সেনাবাহিনীকে সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে -প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এর নেতৃত্ব
যোগ্য এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে ন্যস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল
সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৯ এর সভায় প্রধান অতিথির
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব
ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন নির্বাচনী পর্ষদ পদোন্নতির জন্য এমন সব সেনা কর্মকর্তাদের সুপারিশ করবে যাদের দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, নেতৃত্বের যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা, শৃঙ্খলা, সততা, বিশ্বস্ততা এবং আনুগত্য রয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা উন্নত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে ১৯৭৪ সালেই প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। সেই আলোকেই বর্তমান সরকার একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য আর্ম ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেই এদেশ শাসন করেছেন। এর আগে যারা শাসন করেন তাদের কারোই জন্ম এদেশে নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার জন্যই সরকার নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
যেখানে কেউ আর ক্ষুধার্ত থাকবে না। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হুসেইন ভূইয়া এবং সশস্ত্রবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সমপ্রসারণ ও আধুনিকায়নের জন্য সব ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে এখন ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকার শাসক হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী না, দেশের সেবক মনে করি। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়াকে একটি অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৮.১৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। আমরা আগামী দিনগুলোতে ডবল ডিজিট জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। ‘মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়ে গেলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, সরকার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৫ লাখ, ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট প্রণয়ন করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। এছাড়াও সরকার তার দূরদর্শী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিরোধী দলে থাকার সময় থেকেই খাত-ভিত্তিক উন্নয়নের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। অতীতের বাজেটগুলোতে সব সময়ই ৫ শতাংশ ঘাটতি দেখা গেছে এবং এটা কখনোই মাত্রা অতিক্রম করেনি। এ পর্যন্ত পাঁচ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করায় মানুষ দরিদ্রসীমার নিচ থেকে উঠে আসছে। নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়ন অর্জণের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। সমপ্রতি সৌদি আরবের মক্কায় ওআইসি’র ১৪তম সম্মেলনে আমাদের নারী ক্ষমতায়ন পরিস্থিতির প্রশংসা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পেছনে আমার দেশের জনগণের ওপর আস্থাই ছিল মূল চালিকা শক্তি। আমি যখন ফিরে আসি তখন দেশে বৈরী পরিবেশ বিরাজ করছিল। ১৯৭৫ সালের পর ১৯টি ক্যু প্রচেষ্টা হয়েছিল। যখন আমি দেশে ফিরি মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব ছিল। কিন্তু দেশে এখন সেই পরিস্থিতি নেই।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন নির্বাচনী পর্ষদ পদোন্নতির জন্য এমন সব সেনা কর্মকর্তাদের সুপারিশ করবে যাদের দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, নেতৃত্বের যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা, শৃঙ্খলা, সততা, বিশ্বস্ততা এবং আনুগত্য রয়েছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা উন্নত ও পেশাদার সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে ১৯৭৪ সালেই প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। সেই আলোকেই বর্তমান সরকার একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য আর্ম ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই মাটিতে জন্মগ্রহণ করেই এদেশ শাসন করেছেন। এর আগে যারা শাসন করেন তাদের কারোই জন্ম এদেশে নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা গড়ার জন্যই সরকার নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
যেখানে কেউ আর ক্ষুধার্ত থাকবে না। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হুসেইন ভূইয়া এবং সশস্ত্রবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সমপ্রসারণ ও আধুনিকায়নের জন্য সব ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে এখন ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকার শাসক হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে দেশ পরিচালনা করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী না, দেশের সেবক মনে করি। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়াকে একটি অর্জন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৮.১৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। আমরা আগামী দিনগুলোতে ডবল ডিজিট জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। ‘মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয়ে গেলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, সরকার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৫ লাখ, ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট প্রণয়ন করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট। এছাড়াও সরকার তার দূরদর্শী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিরোধী দলে থাকার সময় থেকেই খাত-ভিত্তিক উন্নয়নের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। অতীতের বাজেটগুলোতে সব সময়ই ৫ শতাংশ ঘাটতি দেখা গেছে এবং এটা কখনোই মাত্রা অতিক্রম করেনি। এ পর্যন্ত পাঁচ কোটি মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করায় মানুষ দরিদ্রসীমার নিচ থেকে উঠে আসছে। নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নারী ক্ষমতায়ন অর্জণের ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। সমপ্রতি সৌদি আরবের মক্কায় ওআইসি’র ১৪তম সম্মেলনে আমাদের নারী ক্ষমতায়ন পরিস্থিতির প্রশংসা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পেছনে আমার দেশের জনগণের ওপর আস্থাই ছিল মূল চালিকা শক্তি। আমি যখন ফিরে আসি তখন দেশে বৈরী পরিবেশ বিরাজ করছিল। ১৯৭৫ সালের পর ১৯টি ক্যু প্রচেষ্টা হয়েছিল। যখন আমি দেশে ফিরি মানুষের মধ্যে আস্থার অভাব ছিল। কিন্তু দেশে এখন সেই পরিস্থিতি নেই।
No comments