প্রতিদিন একটি অভিবাসী শিশু মারা যাচ্ছে : জাতিসঙ্ঘ
লাস্ট আপডেট- ৩০ জুন ২০১৯: ২০১৪
সাল থেকে দুনিয়াজুড়ে গড়ে প্রতিদিন একজন অভিবাসী শিশু মারা যাচ্ছে। এদের
বেশির ভাগের মৃত্যু ঘটছে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে। এমনটাই উঠে এসেছে
জাতিসঙ্ঘের এক রিপোর্টে। গত ২৮ জুন শুক্রবার জাতিসঙ্ঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা আইওএম এ
রিপোর্ট প্রকাশ করে।
সম্প্রতি রিও গ্রান্দে নদী পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার চেষ্টার সময় মেক্সিকান বাবা ও সন্তানের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এর কয়দিনের মাথায় প্রকাশিত হলো এই রিপোর্ট। আইওএম-এর রিপোর্টটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘ফ্যাটাল জার্নি’। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অন্তত ৩২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সীর সংখ্যা এক হাজার ৬০০। এদের মধ্যে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুও রয়েছে। সংস্থাটির গ্লোবাল মাইগ্রেশন ডাটা অ্যানালিস্ট ফ্রাঙ্ক লাক্সকো জানিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের মনে রাখতে হবে, অভিবাসীদের মধ্যে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার।'’
গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, অভিভাসী শিশুদের প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা এ রিপোর্টের চেয়ে আরো বেশি হতে পারে। কেননা অনেকের লাশ কখনই শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা লিপিবদ্ধ করা আরো কঠিন। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের বয়স নির্ধারণে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায় না।
অভিবাসীদের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যাত্রাপথ হিসেবে এরইমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে ভূমধ্যসাগর। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শুধু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে ৬৭৮ জন শিশুও রয়েছে। তবে নিহতদের মধ্যে ১২ হাজারের লাশ হয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, অথবা পানি থেকে উদ্ধারই করা যায়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূলত পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে যোগ দিতে বা সংঘাত-সংঘর্ষ এড়াতেই অভিবাসী জীবন বেছে নিতে হয় শিশুদের। এ ছাড়া উন্নততর জীবন, ভালো জীবিকা এবং মৌলিক অধিকারের সন্ধানে অনেকে দেশ ছাড়েন। ২০১৭ সালের এক রিপোর্টে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে তিন কোটি শিশু জন্মভূমি ছেড়ে অন্য দেশে বসবাস করছে। এর মধ্যে প্রায় সোয়া এক কোটি শিশু অভিবাসী। আরো ১০ লাখ শিশু অভিবাসনপ্রত্যাশী।
সম্প্রতি রিও গ্রান্দে নদী পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার চেষ্টার সময় মেক্সিকান বাবা ও সন্তানের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এর কয়দিনের মাথায় প্রকাশিত হলো এই রিপোর্ট। আইওএম-এর রিপোর্টটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘ফ্যাটাল জার্নি’। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অন্তত ৩২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সীর সংখ্যা এক হাজার ৬০০। এদের মধ্যে ছয় মাসের কম বয়সী শিশুও রয়েছে। সংস্থাটির গ্লোবাল মাইগ্রেশন ডাটা অ্যানালিস্ট ফ্রাঙ্ক লাক্সকো জানিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের মনে রাখতে হবে, অভিবাসীদের মধ্যে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার।'’
গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, অভিভাসী শিশুদের প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা এ রিপোর্টের চেয়ে আরো বেশি হতে পারে। কেননা অনেকের লাশ কখনই শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা লিপিবদ্ধ করা আরো কঠিন। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের বয়স নির্ধারণে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায় না।
অভিবাসীদের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যাত্রাপথ হিসেবে এরইমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে ভূমধ্যসাগর। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শুধু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে ৬৭৮ জন শিশুও রয়েছে। তবে নিহতদের মধ্যে ১২ হাজারের লাশ হয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, অথবা পানি থেকে উদ্ধারই করা যায়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূলত পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে যোগ দিতে বা সংঘাত-সংঘর্ষ এড়াতেই অভিবাসী জীবন বেছে নিতে হয় শিশুদের। এ ছাড়া উন্নততর জীবন, ভালো জীবিকা এবং মৌলিক অধিকারের সন্ধানে অনেকে দেশ ছাড়েন। ২০১৭ সালের এক রিপোর্টে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে তিন কোটি শিশু জন্মভূমি ছেড়ে অন্য দেশে বসবাস করছে। এর মধ্যে প্রায় সোয়া এক কোটি শিশু অভিবাসী। আরো ১০ লাখ শিশু অভিবাসনপ্রত্যাশী।
No comments