আপিল বিভাগের প্রশ্ন: ডিআইজি মিজান কি দুদকের চেয়েও বড়?
দুদক
পরিচালককে ঘুষ দিয়ে তা প্রকাশ করার পরও পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে
কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এ প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন-এর নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ প্রশ্ন
তুলে বলেন, একজন তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের কথা স্বীকার করার পরও
দুদক কেন তাকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না? সে কি দুদকের চেয়েও বেশি
শক্তিশালী?
আপিল বেঞ্চ ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় বহুল আলোচিত হলমার্কের চেয়ারপারসন জেসমিন ইসলামের জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানিতে দুদকের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আদালতে এ দিন লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও আবদুল মতিন খসরু। এ সময় আদালত হলমার্কের চেয়ারপারসন জেসমিন ইসলামকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
শুনানিকালে আদালত বলেন, আপনাদের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এটা তো অ্যালার্মিং দেশের জন্য। জবাবে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, এর বিরুদ্ধে পিউনেটিভ অ্যাকশন নেয়া হয়েছে। আদালত তখন বলেন, কিসের পিউনেটিভ অ্যাকশন নিয়েছেন? আপনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ আর তথ্য পাচারের জন্য অ্যাকশন নিয়েছেন, ঘুষের কোনো অ্যালিগেশন আপনি নেননি, অ্যাকশন নেননি। কোনো কিছু করেননি।
দুদকের আইনজীবী বলেন, ঘুষের জন্য নিতে হলে আমাকে একটু অনুসন্ধান করতে হবে। অনুসন্ধান করে আমাকে এফআইআর দায়ের করতে হবে। আইনের বাইরে তো আমি কোনো কিছু করতে পারব না। আদালত বলেন, ডিআইজি মিজান কি দুদকের চাইতে বড়? তাকে তো আপনি অ্যারেস্ট করতে পারছেন না। হ্যাঁ, তাকে কেন অ্যারেস্ট করছেন না? এই মামলায় তাকে কেন অ্যারেস্ট করছেন না?
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদেরকে বলেন, এ মামলার শুনানিকালে আদালত আমাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন। আদালত দুদক তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের কথা স্বীকার করার পরও পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে দুদক কেন গ্রেপ্তার করতে পারছে না? সে কি দুদকের চেয়েও বেশি শক্তিশালী? আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে আমি বলেছি-আমার যে লোক (দুদকের কর্মকর্তা) আমি তাকে সাসপেন্ড করেছি। আর যে মামলায় তার (ডিআইজি মিজানুর রহমান) অ্যারেস্ট হওয়ার কথা সে মামলাতে অলরেডি চার্জশিট মেমো অব অ্যাভিডেন্স দেয়া হয়েছে এবং যিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দুদক একটা অ্যাকশন নিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে নতুন একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সে নতুনভাবে কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত আইনানুগভাবে গুরুত্বসহকারে দুদক দেখছে। কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
হলমার্কের জেসমিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ: এদিকে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ হলমার্কের চেয়ারপারসন জেসমিন ইসলামকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এ সময় আদালত বলেন, ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আবার ওই টাকার বিপরীতে বন্ধকীকৃত সম্পত্তি ছাড়িয়ে নিতে হাইকোর্টে রিট করছেন। এসব নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। শুনানিতে দুদকের আইনজীবী বলেন, জেসমিন ইসলাম হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে থাকাকালে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্ত শেষ না হওয়ায় হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছেন, এটা কোনো জামিন মঞ্জুরের কারণ হতে পারে না। এ সময় আপিল বিভাগ জেসমিন ইসলামের জামিন বাতিল করে নিম্ন আদালতে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আপিল বেঞ্চ ঋণ কেলেঙ্কারি মামলায় বহুল আলোচিত হলমার্কের চেয়ারপারসন জেসমিন ইসলামের জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানিতে দুদকের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। আদালতে এ দিন লিভ টু আপিলের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও আবদুল মতিন খসরু। এ সময় আদালত হলমার্কের চেয়ারপারসন জেসমিন ইসলামকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
শুনানিকালে আদালত বলেন, আপনাদের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এটা তো অ্যালার্মিং দেশের জন্য। জবাবে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, এর বিরুদ্ধে পিউনেটিভ অ্যাকশন নেয়া হয়েছে। আদালত তখন বলেন, কিসের পিউনেটিভ অ্যাকশন নিয়েছেন? আপনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ আর তথ্য পাচারের জন্য অ্যাকশন নিয়েছেন, ঘুষের কোনো অ্যালিগেশন আপনি নেননি, অ্যাকশন নেননি। কোনো কিছু করেননি।
দুদকের আইনজীবী বলেন, ঘুষের জন্য নিতে হলে আমাকে একটু অনুসন্ধান করতে হবে। অনুসন্ধান করে আমাকে এফআইআর দায়ের করতে হবে। আইনের বাইরে তো আমি কোনো কিছু করতে পারব না। আদালত বলেন, ডিআইজি মিজান কি দুদকের চাইতে বড়? তাকে তো আপনি অ্যারেস্ট করতে পারছেন না। হ্যাঁ, তাকে কেন অ্যারেস্ট করছেন না? এই মামলায় তাকে কেন অ্যারেস্ট করছেন না?
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদেরকে বলেন, এ মামলার শুনানিকালে আদালত আমাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন। আদালত দুদক তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের কথা স্বীকার করার পরও পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে দুদক কেন গ্রেপ্তার করতে পারছে না? সে কি দুদকের চেয়েও বেশি শক্তিশালী? আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে আমি বলেছি-আমার যে লোক (দুদকের কর্মকর্তা) আমি তাকে সাসপেন্ড করেছি। আর যে মামলায় তার (ডিআইজি মিজানুর রহমান) অ্যারেস্ট হওয়ার কথা সে মামলাতে অলরেডি চার্জশিট মেমো অব অ্যাভিডেন্স দেয়া হয়েছে এবং যিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে দুদক একটা অ্যাকশন নিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে নতুন একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সে নতুনভাবে কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত আইনানুগভাবে গুরুত্বসহকারে দুদক দেখছে। কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না।
হলমার্কের জেসমিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ: এদিকে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ হলমার্কের চেয়ারপারসন জেসমিন ইসলামকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এ সময় আদালত বলেন, ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আবার ওই টাকার বিপরীতে বন্ধকীকৃত সম্পত্তি ছাড়িয়ে নিতে হাইকোর্টে রিট করছেন। এসব নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। শুনানিতে দুদকের আইনজীবী বলেন, জেসমিন ইসলাম হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে থাকাকালে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্ত শেষ না হওয়ায় হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছেন, এটা কোনো জামিন মঞ্জুরের কারণ হতে পারে না। এ সময় আপিল বিভাগ জেসমিন ইসলামের জামিন বাতিল করে নিম্ন আদালতে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
No comments