পানি আনতে গেলেন মা, মরুভূমিতে তৃষ্ণায় মৃত্যু শিশুর
প্রচণ্ড
গরমে পানির অভাবে মেক্সিকো-আমেরিকা সীমান্তে আরিজোনার মরুভূমি এলাকায়
মৃত্যু হল একটি শিশুর। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাম গুরুপ্রীত কউর। বয়স ৬
বছর। হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।
মার্কিন বর্ডার পেট্রল পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ কয়েক জনকে নিয়ে তার মা ভারত থেকে গিয়েছিলেন মেক্সিকোয়। উদ্দেশ্য ছিল, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে ঢুকে আমেরিকায় আশ্রয় নেওয়া। মেক্সিকো থেকে আরও অনেকের সঙ্গে তাদের গাড়িতে চাপিয়ে আরিজোনার মরুভূমির পাশ্ববর্তী একটি এলাকায় মঙ্গলবার সকালে নামিয়ে দিয়ে যায় পাচারকারীরা। আশ্রয় নিতেই তারা মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছিলেন আমেরিকায়। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে পাচারকারীরা মেক্সিকো সীমান্ত থেকে এভাবেই আমেরিকায় ঢুকিয়ে দিয়ে যায় অনুপ্রবেশকারীদের, মার্কিন বর্ডার পেট্রল পুলিশের নজর এড়িয়ে।
মেক্সিকো সীমান্তে মার্কিন বর্ডার পেট্রল পুলিশ ও পিমা কাউন্টি অফিস অব দ্য মেডিক্যাল এগজামিনার (পিসিওএমই) জানিয়েছে, পাঁচ জনের একটি ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীর দলে ছিল ওই শিশু ও তার মা। আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের এই দলটিকেও মঙ্গলবার সকালে একটি গাড়িতে চাপিয়ে পাচারকারীরা টাকসনের ৫০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে মরুভূমি লাগোয়া আরিজোনার সীমান্ত শহর লুকভিলেতে নামিয়ে দিয়ে যায়। ওই দিন লুকভিলের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১০৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মরুভূমির পাশ্ববর্তী ওই এলাকায় প্রচণ্ড গরমে হাঁটতে গিয়ে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন সকলেই। ওই সময় শিশুটির মা অন্য এক মহিলাকে নিয়ে পানির খোঁজ করতে যান বেশ কিছুটা দূরে। সন্তানটিকে রেখে যান তাদের দলেরই এক মহিলার ও তার সন্তানের কাছে। ফিরে এসে তার শিশুটি বা যে মহিলার কাছে তার শিশুটিকে রেখে গিয়েছিলেন, কাউকেই দেখতে পাননি মা। মরুভূমিতে শিশুটিকে খুঁজতে থাকেন তার মা।
দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর বুধবার মার্কিন বর্ডার পুলিশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে শিশুটির লাশ পায়। কিন্তু যাঁর হেফাজতে শিশুটিকে রেখে গিয়েছিলেন তার মা, সেই মহিলার খোঁজ মেলেলি তখনও। পরে তার ৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে মার্কিন সীমান্ত পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মহিলা।
মার্কিন পুলিশের বক্তব্য, মেক্সিকো সীমান্তে পাচারকারীদের জন্যই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রচুর অর্থ রোজগারের তাগিদে তারা অনুপ্রবেশকারীদের এভাবেই নামিয়ে দিয়ে যায় মার্কিন সীমান্তের মরুভূমিতে। এ বছরের মে মাস পর্যন্ত এমন ধরনের ঘটনায় হিট স্ট্রোকের শিকার হয়ে ৫৮ জন অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়েছে আরিজোনায়। গত বছর সংখ্যাটা ছিল ১২৭।
মার্কিন বর্ডার পেট্রল পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ কয়েক জনকে নিয়ে তার মা ভারত থেকে গিয়েছিলেন মেক্সিকোয়। উদ্দেশ্য ছিল, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে ঢুকে আমেরিকায় আশ্রয় নেওয়া। মেক্সিকো থেকে আরও অনেকের সঙ্গে তাদের গাড়িতে চাপিয়ে আরিজোনার মরুভূমির পাশ্ববর্তী একটি এলাকায় মঙ্গলবার সকালে নামিয়ে দিয়ে যায় পাচারকারীরা। আশ্রয় নিতেই তারা মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকেছিলেন আমেরিকায়। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে পাচারকারীরা মেক্সিকো সীমান্ত থেকে এভাবেই আমেরিকায় ঢুকিয়ে দিয়ে যায় অনুপ্রবেশকারীদের, মার্কিন বর্ডার পেট্রল পুলিশের নজর এড়িয়ে।
মেক্সিকো সীমান্তে মার্কিন বর্ডার পেট্রল পুলিশ ও পিমা কাউন্টি অফিস অব দ্য মেডিক্যাল এগজামিনার (পিসিওএমই) জানিয়েছে, পাঁচ জনের একটি ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীর দলে ছিল ওই শিশু ও তার মা। আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের এই দলটিকেও মঙ্গলবার সকালে একটি গাড়িতে চাপিয়ে পাচারকারীরা টাকসনের ৫০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে মরুভূমি লাগোয়া আরিজোনার সীমান্ত শহর লুকভিলেতে নামিয়ে দিয়ে যায়। ওই দিন লুকভিলের তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ১০৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মরুভূমির পাশ্ববর্তী ওই এলাকায় প্রচণ্ড গরমে হাঁটতে গিয়ে তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েন সকলেই। ওই সময় শিশুটির মা অন্য এক মহিলাকে নিয়ে পানির খোঁজ করতে যান বেশ কিছুটা দূরে। সন্তানটিকে রেখে যান তাদের দলেরই এক মহিলার ও তার সন্তানের কাছে। ফিরে এসে তার শিশুটি বা যে মহিলার কাছে তার শিশুটিকে রেখে গিয়েছিলেন, কাউকেই দেখতে পাননি মা। মরুভূমিতে শিশুটিকে খুঁজতে থাকেন তার মা।
দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর বুধবার মার্কিন বর্ডার পুলিশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে শিশুটির লাশ পায়। কিন্তু যাঁর হেফাজতে শিশুটিকে রেখে গিয়েছিলেন তার মা, সেই মহিলার খোঁজ মেলেলি তখনও। পরে তার ৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে মার্কিন সীমান্ত পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ওই মহিলা।
মার্কিন পুলিশের বক্তব্য, মেক্সিকো সীমান্তে পাচারকারীদের জন্যই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রচুর অর্থ রোজগারের তাগিদে তারা অনুপ্রবেশকারীদের এভাবেই নামিয়ে দিয়ে যায় মার্কিন সীমান্তের মরুভূমিতে। এ বছরের মে মাস পর্যন্ত এমন ধরনের ঘটনায় হিট স্ট্রোকের শিকার হয়ে ৫৮ জন অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়েছে আরিজোনায়। গত বছর সংখ্যাটা ছিল ১২৭।
অ্যারিজোনার মরু এলাকা, মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত - ছবি : সংগৃহীত |
No comments