এ এক অন্যরকম ফ্যাশন by রুদ্র মিজান
অন্যরকম
এক ফ্যাশন। দূর দেশ থেকে এখন নিজ দেশে। শুরুটা হয়েছে বেশ আগেই। শরীরের
বিভিন্নস্থানে উল্কি বা ট্যাটু এঁকে তা প্রদর্শন করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে
ছেলে-মেয়েরা। যদিও এই ট্যাটুর গ্রাহক মূলত তরুণীরা। তাদের শরীরের
স্পর্শকাতর স্থানে আঁকা হচ্ছে ট্যাটু। বুকে, পিঠে, উরুতে আঁকা হচ্ছে
বিভিন্ন ধরণের ছবি, নকশা। বিভিন্ন ভাষায় লেখা হচ্ছে প্রিয়জনের নাম।
তা আবার বিভিন্ন কায়দায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। ফেসবুকে সেলফি দিয়ে, হাত বা পিঠের ট্যাটু আঁকা স্থানটি খোলা রেখে ফ্যাশন করছে তারা। নিরবে-নিভৃতে এই ফ্যাশনের বাণিজ্য করছে ঢাকার অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ট্যাটু স্টুডিও বা পার্লার। বিশেষ কায়দায় সূঁচের মাধ্যমে ট্যাটু আঁকা হয় সেখানে।
জানা গেছে, গুলশান, বনানী, উত্তরা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বেইলি রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ট্যাটু আঁকার প্রতিষ্ঠান। ট্যাটু ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও চায়না থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছেন তারা। কয়েকটি ট্যাটু স্টুডিও ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সের তরুণ-তরুণীরা সেখানে ভিড় করছেন। ট্যাটুকে অনেকেই উল্কি বলে থাকেন। ট্যাটু ফ্যাশন বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। দিন দিন তা বিস্তৃত হচ্ছে। সম্প্রতি নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তরিকুল ইসলাম বাদশা নামে একজনকে। তিনি ট্যাটু’র বাদশা হিসেবে পরিচিত। তারপর থেকেই আলোচনায় আসে ট্যাটু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা দেশে প্রথম এটি শুরু করেছিলেন তাদের কেউ কেউ এই পেশায় নেই। সামাজিক কারণেই এটি ছেড়ে অন্য পেশায় ঝুঁকেছেন তারা। তাদের মধ্যে একজন ট্যাটু শিল্পী ফুয়াদ হাসান। মানবজমিনকে ফুয়াদ জানান, ২০০৮ সালে ঢাকার পান্থপথে ‘ভেনম ট্যাটু স্টুডিও’ নামে এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ট্যাটুর প্রতি ভালোবাসা থেকেই থাইল্যান্ডে গিয়ে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন ফুয়াদ। প্রায় তিন মাস থাইল্যান্ডে কাজ করে এটি আয়ত্বে নেন। এতে প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় হয় তার। কিন্তু বিষয়টি সমাজে মেনে নিচ্ছিলেন না অনেকেই। নানা অনিভিপ্রেত কথা বলা হচ্ছিলো। বাধ্য হয়েই ২০১৬ সালে স্টুডিওটি বন্ধ করে দেন তিনি।
তবে দিন দিন ট্যাটু স্টুডিও’র সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি। ট্যাটুতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ-তরুণীদের। গুলশান-২ এলাকার একটি ট্যাটু স্টুডিওতে গিয়ে দেখা গেছে অভ্যর্থনা কক্ষে বসে আছেন তিন জন। দুই তরুণী ও এক তরুণ। তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সহপাঠী। দুই তরুণী জানান, পিঠে এবং হাতে ট্যাটু আঁকাবেন তারা। মৌমিতা নুর নামে তরুণী জানান, বলিউড ‘কুইন’ খ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের ট্যাটুতে মুগ্ধ তিনি। কঙ্গনার ঘাড়ে আঁকা দুটি ডানা, তলোয়ার ও মুকুট তাকে মুগ্ধ করেছে। সেটাই আঁকাতে চান তিনি। সঙ্গী তরুণ ড্রাগনের ছবি আঁকাবেন হাতে। স্টুডিওতে কাজ করছেন দুই জন। এক-এক করে ভেতরের কক্ষে ডেকে নেয়া হচ্ছিলো তাদের। কথা হয় স্টুডিও’র কর্মী আরমানের সঙ্গে। তিনি জানান, এখানে তিন হাজার থেকে বিভিন্ন রেটে কাজ করা হয়। তরুণীরা পিঠে, বুকে, কোমড়ে ট্যাটু করাতে পছন্দ করেন।
মূলত বিদেশী মডেল, অভিনয় শিল্পী ও খেলোয়ারদের শরীরে আঁকা ট্যাটু দেখেই আকৃষ্ট হন তারা। হুবুহু ওইসব খেলোয়ার, অভিনয় শিল্পীদের মতো ট্যাটু করাতে চান। প্রতি স্কয়ার ইঞ্চি হিসেবে ট্যাটুর দরদাম ঠিক করা হয়। জায়গাভেদে স্কয়ার ইঞ্চির দাম এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। এমনকি পুরো শরীরজুড়ে ট্যাটু করতে গেলে লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়। ট্যাটু শিল্পীরা জানান, অনেকেই বলিউডের নায়ক অজয় দেবগনের মতো দেবতা শিবের ছবি, হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো হাতে জুড়ে বিভিন্ন ট্যাটু আঁকতে চান।
তরুণীরা তাদের স্পর্শকাতর স্থানেও ট্যাটু আঁকাতে পছন্দ করেন। সম্প্রতি নিউমার্কেট এলাকার বনলতা মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে ট্যাটু বাদশাকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে এ সংক্রান্ত নানা তথ্য পেয়েছে সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট। জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল ইসলাম বাদশা জানিয়েছে, একসময় ঢাকায় বাদাম বিক্রি করতো বাদশা। হঠাৎ করেই তার নজর পড়ে ট্যাটুর দিকে। কয়েক বছর আগে চায়না গিয়ে ট্যাটুর কাজ শিখে বাদশা।
তারপর নিউমার্কেট এলাকায় ট্যাটু রিমুভ সেন্টার এন্ড আর্ট নামে পার্লার গড়ে তোলে। তার বেশিরভাগ গ্রাহকই মেয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজের এক শ্রেণির ছাত্রী ও পুরান ঢাকার মেয়েরাই তার পার্লারে বেশি যেতো। পুরনো ট্যাটু রিমুভ, নতুন ট্যাটু আঁকা ছাড়াও কৃত্রিম তিল তৈরি করতো বাদশা। এক হাজার টাকার বিনিময়ে ঠোঁটের নিচে বা উপরে তিল তৈরি করে দিতো। গত ১৩ই এপ্রিল তার পার্লারে যায় পাঁচ-ছয় তরুণী। তাদের একজনের কোমড়ের নিচে প্রজাপতি এঁকে দেয় বাদশা। এসময় ওই তরুণী ও তার সঙ্গী তরুণী ভিডিও ধারণ করছিলো। এক পর্যায়ে তাদের সম্মতি নিয়ে নিজের মোবাইলফোন দিয়ে ভিডিও ধারণ করে বাদশা। পরবর্তীতে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে অল্প সময়েই মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এভাবে অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে পর্নোগ্রাফি আইনে বাদশাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম।
ট্যাটুতে তরুণদের আগ্রহ নিয়ে শঙ্কিত অনেকেই। পশ্চিমা দেশগুলো যখন ট্যাটুর ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে গবেষণা করে সচেতন হওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে, ঠিক ওই সময়ে এ দেশে ট্যাটুর প্রতি বাড়ছে আকর্ষণ। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ভিন দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে আমাদের তরুণ-তরুণীরা। তারা ভালোর বদলে খারাপটা সহজেই গ্রহণ করছে। সূঁচ দিয়ে শরীরে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ঢুকিয়ে ট্যাটু করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সাবধান না হলে সূঁচের মাধ্যমে রোগ জীবানু ছড়িয়ে পড়তে পারে। ট্যাটু আঁকানো যে ক্ষতিকর তা প্রচার করতে হবে। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ট্যাটু আঁকা ও তা প্রদর্শন করা আমাদের সংস্কৃতি না। এই অপসংস্কৃতি চর্চা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এজন্য রাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
তা আবার বিভিন্ন কায়দায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। ফেসবুকে সেলফি দিয়ে, হাত বা পিঠের ট্যাটু আঁকা স্থানটি খোলা রেখে ফ্যাশন করছে তারা। নিরবে-নিভৃতে এই ফ্যাশনের বাণিজ্য করছে ঢাকার অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ট্যাটু স্টুডিও বা পার্লার। বিশেষ কায়দায় সূঁচের মাধ্যমে ট্যাটু আঁকা হয় সেখানে।
জানা গেছে, গুলশান, বনানী, উত্তরা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বেইলি রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ট্যাটু আঁকার প্রতিষ্ঠান। ট্যাটু ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানান, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও চায়না থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করেছেন তারা। কয়েকটি ট্যাটু স্টুডিও ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সের তরুণ-তরুণীরা সেখানে ভিড় করছেন। ট্যাটুকে অনেকেই উল্কি বলে থাকেন। ট্যাটু ফ্যাশন বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ২০০৮ সাল থেকে। দিন দিন তা বিস্তৃত হচ্ছে। সম্প্রতি নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তরিকুল ইসলাম বাদশা নামে একজনকে। তিনি ট্যাটু’র বাদশা হিসেবে পরিচিত। তারপর থেকেই আলোচনায় আসে ট্যাটু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা দেশে প্রথম এটি শুরু করেছিলেন তাদের কেউ কেউ এই পেশায় নেই। সামাজিক কারণেই এটি ছেড়ে অন্য পেশায় ঝুঁকেছেন তারা। তাদের মধ্যে একজন ট্যাটু শিল্পী ফুয়াদ হাসান। মানবজমিনকে ফুয়াদ জানান, ২০০৮ সালে ঢাকার পান্থপথে ‘ভেনম ট্যাটু স্টুডিও’ নামে এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ট্যাটুর প্রতি ভালোবাসা থেকেই থাইল্যান্ডে গিয়ে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন ফুয়াদ। প্রায় তিন মাস থাইল্যান্ডে কাজ করে এটি আয়ত্বে নেন। এতে প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় হয় তার। কিন্তু বিষয়টি সমাজে মেনে নিচ্ছিলেন না অনেকেই। নানা অনিভিপ্রেত কথা বলা হচ্ছিলো। বাধ্য হয়েই ২০১৬ সালে স্টুডিওটি বন্ধ করে দেন তিনি।
তবে দিন দিন ট্যাটু স্টুডিও’র সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান তিনি। ট্যাটুতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণ-তরুণীদের। গুলশান-২ এলাকার একটি ট্যাটু স্টুডিওতে গিয়ে দেখা গেছে অভ্যর্থনা কক্ষে বসে আছেন তিন জন। দুই তরুণী ও এক তরুণ। তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সহপাঠী। দুই তরুণী জানান, পিঠে এবং হাতে ট্যাটু আঁকাবেন তারা। মৌমিতা নুর নামে তরুণী জানান, বলিউড ‘কুইন’ খ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের ট্যাটুতে মুগ্ধ তিনি। কঙ্গনার ঘাড়ে আঁকা দুটি ডানা, তলোয়ার ও মুকুট তাকে মুগ্ধ করেছে। সেটাই আঁকাতে চান তিনি। সঙ্গী তরুণ ড্রাগনের ছবি আঁকাবেন হাতে। স্টুডিওতে কাজ করছেন দুই জন। এক-এক করে ভেতরের কক্ষে ডেকে নেয়া হচ্ছিলো তাদের। কথা হয় স্টুডিও’র কর্মী আরমানের সঙ্গে। তিনি জানান, এখানে তিন হাজার থেকে বিভিন্ন রেটে কাজ করা হয়। তরুণীরা পিঠে, বুকে, কোমড়ে ট্যাটু করাতে পছন্দ করেন।
মূলত বিদেশী মডেল, অভিনয় শিল্পী ও খেলোয়ারদের শরীরে আঁকা ট্যাটু দেখেই আকৃষ্ট হন তারা। হুবুহু ওইসব খেলোয়ার, অভিনয় শিল্পীদের মতো ট্যাটু করাতে চান। প্রতি স্কয়ার ইঞ্চি হিসেবে ট্যাটুর দরদাম ঠিক করা হয়। জায়গাভেদে স্কয়ার ইঞ্চির দাম এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। এমনকি পুরো শরীরজুড়ে ট্যাটু করতে গেলে লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়। ট্যাটু শিল্পীরা জানান, অনেকেই বলিউডের নায়ক অজয় দেবগনের মতো দেবতা শিবের ছবি, হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো হাতে জুড়ে বিভিন্ন ট্যাটু আঁকতে চান।
তরুণীরা তাদের স্পর্শকাতর স্থানেও ট্যাটু আঁকাতে পছন্দ করেন। সম্প্রতি নিউমার্কেট এলাকার বনলতা মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে ট্যাটু বাদশাকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে এ সংক্রান্ত নানা তথ্য পেয়েছে সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট। জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল ইসলাম বাদশা জানিয়েছে, একসময় ঢাকায় বাদাম বিক্রি করতো বাদশা। হঠাৎ করেই তার নজর পড়ে ট্যাটুর দিকে। কয়েক বছর আগে চায়না গিয়ে ট্যাটুর কাজ শিখে বাদশা।
তারপর নিউমার্কেট এলাকায় ট্যাটু রিমুভ সেন্টার এন্ড আর্ট নামে পার্লার গড়ে তোলে। তার বেশিরভাগ গ্রাহকই মেয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজের এক শ্রেণির ছাত্রী ও পুরান ঢাকার মেয়েরাই তার পার্লারে বেশি যেতো। পুরনো ট্যাটু রিমুভ, নতুন ট্যাটু আঁকা ছাড়াও কৃত্রিম তিল তৈরি করতো বাদশা। এক হাজার টাকার বিনিময়ে ঠোঁটের নিচে বা উপরে তিল তৈরি করে দিতো। গত ১৩ই এপ্রিল তার পার্লারে যায় পাঁচ-ছয় তরুণী। তাদের একজনের কোমড়ের নিচে প্রজাপতি এঁকে দেয় বাদশা। এসময় ওই তরুণী ও তার সঙ্গী তরুণী ভিডিও ধারণ করছিলো। এক পর্যায়ে তাদের সম্মতি নিয়ে নিজের মোবাইলফোন দিয়ে ভিডিও ধারণ করে বাদশা। পরবর্তীতে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে অল্প সময়েই মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এভাবে অশ্লীলতা ছড়ানোর দায়ে পর্নোগ্রাফি আইনে বাদশাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল ইসলাম।
ট্যাটুতে তরুণদের আগ্রহ নিয়ে শঙ্কিত অনেকেই। পশ্চিমা দেশগুলো যখন ট্যাটুর ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে গবেষণা করে সচেতন হওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে, ঠিক ওই সময়ে এ দেশে ট্যাটুর প্রতি বাড়ছে আকর্ষণ। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, ভিন দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে আমাদের তরুণ-তরুণীরা। তারা ভালোর বদলে খারাপটা সহজেই গ্রহণ করছে। সূঁচ দিয়ে শরীরে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ঢুকিয়ে ট্যাটু করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সাবধান না হলে সূঁচের মাধ্যমে রোগ জীবানু ছড়িয়ে পড়তে পারে। ট্যাটু আঁকানো যে ক্ষতিকর তা প্রচার করতে হবে। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ট্যাটু আঁকা ও তা প্রদর্শন করা আমাদের সংস্কৃতি না। এই অপসংস্কৃতি চর্চা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। এজন্য রাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
No comments