শ্রীলংকায় বিস্ফোরণের পেছনে বৈশ্বিক মাদক মাফিয়ার হাত: সিরিসেনা
শ্রীলংকার
প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা রোববার অভিযোগ করে বলেছেন যে আন্তর্জাতিক
মাদক মাফিয়া ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডেতে আইএসআইএস-স্টাইলে আত্মঘাতি হামলা
চালিয়ছে।
এমবিলিপতিয়ায় একদল কৃষককে তিনি বলেন, যে যাই বলুক না কেন, আমি বলছি যে ২১ এপ্রিল হামলার পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা। আমার মাদক-বিরোধী উদ্যোগ নস্যাৎ করতে এবং আমার কাজে বিঘ্ন ঘটাতে এটা করা হয়েছে। ২১ এপ্রিল হামলা নিয়ে অনেক রকম মত আছে। তবে আমি বলছি যে এটা আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের কাজ।
মাদক মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।
শ্রীলংকায় বদু বালা সেনার (বিবিএস) মতো বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের কিছু সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে ২১ এপ্রিলের হামলাকে মাদক মাফিয়া চক্রের সঙ্গে যুক্ত করে সিরিসেনার বক্তব্য মিলে যায়। বিবিএস অবশ্য দাবি করছে যে দ্বীপ দেশটির মাদক মাফিয়া গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বড় অংশ রয়েছে সংখ্যালঘু মুসলমানরা।
সিরিসেনা আরো বলেন যে, ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) যদি মৃত্যুদণ্ডকে বিলোপ করে পার্লামেন্টে কোন বিল পাস করে তাহলে তিনি দিনটিকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করবেন।
আবেগী কণ্ঠে সিরেসেনা বলেন, মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ না হলে মাদক সম্রাট ও মাদক মাফিয়ারা দেশটিকে ধ্বংস করে দেবে।
কৃষকদের জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তরের একটি গ্রামীণ প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি ভাষণ দেন।
মাদক মাফিয়াদের কবল থেকে দেশের শিশুদের রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট চারটি মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, যেদিন মৃত্যুদণ্ড বিলোপ হবে সেদিন শ্রীলংকা মাদক সম্রাটদের সাম্রাজ্যে পরিণত হবে। নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়বে। এরপর মাফিয়ারাই দেশ চালাবে। এখনো মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় কিছুটা ভয় আছে। আমি চারটি পরোয়ানায় সই করার পর আদালতে গিয়ে একে বাধা দেয়া হয়েছে। এখন মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করতে পার্লামেন্টে বিল আনা হচ্ছে। এতে মাদক সম্রাট ছাড়া আর কার লাভ হবে?
প্রত্যেক সরকার ও প্রত্যেক বিরোধী দলের যদি মাদক নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা যাবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রেসিডেন্ট দাবি করেন যে, বিদেশীদের চাপ থাকার পরও তিনি ক্ষমতাধর মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছেন, তাদেরকে গ্রেফতার করিয়েছেন ও তাদেরকে শ্রীলংকায় নিয়ে এসে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আইনের লম্বা হাত থেকে তারা বাঁচতে পারবে না। অন্য কোন রাজনৈতিক নেতা এই ইস্যুতে হাত দেয়নি।
সিরিসেনা বলেন, আমরা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলে এই দেশ সুশৃঙ্খল হবে। ভয় থাকবে। ভয় থাকলে সমাজ ভালো হয়। ভারত, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ড রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
কয়েক সপ্তাহ আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে ড্রাগ মাফিয়াদের ধ্বংস করতে সারা দেশে মৃত্যুদণ্ড চালু করা হবে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে যেসব পশ্চিমা রাষ্ট্র হৈচৈ করছে সরাসরি তাদের কথা উল্লেখ করে শ্রীলংকা প্রেসিডেন্ট বলেন, ট্রাম্প একই কথা বলছেন। অথচ তার প্রতিনিধিরা আমাদেরকে বলছে মৃত্যুদণ্ড না দিতে।
মৃত্যুদণ্ড বিলোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে সকল লঙ্কাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সিরিসেনা। তিনি আরো বলেন যে ইউএনপি সরকারের কিছু লোকের অহমিকার কারণে প্রস্তাবিত বিলটি আনা হয়েছে।
গত বছরের মাঝামাঝি সিরিসেনা তার এই মাদক বিরোধী যুদ্ধের সূচনা করেন এবং অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি বলেছিলেন যে মাদকের আতংক নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রোদ্রিগো দুতার্তের মতো কঠোর পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফিলিপাইন সফরের সময় সিরিসেনা ঘোষণা করেন যে মাদকের বিস্তার রোধে দুতার্তের পদ্ধতি একটি পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ। তবে পরে স্বীকার করেন যে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের গ্রহণ করা সব পদ্ধতি শ্রীলংকায় বাস্তবায়ন করা যাবে না।
প্রেসিডেন্ট দুতার্তে পুলিশ, এমনকি সাধারণ জনগণকে পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের হত্যা করা অনুমোদন করেছেন। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সন্দেহভাজন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের হত্যা করার জন্য দুতার্তে সরকার পুলিশ ও পাহারাদারদের আর্থিক পুরস্কারও দিয়েছে।
শ্রীলংকার এ্যালকোহল এন্ড ড্রাগ ইনফরমেশন সেন্টারের হিসাবে, দুই কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে প্রায় ৮০,০০০ মাদকসেবী রয়েছে।
এমবিলিপতিয়ায় একদল কৃষককে তিনি বলেন, যে যাই বলুক না কেন, আমি বলছি যে ২১ এপ্রিল হামলার পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা। আমার মাদক-বিরোধী উদ্যোগ নস্যাৎ করতে এবং আমার কাজে বিঘ্ন ঘটাতে এটা করা হয়েছে। ২১ এপ্রিল হামলা নিয়ে অনেক রকম মত আছে। তবে আমি বলছি যে এটা আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের কাজ।
মাদক মাফিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।
শ্রীলংকায় বদু বালা সেনার (বিবিএস) মতো বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের কিছু সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে ২১ এপ্রিলের হামলাকে মাদক মাফিয়া চক্রের সঙ্গে যুক্ত করে সিরিসেনার বক্তব্য মিলে যায়। বিবিএস অবশ্য দাবি করছে যে দ্বীপ দেশটির মাদক মাফিয়া গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বড় অংশ রয়েছে সংখ্যালঘু মুসলমানরা।
সিরিসেনা আরো বলেন যে, ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) যদি মৃত্যুদণ্ডকে বিলোপ করে পার্লামেন্টে কোন বিল পাস করে তাহলে তিনি দিনটিকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করবেন।
আবেগী কণ্ঠে সিরেসেনা বলেন, মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ না হলে মাদক সম্রাট ও মাদক মাফিয়ারা দেশটিকে ধ্বংস করে দেবে।
কৃষকদের জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তরের একটি গ্রামীণ প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি ভাষণ দেন।
মাদক মাফিয়াদের কবল থেকে দেশের শিশুদের রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট চারটি মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, যেদিন মৃত্যুদণ্ড বিলোপ হবে সেদিন শ্রীলংকা মাদক সম্রাটদের সাম্রাজ্যে পরিণত হবে। নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়বে। এরপর মাফিয়ারাই দেশ চালাবে। এখনো মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকায় কিছুটা ভয় আছে। আমি চারটি পরোয়ানায় সই করার পর আদালতে গিয়ে একে বাধা দেয়া হয়েছে। এখন মৃত্যুদণ্ড বিলোপ করতে পার্লামেন্টে বিল আনা হচ্ছে। এতে মাদক সম্রাট ছাড়া আর কার লাভ হবে?
প্রত্যেক সরকার ও প্রত্যেক বিরোধী দলের যদি মাদক নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা যাবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রেসিডেন্ট দাবি করেন যে, বিদেশীদের চাপ থাকার পরও তিনি ক্ষমতাধর মাদক সম্রাটদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছেন, তাদেরকে গ্রেফতার করিয়েছেন ও তাদেরকে শ্রীলংকায় নিয়ে এসে দেখিয়ে দিয়েছেন যে আইনের লম্বা হাত থেকে তারা বাঁচতে পারবে না। অন্য কোন রাজনৈতিক নেতা এই ইস্যুতে হাত দেয়নি।
সিরিসেনা বলেন, আমরা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলে এই দেশ সুশৃঙ্খল হবে। ভয় থাকবে। ভয় থাকলে সমাজ ভালো হয়। ভারত, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ড রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
কয়েক সপ্তাহ আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে ড্রাগ মাফিয়াদের ধ্বংস করতে সারা দেশে মৃত্যুদণ্ড চালু করা হবে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে যেসব পশ্চিমা রাষ্ট্র হৈচৈ করছে সরাসরি তাদের কথা উল্লেখ করে শ্রীলংকা প্রেসিডেন্ট বলেন, ট্রাম্প একই কথা বলছেন। অথচ তার প্রতিনিধিরা আমাদেরকে বলছে মৃত্যুদণ্ড না দিতে।
মৃত্যুদণ্ড বিলোপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে সকল লঙ্কাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান সিরিসেনা। তিনি আরো বলেন যে ইউএনপি সরকারের কিছু লোকের অহমিকার কারণে প্রস্তাবিত বিলটি আনা হয়েছে।
গত বছরের মাঝামাঝি সিরিসেনা তার এই মাদক বিরোধী যুদ্ধের সূচনা করেন এবং অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি বলেছিলেন যে মাদকের আতংক নিয়ন্ত্রণ করতে তিনি ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রোদ্রিগো দুতার্তের মতো কঠোর পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফিলিপাইন সফরের সময় সিরিসেনা ঘোষণা করেন যে মাদকের বিস্তার রোধে দুতার্তের পদ্ধতি একটি পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ। তবে পরে স্বীকার করেন যে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের গ্রহণ করা সব পদ্ধতি শ্রীলংকায় বাস্তবায়ন করা যাবে না।
প্রেসিডেন্ট দুতার্তে পুলিশ, এমনকি সাধারণ জনগণকে পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের হত্যা করা অনুমোদন করেছেন। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, সন্দেহভাজন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের হত্যা করার জন্য দুতার্তে সরকার পুলিশ ও পাহারাদারদের আর্থিক পুরস্কারও দিয়েছে।
শ্রীলংকার এ্যালকোহল এন্ড ড্রাগ ইনফরমেশন সেন্টারের হিসাবে, দুই কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে প্রায় ৮০,০০০ মাদকসেবী রয়েছে।
No comments