ডিএনএ-তে আটকে আছে যত মামলার অভিযোগপত্র by জামাল উদ্দিন
ধর্ষণসহ
বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণের অন্যতম মাধ্যম ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ)
টেস্ট। অথচ সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন ঘটনার প্রয়োজনীয়
আলামত সংগ্রহ করে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে জমা
দেওয়ার পরও টেস্ট রিপোর্ট পান না সময়মতো। তাদের অভিযোগ, ডিএনএ রিপোর্ট না
পাওয়ায় বারবার আদালতের কাছ থেকে সময় নিয়েও যথারীতি মামলায় অভিযোগপত্র দিতে
পারেন না তারা। আর ল্যাব-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন যাবত ডিএনএ টেস্টের
প্রধান মেশিনটি (জেনেটিক এনালাইজার) অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় রিপোর্ট দেওয়া
যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরও মেশিনটি ঠিক করার
ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
রাজধানীর কদমতলীতে পাঁচ-ছয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করে এক দুর্বৃত্ত। এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে কদমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর কারাগারে পাঠান। মামলাটির তদন্ত করছেন কদমতলী থানার এসআই দীপঙ্কর। মামলার তদন্ত কার্যক্রমও শেষ করে এনেছেন তিনি। আর ডিএনএ টেস্টের জন্য গত বছরের অক্টোবরে প্রয়োজনীয় আলামত জমা দিয়েছেন ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে। কিন্তু গত নয় মাসেও পাননি তিনি সেই ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পাননি তিনি।
এই প্রসঙ্গে এসআই দীপঙ্কর বলেন, ‘সব কাজ গুছিয়ে এনে বসে আছি। শুধু এই ডিএনএ রিপোর্টের জন্য মামলার চার্জশিট দিতে পারছি না। বারবার আদালত থেকে সময় নিতে হচ্ছে।’
ধর্ষণের পর বিচার চেয়েও বিচার পাননি ধর্ষণের শিকার লক্ষ্মীপুরের এক নারী। ধর্ষণের শিকার হয়ে তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। কিন্তু ধর্ষক বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে। এই ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের জজ আদালতে একটি মামলা করেন ওই নারী। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরইমধ্যে ওই নারী একটি শিশু সন্তানের জন্ম দেন। আদালত ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শিশুটির পিতৃত্ব নিশ্চিতের জন্য প্রতিবেদন দিতে বলেন পুলিশকে। ওই নির্দেশের পর লক্ষ্মীপুর সদর থানার এসআই প্রেমানন্দ মণ্ডলকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের (২০১৮) নভেম্বরে ডিএনএ টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় আলামত পাঠান ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে। মেশিন অকেজো থাকায় আট মাসেও সেই ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। শিশুটির বয়স এখন চার বছর। কিন্তু নিশ্চিত হয়নি তার পিতৃত্ব।
এই বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা প্রেমানন্দ বলেন, ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক ল্যাবে থেকে রিপোর্ট না পাওয়ায় ডিএনএ রিপোর্ট জমা দিতে পারছি না।’
রাজধানীর আদাবরে ধর্ষণের শিকার হয় ১৩ বছরের একটি শিশু। ২০১৭ সালের এই ধর্ষণের ঘটনায় ওই বছরের ১৭ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদাবর থানায় একটি মামলা (মামলা নং ০৫) হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার এসআই ফরিদাকে। তিনি ভিকটিম ও আসামির ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান ল্যাবরেটরিতে। দুই বছরের বেশি সময় পার হলেও ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাননি তিনি।
এসআই ফরিদা বলেন, ‘মামলার তদন্ত শেষ হয়ে গেলেও ডিএনএ রিপোর্টের জন্য চার্জশিট দেওয়া যাচ্ছে না।’
প্রায় একই অভিযোগ খুলনা সদর থানার এসআই সানোয়ার হোসেনেরও। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে ধর্ষণের একটি মামলার আলামত জমা দেই ল্যাবে। সেই আলামতের ডিএনএ রিপোর্ট পাইনি আজও।’
একই কথা বলেন, রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার এসআই জসিম উদ্দিন দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘একটি ধর্ষণ মামলার ডিএনএ রিপোর্টের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ঢাকার ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাই। কিন্তু সেই রিপোর্ট পাইনি এখনও। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে এক মাস আগে এ মামলার চার্জশিট দিয়েছি। একইসঙ্গে আদালতকে জানিয়েছি, ল্যাব থেকে ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পেলে প্রতিবেদন আকারে সেটা আদালতে জমা দেবো।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় ২০১৮ সালের ১০টি মামলার তালিকা নিয়ে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে যান খুলনা সদর থানার এসআই শাহনেওয়াজ। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার তাকে ঢাকায় থেকে হলেও সেই রিপোর্ট নিয়ে যেতে নির্দেশনা দেন।তবে, শেষপর্যন্ত রিপোর্ট ছাড়াই তিনি খুলনায় ফিরে যান। এসআই শাহনেওয়াজ বলেন, ‘বারবার যোগাযোগ করলেও ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পাইনি। শুধু ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়ায় চার্জশিট দেওয়া যাচ্ছে না। রিপোর্টের জন্য যখনই যোগাযোগ করি, তখনই ল্যাব থেকে বলা হচ্ছে, ল্যাবের প্রধান মেশিনটি অকেজো।’
ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ডিএনএ রিপোর্টের জন্য যোগাযোগ করছেন বারবার। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত প্রধান মেশিনটি (জেনেটিক এনালাইজার) অকেজো থাকার কারণে রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না। জুন (২০১৯) পর্যন্ত ল্যাবে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ শতাধিক মামলার নমুনা জমা হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না। এগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলা। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে না পারায় এসব মামলার চার্জশিট দিতে পারছেন না তদন্ত কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরও মেশিনটি ঠিক করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছে। বিচারের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে ভিকটিমকে।
ল্যাব সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৪৮০টি মামলার নমুনা আসে ল্যাবে। এরমধ্যে ১৭৮টি মামলার রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ৩০২টি মামলার রিপোর্ট এখনও দেওয়া যায়নি। এ বছরের প্রথম চার মাসে ২০৮টি মামলার নমুনা এখনও পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের ৫১০টি মামলার নমুনা এখনও পরীক্ষাধীন রয়েছে।
ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের কারণে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর তদন্ত ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও কেন রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না—জানতে চাইলে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘‘গত জানুয়ারি থেকে ডিএনএ ল্যাবের ‘জেনেটিক এনালাইজার’ মেশিনটি নষ্ট থাকায় রিপোর্ট দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ল্যাবের সরঞ্জামগুলোও ১২ বছরেরও বেশি পুরনো। এসব মেশিন ও সরঞ্জামেরও সংস্কার প্রয়োজন। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ শিগগিরিই এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
রাজধানীর কদমতলীতে পাঁচ-ছয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করে এক দুর্বৃত্ত। এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে কদমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এরপর আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর কারাগারে পাঠান। মামলাটির তদন্ত করছেন কদমতলী থানার এসআই দীপঙ্কর। মামলার তদন্ত কার্যক্রমও শেষ করে এনেছেন তিনি। আর ডিএনএ টেস্টের জন্য গত বছরের অক্টোবরে প্রয়োজনীয় আলামত জমা দিয়েছেন ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে। কিন্তু গত নয় মাসেও পাননি তিনি সেই ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পাননি তিনি।
এই প্রসঙ্গে এসআই দীপঙ্কর বলেন, ‘সব কাজ গুছিয়ে এনে বসে আছি। শুধু এই ডিএনএ রিপোর্টের জন্য মামলার চার্জশিট দিতে পারছি না। বারবার আদালত থেকে সময় নিতে হচ্ছে।’
ধর্ষণের পর বিচার চেয়েও বিচার পাননি ধর্ষণের শিকার লক্ষ্মীপুরের এক নারী। ধর্ষণের শিকার হয়ে তিনি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন। কিন্তু ধর্ষক বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে। এই ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের জজ আদালতে একটি মামলা করেন ওই নারী। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরইমধ্যে ওই নারী একটি শিশু সন্তানের জন্ম দেন। আদালত ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শিশুটির পিতৃত্ব নিশ্চিতের জন্য প্রতিবেদন দিতে বলেন পুলিশকে। ওই নির্দেশের পর লক্ষ্মীপুর সদর থানার এসআই প্রেমানন্দ মণ্ডলকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের (২০১৮) নভেম্বরে ডিএনএ টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় আলামত পাঠান ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে। মেশিন অকেজো থাকায় আট মাসেও সেই ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। শিশুটির বয়স এখন চার বছর। কিন্তু নিশ্চিত হয়নি তার পিতৃত্ব।
এই বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা প্রেমানন্দ বলেন, ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক ল্যাবে থেকে রিপোর্ট না পাওয়ায় ডিএনএ রিপোর্ট জমা দিতে পারছি না।’
রাজধানীর আদাবরে ধর্ষণের শিকার হয় ১৩ বছরের একটি শিশু। ২০১৭ সালের এই ধর্ষণের ঘটনায় ওই বছরের ১৭ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদাবর থানায় একটি মামলা (মামলা নং ০৫) হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় থানার এসআই ফরিদাকে। তিনি ভিকটিম ও আসামির ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান ল্যাবরেটরিতে। দুই বছরের বেশি সময় পার হলেও ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাননি তিনি।
এসআই ফরিদা বলেন, ‘মামলার তদন্ত শেষ হয়ে গেলেও ডিএনএ রিপোর্টের জন্য চার্জশিট দেওয়া যাচ্ছে না।’
প্রায় একই অভিযোগ খুলনা সদর থানার এসআই সানোয়ার হোসেনেরও। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরে ধর্ষণের একটি মামলার আলামত জমা দেই ল্যাবে। সেই আলামতের ডিএনএ রিপোর্ট পাইনি আজও।’
একই কথা বলেন, রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার এসআই জসিম উদ্দিন দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘একটি ধর্ষণ মামলার ডিএনএ রিপোর্টের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের মাধ্যমে ঢাকার ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাই। কিন্তু সেই রিপোর্ট পাইনি এখনও। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে এক মাস আগে এ মামলার চার্জশিট দিয়েছি। একইসঙ্গে আদালতকে জানিয়েছি, ল্যাব থেকে ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পেলে প্রতিবেদন আকারে সেটা আদালতে জমা দেবো।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় ২০১৮ সালের ১০টি মামলার তালিকা নিয়ে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে যান খুলনা সদর থানার এসআই শাহনেওয়াজ। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার তাকে ঢাকায় থেকে হলেও সেই রিপোর্ট নিয়ে যেতে নির্দেশনা দেন।তবে, শেষপর্যন্ত রিপোর্ট ছাড়াই তিনি খুলনায় ফিরে যান। এসআই শাহনেওয়াজ বলেন, ‘বারবার যোগাযোগ করলেও ডিএনএ রিপোর্ট হাতে পাইনি। শুধু ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়ায় চার্জশিট দেওয়া যাচ্ছে না। রিপোর্টের জন্য যখনই যোগাযোগ করি, তখনই ল্যাব থেকে বলা হচ্ছে, ল্যাবের প্রধান মেশিনটি অকেজো।’
ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ডিএনএ রিপোর্টের জন্য যোগাযোগ করছেন বারবার। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত প্রধান মেশিনটি (জেনেটিক এনালাইজার) অকেজো থাকার কারণে রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না। জুন (২০১৯) পর্যন্ত ল্যাবে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ শতাধিক মামলার নমুনা জমা হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না। এগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলা। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে না পারায় এসব মামলার চার্জশিট দিতে পারছেন না তদন্ত কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরও মেশিনটি ঠিক করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা বাড়ছে। বিচারের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে হচ্ছে ভিকটিমকে।
ল্যাব সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ৪৮০টি মামলার নমুনা আসে ল্যাবে। এরমধ্যে ১৭৮টি মামলার রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ৩০২টি মামলার রিপোর্ট এখনও দেওয়া যায়নি। এ বছরের প্রথম চার মাসে ২০৮টি মামলার নমুনা এখনও পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের ৫১০টি মামলার নমুনা এখনও পরীক্ষাধীন রয়েছে।
ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের কারণে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর তদন্ত ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও কেন রিপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না—জানতে চাইলে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘‘গত জানুয়ারি থেকে ডিএনএ ল্যাবের ‘জেনেটিক এনালাইজার’ মেশিনটি নষ্ট থাকায় রিপোর্ট দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ল্যাবের সরঞ্জামগুলোও ১২ বছরেরও বেশি পুরনো। এসব মেশিন ও সরঞ্জামেরও সংস্কার প্রয়োজন। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’ শিগগিরিই এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি।
No comments