বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচন: নৌকা আর ঘোড়ার রেস by জাবেদ রহিম বিজন ও আমীরজাদা চৌধুরী
বিজয়নগরে
চলছে নৌকা আর ঘোড়ার রেস। কে কাকে পেছনে ফেলে এগুতে পারে সে চেষ্টা চলছে
অবিরাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমন আবহই ভেসে
উঠেছে প্রচার-প্রচারণার শেষ সময়ে। জেলার চারদিক থেকে আওয়ামী লীগের
নেতাকর্মীরা নৌকা জেতাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন সেখানে। যদিও সাধারণের হিসেবে
প্রতিদ্বন্দ্বিতার রেসে এখনো অনেক পিছিয়ে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে চেয়ারম্যান
পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট পাঁচজন। তবে আওয়ামী লীগের তানভীর ভূঁইয়া
আর স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের নাছিমা মুকাই আলীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ
প্রতিদ্বন্দ্বিতার হিসাব-নিকাশ। জেলায় সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এটি।
সে কারণে সবার নজর এখন সে দিকেই। তাছাড়া আরো অনেক কারণেই আলোচিত হয়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী এই উপজেলার নির্বাচন। ৬৩ কেন্দ্রের সবক’টিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে এখানে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সংসদীয় আসন এলাকার একটি উপজেলা এটি। সদরের নির্বাচনে হারের পর এই উপজেলায় আর হারতে চাইছে না আওয়ামী লীগ। কিন্তু প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে দলটি শুরু থেকে। উপজেলার নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয়তায় ঘোড়া এগিয়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রার্থী নিজেও হেঁটেছেন কম। সদর উপজেলায় নির্দলীয় প্রার্থীর কারিশমায় নৌকা ধরাশায়ী হওয়ার পর বিজয়নগরেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর গ্যাঁড়াকলে পড়েছে আওয়ামী লীগ। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আওয়ামী লীগ আর স্বতন্ত্র প্রার্থী দু’জনেই সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নামে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছেন। আওয়ামী লীগ তাদের প্রচারণায় মোকতাদির চৌধুরীর উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে তার খাতিরে নৌকায় ভোট দেয়ার কথা বলছেন। অন্যদিকে নাছিমা আর তার স্বামী লুৎফুর রহমান দু’জনেই মোকতাদিরের উন্নয়নের প্রশংসা করছেন। জনবিচ্ছিন্নতা, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব এবং গত ৫ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা পরিষদে সময় না দেয়ার অভিযোগ আওয়ামী লীগ প্রার্থী তানভীর ভূইয়ার বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সবারই। আর সে কারণে তার বিপরীতে এক প্রবাসীর স্ত্রী ভোটের মাঠে জায়গা করে নেন সহজেই। তফসিল ঘোষণার আরো আগে থেকেই প্রতিদিন ৮/১০টি গাড়ি নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকেন নাছিমার সমর্থকরা। তবে, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, রোজা ও ঈদের কারণে তাদের প্রচার-প্রচারণা এতদিন বেগবান ছিল না। এখন অবস্থার উন্নতি হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা ওভারকাম করতে পারবো।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া বলেন, টাকার অবৈধ ছড়াছড়ি করতে না পারলে আমিই পাস করবো। তাদের (নাছিমা) প্রচুর টাকা। এই টাকা দিয়ে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের প্রভাবিত করতে চায়। মসজিদ-মাদরাসা ও মন্দিরে টাকা দেবে বলে লোভ দেখায়। ১১ই জুন বুধন্তীতে এক মিটিংয়ে লোক আসে না বলে তারা ৮ মণ মিষ্টি এনে বিতরণ করেছে। তানভীর তাকে নিয়ে ওঠা অভিযোগের জবাবে বলেন, আমি এমন কোনো দিন নেই যে অফিস করিনি। আমার এন্ট্রি জামায়াত বিএনপি’র লোকজনই এসব প্রচার করে। এগুলো কোনো অভিযোগ না। ঘুষ খেয়েছি, মাদক ব্যবসা করি, মদ-গাঁজা খেয়েছি, জুয়া খেলেছি, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছি এসব অভিযোগ তো কেউ করে না। তিনি নাছিমা লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে পদেপদে নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘনেরও অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন তারা ৫টা অফিস করার স্থলে ১৫০টি অফিস করেছে। রঙিন পোস্টার লাগিয়েছে। টাকা দিয়ে ভোট কিনছে। আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমন বললেও নাছিমা মুকাই আলী তার প্রচার-প্রচারণায় শুরু থেকে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। তার গাড়ি ও গানম্যানকে আটক করা হয়। বিজয়নগরের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের আরো তিন প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাহেদ হোসেন (দোয়াত কলম), সৈয়দ মাঈন উদ্দিন (আনারস) ও অ্যাডভোকেট ফজলুল হক (মোটরসাইকেল)। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তারা হচ্ছেন- মাহমুদুর রহমান মান্না (চশমা), মৃনাল কান্তি চৌধুরী (মাইক) ও মো. মোখলেছুর রহমান লিটন (টিওবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফয়জুননাহার (হাঁস) ও সাবিত্রী রানী (কলস)। মোট ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৩১৬। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৭ হাজার ৪৫৬ আর মহিলা ভোটার ৮৩ হাজার ৮৬০।
সে কারণে সবার নজর এখন সে দিকেই। তাছাড়া আরো অনেক কারণেই আলোচিত হয়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী এই উপজেলার নির্বাচন। ৬৩ কেন্দ্রের সবক’টিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে এখানে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সংসদীয় আসন এলাকার একটি উপজেলা এটি। সদরের নির্বাচনে হারের পর এই উপজেলায় আর হারতে চাইছে না আওয়ামী লীগ। কিন্তু প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে দলটি শুরু থেকে। উপজেলার নেতাকর্মীদের নিষ্ক্রিয়তায় ঘোড়া এগিয়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রার্থী নিজেও হেঁটেছেন কম। সদর উপজেলায় নির্দলীয় প্রার্থীর কারিশমায় নৌকা ধরাশায়ী হওয়ার পর বিজয়নগরেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর গ্যাঁড়াকলে পড়েছে আওয়ামী লীগ। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আওয়ামী লীগ আর স্বতন্ত্র প্রার্থী দু’জনেই সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নামে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছেন। আওয়ামী লীগ তাদের প্রচারণায় মোকতাদির চৌধুরীর উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে তার খাতিরে নৌকায় ভোট দেয়ার কথা বলছেন। অন্যদিকে নাছিমা আর তার স্বামী লুৎফুর রহমান দু’জনেই মোকতাদিরের উন্নয়নের প্রশংসা করছেন। জনবিচ্ছিন্নতা, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব এবং গত ৫ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে উপজেলা পরিষদে সময় না দেয়ার অভিযোগ আওয়ামী লীগ প্রার্থী তানভীর ভূইয়ার বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সবারই। আর সে কারণে তার বিপরীতে এক প্রবাসীর স্ত্রী ভোটের মাঠে জায়গা করে নেন সহজেই। তফসিল ঘোষণার আরো আগে থেকেই প্রতিদিন ৮/১০টি গাড়ি নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকেন নাছিমার সমর্থকরা। তবে, আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, রোজা ও ঈদের কারণে তাদের প্রচার-প্রচারণা এতদিন বেগবান ছিল না। এখন অবস্থার উন্নতি হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা ওভারকাম করতে পারবো।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া বলেন, টাকার অবৈধ ছড়াছড়ি করতে না পারলে আমিই পাস করবো। তাদের (নাছিমা) প্রচুর টাকা। এই টাকা দিয়ে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের প্রভাবিত করতে চায়। মসজিদ-মাদরাসা ও মন্দিরে টাকা দেবে বলে লোভ দেখায়। ১১ই জুন বুধন্তীতে এক মিটিংয়ে লোক আসে না বলে তারা ৮ মণ মিষ্টি এনে বিতরণ করেছে। তানভীর তাকে নিয়ে ওঠা অভিযোগের জবাবে বলেন, আমি এমন কোনো দিন নেই যে অফিস করিনি। আমার এন্ট্রি জামায়াত বিএনপি’র লোকজনই এসব প্রচার করে। এগুলো কোনো অভিযোগ না। ঘুষ খেয়েছি, মাদক ব্যবসা করি, মদ-গাঁজা খেয়েছি, জুয়া খেলেছি, সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছি এসব অভিযোগ তো কেউ করে না। তিনি নাছিমা লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে পদেপদে নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘনেরও অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন তারা ৫টা অফিস করার স্থলে ১৫০টি অফিস করেছে। রঙিন পোস্টার লাগিয়েছে। টাকা দিয়ে ভোট কিনছে। আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করছে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমন বললেও নাছিমা মুকাই আলী তার প্রচার-প্রচারণায় শুরু থেকে বাধা প্রাপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। তার গাড়ি ও গানম্যানকে আটক করা হয়। বিজয়নগরের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের আরো তিন প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাহেদ হোসেন (দোয়াত কলম), সৈয়দ মাঈন উদ্দিন (আনারস) ও অ্যাডভোকেট ফজলুল হক (মোটরসাইকেল)। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন। তারা হচ্ছেন- মাহমুদুর রহমান মান্না (চশমা), মৃনাল কান্তি চৌধুরী (মাইক) ও মো. মোখলেছুর রহমান লিটন (টিওবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ফয়জুননাহার (হাঁস) ও সাবিত্রী রানী (কলস)। মোট ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৩১৬। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৭ হাজার ৪৫৬ আর মহিলা ভোটার ৮৩ হাজার ৮৬০।
No comments