ইরানের চারদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর প্রস্তুতি
ইরানের
চতুর্দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর প্রস্তুতি। অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে তারা
অবস্থান করছে। ক্রমেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর ফলে পারস্য উপসাগরে যেকোনো সময় বড় ধরনের যুদ্ধের সূচনা ঘটতে পারে।
বৃহস্পতিবার তেলবাহী দুটি ট্যাংকারে হামলাকে কেন্দ্র করে এমন আশঙ্কা আরো
বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু
ইরান অস্বীকার করেছে অভিযোগ। এরই মধ্যে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ
বিন সালমান আরো জোরালো কণ্ঠে বলেছেন, যেকোনো রকম হুমকি মোকাবিলায় পদক্ষেপ
নিতে তার দেশ মোটেও দ্বিধাবোধ করবে না।
এসব কূটনৈতিক ভাষা। এর অর্থ হলো, এমন কোনো হুমকির প্রেক্ষিতে তারা সরাসরি সামরিক অভিযান চালাতে দ্বিধাবোধ করবে না। ওদিকে বৃহস্পতিবার হামলার বিষয়ে ইরান মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ বৃটেনের। এর জবাবে আনুষ্ঠানিকভাবে তেহরানে নিযুক্ত বৃটেনের রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকেয়ারকে তলব করে ইরান। বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ওই বিষয়ে আলোচনা করতে বৃটিশ রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করেছেন ইরানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে। তবে ইরানের মিডিয়া বলছে, ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। আবার পারস্য উপসাগরে বৃটিশ জাহাজগুলোকে সুরক্ষা দিতে রয়েল নেভি বা বৃটেনের নৌবাহিনীর নৌসেনাদের পাঠানো হচ্ছে। সেনাদের ৩০ এলিট সদস্যকে পারস্য উপসাগরে পাঠানো হবে অন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি, ডেইলি মেইল।
প্রায় এক মাস আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে চারটি ট্যাংকারে হামলা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ওমান উপকূলে দুটি ট্যাংকারে একই রকমভাবে হামলা হয়। এ হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। তারা এজন্য ইরানকে দায়ী করে বিবৃতি দেয়ার পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দৈনিক আশারক আল আওসাত পত্রিকাকে বলেছেন, আমরা এ অঞ্চলে যুদ্ধ চাই না। কিন্তু যদি আমার জনগণ, আমাদের সার্বভৌমত্ব, আমাদের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা এবং আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থের ওপর হামলা আসে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিতে কোনোই দ্বিধা করবো না। তিনি আরো বলেন, ইরানের শাসকগোষ্ঠী তেহরান সফরে থাকা জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি সম্মান দেখায় নি। তিনি যখন তেহরানে ছিলেন, তখন দুটি ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে তাকে জবাব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ট্যাংকার জাপানি।
এ হামলায় ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ দ্রুততার সঙ্গে এবং চূড়ান্ত জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার বিশ্বে শিপিং বিষয়ক সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংগঠন বিআইএমসিও’র প্রধান জ্যাকব লারসেন বলেছেন, হামলার পর কিছু ফার্ম তাদের জাহাজকে হরমুজ প্রণালী এবং ওমান সাগরে প্রবেশ না করতে নির্দেশ দিয়েছে। যদি পরিস্থিতির অবনতি ঘটে তাহলে ট্যাংকারগুলো ওই অঞ্চল পার করাতে সামরিক প্রহরার আয়োজন করতে হতে পারে।
ডেইলি মেইল লিখেছে, বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, বৃহস্পতিবারে ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরান যে দায়ী তা সুনিশ্চিত হয়েছে লন্ডন। এর জবাবে তেহরানে নিয়োজিত বৃটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা বলছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিথ্যা অভিযোগে বিবৃতি দেয়ার প্রতিবাদে বৃটিশ রাষ্ট্রদূতকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ওদিকে হরমুজ প্রণালী বা ওমান সাগরে ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ১৯৮০’র দশকের ‘ট্যাংকার ওয়ার’ বা ট্যাংকার যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এ নিয়ে তখন একদিনের নৌ যুদ্ধ হয়েছিল। সেই আতঙ্ক এখন প্রতিদিনই বাড়ছে ওই অঞ্চলে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছে, তাদের দাবি, তাতে দেখা যাচ্ছে ইরানের একটি পেট্রোল বোট থেকে একটি অবিস্ফোরিত মাইন অবমুক্ত করা হচ্ছে। এ নিয়ে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তাতে অন্য দেশগুলো সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। জার্মানি বলেছে, হামলায় ইরানের ভূমিকা আছে তার স্বপক্ষে একটি ভিডিওই যথেষ্ট নয়। এ হামলার জন্য কে বা কারা দায়ী তার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ। সব পক্ষকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছে চীন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
এসব কূটনৈতিক ভাষা। এর অর্থ হলো, এমন কোনো হুমকির প্রেক্ষিতে তারা সরাসরি সামরিক অভিযান চালাতে দ্বিধাবোধ করবে না। ওদিকে বৃহস্পতিবার হামলার বিষয়ে ইরান মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ বৃটেনের। এর জবাবে আনুষ্ঠানিকভাবে তেহরানে নিযুক্ত বৃটেনের রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকেয়ারকে তলব করে ইরান। বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ওই বিষয়ে আলোচনা করতে বৃটিশ রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করেছেন ইরানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে। তবে ইরানের মিডিয়া বলছে, ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। আবার পারস্য উপসাগরে বৃটিশ জাহাজগুলোকে সুরক্ষা দিতে রয়েল নেভি বা বৃটেনের নৌবাহিনীর নৌসেনাদের পাঠানো হচ্ছে। সেনাদের ৩০ এলিট সদস্যকে পারস্য উপসাগরে পাঠানো হবে অন্যদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি, ডেইলি মেইল।
প্রায় এক মাস আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে চারটি ট্যাংকারে হামলা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ওমান উপকূলে দুটি ট্যাংকারে একই রকমভাবে হামলা হয়। এ হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। তারা এজন্য ইরানকে দায়ী করে বিবৃতি দেয়ার পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দৈনিক আশারক আল আওসাত পত্রিকাকে বলেছেন, আমরা এ অঞ্চলে যুদ্ধ চাই না। কিন্তু যদি আমার জনগণ, আমাদের সার্বভৌমত্ব, আমাদের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা এবং আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থের ওপর হামলা আসে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিতে কোনোই দ্বিধা করবো না। তিনি আরো বলেন, ইরানের শাসকগোষ্ঠী তেহরান সফরে থাকা জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি সম্মান দেখায় নি। তিনি যখন তেহরানে ছিলেন, তখন দুটি ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে তাকে জবাব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি ট্যাংকার জাপানি।
এ হামলায় ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ দ্রুততার সঙ্গে এবং চূড়ান্ত জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার বিশ্বে শিপিং বিষয়ক সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সংগঠন বিআইএমসিও’র প্রধান জ্যাকব লারসেন বলেছেন, হামলার পর কিছু ফার্ম তাদের জাহাজকে হরমুজ প্রণালী এবং ওমান সাগরে প্রবেশ না করতে নির্দেশ দিয়েছে। যদি পরিস্থিতির অবনতি ঘটে তাহলে ট্যাংকারগুলো ওই অঞ্চল পার করাতে সামরিক প্রহরার আয়োজন করতে হতে পারে।
ডেইলি মেইল লিখেছে, বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছেন, বৃহস্পতিবারে ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরান যে দায়ী তা সুনিশ্চিত হয়েছে লন্ডন। এর জবাবে তেহরানে নিয়োজিত বৃটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা বলছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিথ্যা অভিযোগে বিবৃতি দেয়ার প্রতিবাদে বৃটিশ রাষ্ট্রদূতকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ওদিকে হরমুজ প্রণালী বা ওমান সাগরে ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ১৯৮০’র দশকের ‘ট্যাংকার ওয়ার’ বা ট্যাংকার যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে এ নিয়ে তখন একদিনের নৌ যুদ্ধ হয়েছিল। সেই আতঙ্ক এখন প্রতিদিনই বাড়ছে ওই অঞ্চলে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছে, তাদের দাবি, তাতে দেখা যাচ্ছে ইরানের একটি পেট্রোল বোট থেকে একটি অবিস্ফোরিত মাইন অবমুক্ত করা হচ্ছে। এ নিয়ে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তাতে অন্য দেশগুলো সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। জার্মানি বলেছে, হামলায় ইরানের ভূমিকা আছে তার স্বপক্ষে একটি ভিডিওই যথেষ্ট নয়। এ হামলার জন্য কে বা কারা দায়ী তার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ। সব পক্ষকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছে চীন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
No comments