতে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে কৃষকদের মাঝে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে ১৪৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। আউশ চাষে উৎসাহিত করতে ১১৫ জন কৃষককে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে ১৪৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। আউশ চাষে উৎসাহিত করতে ১১৫ জন কৃষককে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
পাতা বিবর্ণ হয়ে এভাবে পচে যাচ্ছে আউশের ক্ষেত |
হিলির
ছোটডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক মহসীন আলি ও জিল্লুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে
বলেন, ‘বোরো মৌসুমে ধানের দাম না পাওয়ায় আমরা লোকশানের মধ্যে পড়ে গেছি।
এবার সরকারের সহযোগিতায় সমিতিভুক্ত ৩০ জন কৃষক সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার
পেয়ে ৫০ বিঘা জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছি। কিন্তু আবারও আমরা বিপাকের মধ্যে
পড়ে গেছি। চারা রোপণের এক-দেড়মাসের মধ্যেই ধানের গাছ মরে যাওয়া শুরু
হয়েছে। কোনও ওষুধ প্রয়োগ করেও এ ধানের গাছ রক্ষা করা যাচ্ছে না। সরকার
আমাদের বিঘাপ্রতি পাঁচ কেজি করে বীজ, ডিএপি সার ১৫ কেজি, এমওপি সার ১০ কেজি
দিয়েছে। কিন্তু বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে বীজ ফেলানো আবার সেখান থেকে বীজ
তুলে জমিতে রোপণের খরচ রয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ করতে এক হাজার
টাকা, চাষ করতে ৯শ’ টাকা এছাড়াও সারসহ অন্যান্য বাবদ আমাদের খরচ হয়েছে আড়াই
থেকে তিন হাজার টাকা। লাভ দূরে থাক, যেভাবে ধানের গাছ মরে যাচ্ছে তাতে খরচ
ওঠার কথা চিন্তাই করা যায় না। আমরা পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত।’
একই গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রথমে ধানের পাতা হলুদ বর্ণের হয়ে যাচ্ছে। এর পরে ধীরে ধীরে পুরো গাছই মরে যাচ্ছে। আমরা কৃষি অফিসের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী সার-কীটনাশক সবকিছুই জমিতে ব্যবহার করছি কিন্তু তাতেও কোনও ফল হচ্ছে না। ’
এ সমস্যা প্রসঙ্গে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা নাজনীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘আমরা আশা করছি, আউশ ধানের ভালো ফলন পাওয়া যাবে। তবে এই মুহূর্তে কিছু জমিতে জলাবদ্ধতা থাকায় পচন দেখা যাচ্ছে। আমরা কৃষকদেরকে ছত্রাকনাশক ব্যবহার এবং জমি থেকে পানি বের করে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।এতে এ সমস্যা কেটে যাবে বলে আমরা আশা করছি।’
একই গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রথমে ধানের পাতা হলুদ বর্ণের হয়ে যাচ্ছে। এর পরে ধীরে ধীরে পুরো গাছই মরে যাচ্ছে। আমরা কৃষি অফিসের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী সার-কীটনাশক সবকিছুই জমিতে ব্যবহার করছি কিন্তু তাতেও কোনও ফল হচ্ছে না। ’
এ সমস্যা প্রসঙ্গে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা নাজনীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘আমরা আশা করছি, আউশ ধানের ভালো ফলন পাওয়া যাবে। তবে এই মুহূর্তে কিছু জমিতে জলাবদ্ধতা থাকায় পচন দেখা যাচ্ছে। আমরা কৃষকদেরকে ছত্রাকনাশক ব্যবহার এবং জমি থেকে পানি বের করে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।এতে এ সমস্যা কেটে যাবে বলে আমরা আশা করছি।’
পচন রোগে আক্রান্ত মাঠের পর মাঠ |
No comments