সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে অর্থনীতিতে স্থবিরতা তৈরি হবে by তামান্না মোমিন খান
সাবেক
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, বর্তমান
অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারলে দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি
স্থবিরতা তৈরি হবে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে স্বল্প মেয়াদে এবং মধ্যমেয়াদের
কিছু পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। আস্থার সংকটের কারণেই মানুষ বিনিয়োগ করছে না।
বর্তমান সময়ে সরকারের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ শতভাগ। তেমন কোনো রাজনৈতিক
অস্থিরতা আমরা রাস্তাঘাটে দেখছি না। এ ধরনের শান্ত পরিবেশে মানুষের
বিনিয়োগের উৎসাহ নেই কেন? এটি বড় ধাঁধা এই সময়ের জন্য। এই ধাঁধার উত্তর
খোঁজা দরকার। আস্থার জায়গা শুধু রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ দ্বারা তৈরি হয় না।
আস্থার জায়গা তৈরি করতে হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর যে কর্মকা- সেটা ব্যাংক হোক বা সরকারি অফিস হোক বা অন্যান্য জায়গাগুলোতেও আস্থার পরিবেশটা তৈরি করতে হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি আসলে চালাচ্ছেন কোন নীতি নির্ধারকরা। এই জায়গায় একটা বড় অস্পষ্টতা আছে। অর্থনৈতিক পরিচালনার যে জায়গাটা সেখানে নীতির বিষয়টি আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। একসময় সংসদে অর্থমন্ত্রী বলছেন, ঋণ খেলাপিদের মাফ দেয়া হবে। আবার ব্যাংকে যে সার্বিক দুর্ব্যবস্থা সেটি তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। অর্থনৈতিক পরিচালনায় সরকারের আগ্রহ কতটুকু সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। তাদের এক ধরনের মেগা প্রকল্প চলছে, প্রচার হচ্ছে সবই হচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক পরিচালনায় যে সুস্পষ্ট ঘাটতি আমরা দেখতে পাচ্ছি সেগুলোর বিষয়ে সরকারের নীতি মহল কতটুকু সচেষ্ট। আসলে নীতি পরিচালনা করছে কারা? কাদের নীতির কারণে ব্যাংকগুলোর এই অবস্থা? একেক জন একেকভাবে কথা বলছেন।
বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক দর্শনের মধ্যে আটকে গেছে। মনে হচ্ছে যে অনেক খরচ করলেই উন্নয়ন চলতে থাকবে। খরচ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে না। আপনি চাইলে রাস্তাঘাটে অনেক খরচ করতে পারবেন। কিন্তু সেই রাস্তা যদি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় তাহলে খরচটাই হলো উন্নয়ন হবে না। হাসপাতাল হলো সেখানে ডাক্তার নেই তাহলে সেবা হবে না। খরচ মানেই উন্নয়ন সরকারকে এই দর্শন থেকে বের হয়ে আসা খুব জরুরি এই বিষয়টি সরকারের প্রয়োজন গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা।
আস্থার জায়গা তৈরি করতে হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর যে কর্মকা- সেটা ব্যাংক হোক বা সরকারি অফিস হোক বা অন্যান্য জায়গাগুলোতেও আস্থার পরিবেশটা তৈরি করতে হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি আসলে চালাচ্ছেন কোন নীতি নির্ধারকরা। এই জায়গায় একটা বড় অস্পষ্টতা আছে। অর্থনৈতিক পরিচালনার যে জায়গাটা সেখানে নীতির বিষয়টি আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না। একসময় সংসদে অর্থমন্ত্রী বলছেন, ঋণ খেলাপিদের মাফ দেয়া হবে। আবার ব্যাংকে যে সার্বিক দুর্ব্যবস্থা সেটি তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। অর্থনৈতিক পরিচালনায় সরকারের আগ্রহ কতটুকু সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। তাদের এক ধরনের মেগা প্রকল্প চলছে, প্রচার হচ্ছে সবই হচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক পরিচালনায় যে সুস্পষ্ট ঘাটতি আমরা দেখতে পাচ্ছি সেগুলোর বিষয়ে সরকারের নীতি মহল কতটুকু সচেষ্ট। আসলে নীতি পরিচালনা করছে কারা? কাদের নীতির কারণে ব্যাংকগুলোর এই অবস্থা? একেক জন একেকভাবে কথা বলছেন।
বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক দর্শনের মধ্যে আটকে গেছে। মনে হচ্ছে যে অনেক খরচ করলেই উন্নয়ন চলতে থাকবে। খরচ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে না। আপনি চাইলে রাস্তাঘাটে অনেক খরচ করতে পারবেন। কিন্তু সেই রাস্তা যদি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় তাহলে খরচটাই হলো উন্নয়ন হবে না। হাসপাতাল হলো সেখানে ডাক্তার নেই তাহলে সেবা হবে না। খরচ মানেই উন্নয়ন সরকারকে এই দর্শন থেকে বের হয়ে আসা খুব জরুরি এই বিষয়টি সরকারের প্রয়োজন গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা।
No comments