এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি: মূল হোতাসহ পালিয়েছে ৪ জন by শুভ্র দেব
অভিনব
পদ্ধতিতে এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় মূল হোতাসহ পালিয়েছে চার বিদেশি
নাগরিক। তারা সবাই ইউক্রেনের নাগরিক। এর মধ্যে তিনজন ঘটনার পরপরই দেশ
ছেড়েছেন। অন্যজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার নাম ভিটালি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তারা তাকে আটকের চেষ্টা করছেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা
ইউক্রেনের ওই পলাতক নাগরিকই এই চক্রের মুলহোতা। খিলগাঁও তালতলার ডাচ বাংলার
বুথ থেকে টাকা চুরির সময় তার সহযোগীকে স্থানীয়রা আটক করার সময় সে পালিয়ে
যায়।
অন্যদিকে রিমান্ডে চক্রের ছয় সদস্য তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছে বুথ থেকে চুরি হওয়া টাকা পলাতক ওই সদস্যর কাছে আছে। যদিও তাদের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে তিন দিনের রিমান্ড শেষ করে গতকাল ফের রিমান্ড আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গোয়েন্দাসূত্র জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মিশনে এসে ইউক্রেনের ওই নাগরিকরা ৯টি এটিএম বুথে হানা দিয়েছে। এসব বুথ থেকে তুলে নিয়েছে ১৫/১৬ লাখ টাকা। ৩০ মে তুর্কি এয়ারওয়েজের একটি বিমানে এসে তারা পরের দিন মধ্য বাড্ডার দুটি বুথ থেকে তুলে নেয় চার লাখ টাকা। পহেলা জুন বাকি সাতটি বুথে হানা দেয়। এসব বুথের মধ্য রয়েছে খিলগাঁও তালতলা, রেডিসন হোটেল, কাকরাইল, রামপুরা ডিআইটি ও নিকুঞ্জ এলাকার বুথ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ইউক্রেনের ১০ নাগরিকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এর বাইরে ইউক্রেনের কেউ জড়িত আছে কিনা এ বিষয়ে পরবর্তী রিমান্ডে ওই চক্রের ছয় সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া তার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত লেজারস চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তাদের সঙ্গে দেশের কোন চক্রের সম্পৃক্ততা আছে কিনা এবং ক্লোন করতে গিয়ে তারা কি ধরনের সফটওয়ার ব্যবহার করেছে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে আরও জানা গেছে, তিন দিনের রিমান্ডে আটক চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে আশানুরুপ তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। চুরি করা টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা প্রত্যেকেই একই কথা বলছে। আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদেও তাদের দাবি চুরি হওয়া টাকা ভিটালির কাছে রয়েছে।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, দেশের এটিএম বুথে বিদেশি চক্র হানা দিতে পারে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দারা বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের এমন তথ্য আগেই জানিয়েছিলেন। সিআইডির পক্ষ থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এতটা সতর্ক হয়নি। এছাড়া ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংর্কের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে লেজারস নামের যে চক্রটি জড়িত ছিল সেই চক্রের সঙ্গে এই চক্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। চক্রটি একটি বিশেষ সফটওয়ার ব্যবহার করে টাকা চুরি করেছে। যার মাধ্যমে বুথের পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের কাছে চলে গিয়েছিল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার শাহিদুর রহমান বলেন, তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে ফের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি এ চক্রের আরও তিন সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করা করা ও কি ধরনের প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করেছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করা হয়নি। আটককৃতরা বলছে ওই টাকা পলাতক ওই সদস্যদের কাছে আছে। আর কি প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করেছে জানার চেষ্টা চলছে।
গত ৩১শে মে শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে দুইজন বিদেশি নাগরিক কার্ড ব্যবহার করে একাধিকবার টাকা উত্তোলন করেন। এসময় তাদের মুখে মাস্ক, চোখে সানগ্লাস ও মাথায় টুপি পরা ছিল। পরেরদিন শনিবার ওই এটিএম বুথের টাকার হিসাব মেলানোর সময় তিন লাখ টাকা কম হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুইজন বিদেশি কর্তৃক টাকা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সকল এটিএম বুথে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
ওই দিন রাতেই খিলগাঁও তালতলা এলাকার একটি বুথে দুই বিদেশি নাগরিক টাকা তুলতে যান। তখন তাদের মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি পরা ছিল। বুথে ঢুকেও তারা অস্বাভাবিক সময় নিচ্ছিলেন। নিরাপত্তাকর্মী বিষয়টি টের পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে জড়ো করেন। তাদের সহযোগিতায় একজন বিদেশিকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম ইন্টারন্যাশনাল থেকে আরও পাঁচ বিদেশিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা হলেন দেনিস ভিতোমস্কি (২০), নাজারি ভজনোক (১৯), ভালেনতিন সোকোলোভস্কি (৩৭), সের্গেই উইক্রাইনেৎস (৩৩), শেভচুক আলেগ (৪৬) ও ভালোদিমির ত্রিশেনস্কি (৩৭)। তারা ছয়জনই ইউক্রেনের নাগরিক। এর আগে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একইভাবে টাকা চুরি করে বাংলাদেশে এসেছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে। এছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মানি লন্ডারিং আইনে বাড্ডা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
অন্যদিকে রিমান্ডে চক্রের ছয় সদস্য তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছে বুথ থেকে চুরি হওয়া টাকা পলাতক ওই সদস্যর কাছে আছে। যদিও তাদের কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে তিন দিনের রিমান্ড শেষ করে গতকাল ফের রিমান্ড আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গোয়েন্দাসূত্র জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মিশনে এসে ইউক্রেনের ওই নাগরিকরা ৯টি এটিএম বুথে হানা দিয়েছে। এসব বুথ থেকে তুলে নিয়েছে ১৫/১৬ লাখ টাকা। ৩০ মে তুর্কি এয়ারওয়েজের একটি বিমানে এসে তারা পরের দিন মধ্য বাড্ডার দুটি বুথ থেকে তুলে নেয় চার লাখ টাকা। পহেলা জুন বাকি সাতটি বুথে হানা দেয়। এসব বুথের মধ্য রয়েছে খিলগাঁও তালতলা, রেডিসন হোটেল, কাকরাইল, রামপুরা ডিআইটি ও নিকুঞ্জ এলাকার বুথ। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ইউক্রেনের ১০ নাগরিকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এর বাইরে ইউক্রেনের কেউ জড়িত আছে কিনা এ বিষয়ে পরবর্তী রিমান্ডে ওই চক্রের ছয় সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া তার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত লেজারস চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তাদের সঙ্গে দেশের কোন চক্রের সম্পৃক্ততা আছে কিনা এবং ক্লোন করতে গিয়ে তারা কি ধরনের সফটওয়ার ব্যবহার করেছে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে আরও জানা গেছে, তিন দিনের রিমান্ডে আটক চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে আশানুরুপ তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। চুরি করা টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা প্রত্যেকেই একই কথা বলছে। আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদেও তাদের দাবি চুরি হওয়া টাকা ভিটালির কাছে রয়েছে।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, দেশের এটিএম বুথে বিদেশি চক্র হানা দিতে পারে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দারা বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের এমন তথ্য আগেই জানিয়েছিলেন। সিআইডির পক্ষ থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এতটা সতর্ক হয়নি। এছাড়া ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংর্কের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে লেজারস নামের যে চক্রটি জড়িত ছিল সেই চক্রের সঙ্গে এই চক্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। চক্রটি একটি বিশেষ সফটওয়ার ব্যবহার করে টাকা চুরি করেছে। যার মাধ্যমে বুথের পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের কাছে চলে গিয়েছিল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার শাহিদুর রহমান বলেন, তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে ফের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি এ চক্রের আরও তিন সদস্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করা করা ও কি ধরনের প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করেছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করা হয়নি। আটককৃতরা বলছে ওই টাকা পলাতক ওই সদস্যদের কাছে আছে। আর কি প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করেছে জানার চেষ্টা চলছে।
গত ৩১শে মে শুক্রবার রাজধানীর বাড্ডা এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে দুইজন বিদেশি নাগরিক কার্ড ব্যবহার করে একাধিকবার টাকা উত্তোলন করেন। এসময় তাদের মুখে মাস্ক, চোখে সানগ্লাস ও মাথায় টুপি পরা ছিল। পরেরদিন শনিবার ওই এটিএম বুথের টাকার হিসাব মেলানোর সময় তিন লাখ টাকা কম হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুইজন বিদেশি কর্তৃক টাকা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সকল এটিএম বুথে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
ওই দিন রাতেই খিলগাঁও তালতলা এলাকার একটি বুথে দুই বিদেশি নাগরিক টাকা তুলতে যান। তখন তাদের মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি পরা ছিল। বুথে ঢুকেও তারা অস্বাভাবিক সময় নিচ্ছিলেন। নিরাপত্তাকর্মী বিষয়টি টের পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে জড়ো করেন। তাদের সহযোগিতায় একজন বিদেশিকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম ইন্টারন্যাশনাল থেকে আরও পাঁচ বিদেশিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা হলেন দেনিস ভিতোমস্কি (২০), নাজারি ভজনোক (১৯), ভালেনতিন সোকোলোভস্কি (৩৭), সের্গেই উইক্রাইনেৎস (৩৩), শেভচুক আলেগ (৪৬) ও ভালোদিমির ত্রিশেনস্কি (৩৭)। তারা ছয়জনই ইউক্রেনের নাগরিক। এর আগে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একইভাবে টাকা চুরি করে বাংলাদেশে এসেছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে। এছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মানি লন্ডারিং আইনে বাড্ডা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
No comments