‘শেবাগ স্যার, ভেজা প্যান্ট এখন...’ by মেহেদী হাসান
বীরেন্দর শেবাগ এখন কোথায়?
না, ‘নজফগড়ের নবাব’ কোথাও পালিয়ে যাননি। শেবাগ আছেন বহাল তবিয়তেই। প্রশ্নটি আসলে রসিকতার ছলে ঘুরপাক খাচ্ছে টুইটারে। শেবাগ নিশ্চয়ই তা দেখছেন। নিশ্চয়ই একটু অনুশোচনাও হচ্ছে। হয়তো ভাবছেন, কী ভেবে যে ওই বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলাম!
গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বিরাট কোহলির দল। একেবারে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা আতিথ্য পাওয়া বলতে যা বোঝায় আর কি। এরপর এল অস্ট্রেলিয়াকে ভারতের আতিথ্য দেওয়ার পালা। অতিথিদের ভালোভাবে ‘সৎকার’ করতে একটি বিজ্ঞাপন বানিয়েছিল ভারতের টিভি চ্যানেল স্টার স্পোর্টস। যা দেখলে যে কোনো অস্ট্রেলিয়ানেরই বুঝে ফেলার কথা, ভারতে ঠিক কী ধরনের আতিথ্য অপেক্ষা করছে তাঁদের দলের জন্য।
বিজ্ঞাপনটি টিভিতে না দেখে থাকলে হয়তো আর কপালে নেই। কারণ কাল অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ভারত। স্টার স্পোর্টস দেখার অভিজ্ঞতা থাকলে ব্যাপারটা বুঝে ফেলার কথা। ভারত সিরিজ হেরেছে আর স্টার স্পোর্টস ওই বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করবে, পাগল নাকি! যেখানে নাকি ভারতের জয় ছাড়া প্রায় আর কোনো ম্যাচ-ই দেখানো হয় না। সে যাকগে, সেই বিজ্ঞাপনের মূল কুশীলব ছিলেন শেবাগ আর একগাদা দুগ্ধপোষ্য শিশু, আর বিষয়বস্তু—শিশুদের মূত্র!
বিজ্ঞাপনের শুরুতেই দেখা গেছে দুগ্ধপোষ্য শিশুর দল অস্ট্রেলিয়ার জার্সি পরে একটি ড্রেসিংরুমে ঢুকছে। সে সঙ্গে শেবাগের কণ্ঠে আদুরে ডাক, ‘ওলে ওলে ওলে। দেখ কে এসেছে এখানে? অস্ট্রেলিয়ার পুরো বাহিনী চলে এসেছে। ওলে ওলে ওলে।’এ কথা বলেই শিশুদের কোলে নেওয়ার জন্য এগিয়ে গেলেন শেবাগ। নিজেদের নিয়ে মশগুল শিশুদের দেখিয়ে শেবাগের ধারাবর্ণনা তখন চলছিল, ‘আমরা যখন অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলাম, তখন ওরা জিজ্ঞেস করেছিল বেবি সিটিং করবে? আমরা বলেছিলাম, সবাই চলে আস, অবশ্যই করব।’
শেবাগের এ কথার গভীরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে ঋষভ পন্তের সঙ্গে টিম পেইনের স্লেজিং চালাচালি। মেলবোর্ন টেস্টে পেইন তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি বেবি সিট করতে পার? আমি বউকে নিয়ে একদিন সিনেমা দেখে আসব, তুমি একটু বাচ্চাদের দেখে রাখবে।’ বিজ্ঞাপনের ওই পর্যন্ত দেখার পর মনে হবে অস্ট্রেলিয়া দলের সবাইকে বাচ্চাকাচ্চাসহ ভারত ঘুরে যাওয়ার অনুরোধ। কিন্তু ভুল ভাঙবে তারপরই। বিজ্ঞাপনে শিশু বলতে অস্ট্রেলিয়া দলকেই বোঝানো হয়েছে সেটি বুঝতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ পর্যন্ত। যখন দেখা গেল কোলে বসা শিশুর কারণে প্যান্ট ভিজে গেছে শেবাগের। তখনই শেবাগের মুখে স্বগতোক্তি, ‘শুধু একটাই চিন্তা ওরা আমাদের একাগ্রতা দেখে আবার মূত্র ত্যাগ না করে।’
ভারতকে তাঁদের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে সিরিজও জিতল অস্ট্রেলিয়া। সেটিও প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর শেষ তিন ম্যাচে টানা জয় তুলে নিয়ে! এরপরই টুইটারে প্রশ্ন উঠেছে—একাগ্রতাটা আসলে কারা দেখাল, আর মূত্র ত্যাগটা কারা করল?
শেবাগ কাল এই প্রশ্নের জবাব পাওয়ার পর নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, মজায় মাথা ধরে! ভারতের এই সাবেক ওপেনারকে টুইটারে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতেরই এক ক্রিকেটপ্রেমী, ‘স্যার, বাচ্চারা তো আপনার বাচ্চা-কাচ্চা দেখাশোনার পরিকল্পনা জলে ভিজিয়ে দিল। ভেজা প্যান্ট এখন খুলে ফেলুন। আমরা সিরিজ হেরে গেছি।’
স্টার স্পোর্টসেই সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে এই সিরিজ হার। কিন্তু চ্যানেলটির কী সুমতি ফিরবে? না, বিজ্ঞাপনের নীতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠছে না। সেই সুযোগও নেই। বিপণনের এই যুগে ভোক্তারা যা পছন্দ করবেন সেটা-ই সহি। সুমতির কথা উঠছে অন্য কারণে। বেশির ভাগ সময়েই দেখা গেছে, ভারতকে অকুণ্ঠ সমর্থন আর প্রতিপক্ষকে ব্যঙ্গ করে তাঁদের বানানো বিজ্ঞাপন শেষ পর্যন্ত বুমেরাং!
‘মওকা মওকা’ তো মনে আছে? ২০১৫ বিশ্বকাপে স্টার স্পোর্টসের এই ধারাবাহিক পর্বের বিজ্ঞাপন তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বেশ কিছু দলকে ব্যঙ্গ করে বানানো এই বিজ্ঞাপন পরে ভারতের জন্য-ই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিরাট কোহলিদের হারের পর। নানা প্রান্তের ক্রিকেটপ্রেমীদের হাজারো ফোনকলে ‘মওকা মওকা’ গান শোনার যন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে বিসিসিআইকে।
২০১২ সালে ইংল্যান্ড দলের ভারত সফর নিয়েও বিজ্ঞাপন বানিয়েছিল স্টার স্পোর্টস। ‘আঙরেজো কি পুঙ্গি’—মনে পড়ে? ‘পুঙ্গি’ অর্থ বীণ—যা সাপের খেলা দেখানোর সময় সাপুড়েরা বাজিয়ে থাকেন। ওই বিজ্ঞাপনের শুরুতে এক সাপুড়েকে বীণ বাজাতে দেখা যায়। এরপর ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে বলা হয়, সাপুড়ে তো ইংরেজদের ‘পুঙ্গি’ বাজিয়ে দিল। কিন্তু ভারতীয় দল কি ইংরেজদের ‘পুঙ্গি’ বাজাতে পারবে? পারেনি। এক অর্থে বলা যায়, ভারতের বাদ্যযন্ত্র ভারতকেই বাজিয়ে শুনিয়েছিল ইংল্যান্ড দল, টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে।
চার বছর আগের সেই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আগে ‘#ওন্টগিভইটব্যাক’ ক্যাম্পেইনও করেছে স্টার স্পোর্টস। ভারত যেহেতু সেবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, তাই ‘শিরোপা ফেরত দেব না’—এই স্লোগান পুঁজি করে বিজ্ঞাপনও ছেড়েছিল টিভি চ্যানেলটি। ফল মিলেছে হাতেনাতে। দল ফাইনালেই উঠতে পারল না।
কিন্তু বিপণনের এই বিশ্বে এসব কোনো শিক্ষণীয় বিষয় না। খেলাধুলায় তো নয়-ই। মাঠের বাইরে গোটা বিষয়টাই বাণিজ্য। দল কেমন করল, সমর্থকেরা কীভাবে নিলেন, প্রতিপক্ষ দলের সম্মানহানি হলো কি না—এসব এখন স্রেফ কথার চালিয়াতি। হোক না স্বস্তা, জনপ্রিয়তা আর পয়সা খাঁটিয়ে লাভের টাকা তুলে নেওয়াই মুখ্য। আর তাই সামনের দিনগুলোতেও ভারতের সিরিজে হয়তো এমন আরও বিজ্ঞাপন চোখে পড়বে। দুয়ারে তো বিশ্বকাপ। এবার কী তাহলে—‘উইউইলউইনইটব্যাক’?
পরিণতি জানা আছে তো!
না, ‘নজফগড়ের নবাব’ কোথাও পালিয়ে যাননি। শেবাগ আছেন বহাল তবিয়তেই। প্রশ্নটি আসলে রসিকতার ছলে ঘুরপাক খাচ্ছে টুইটারে। শেবাগ নিশ্চয়ই তা দেখছেন। নিশ্চয়ই একটু অনুশোচনাও হচ্ছে। হয়তো ভাবছেন, কী ভেবে যে ওই বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলাম!
গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বিরাট কোহলির দল। একেবারে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা আতিথ্য পাওয়া বলতে যা বোঝায় আর কি। এরপর এল অস্ট্রেলিয়াকে ভারতের আতিথ্য দেওয়ার পালা। অতিথিদের ভালোভাবে ‘সৎকার’ করতে একটি বিজ্ঞাপন বানিয়েছিল ভারতের টিভি চ্যানেল স্টার স্পোর্টস। যা দেখলে যে কোনো অস্ট্রেলিয়ানেরই বুঝে ফেলার কথা, ভারতে ঠিক কী ধরনের আতিথ্য অপেক্ষা করছে তাঁদের দলের জন্য।
বিজ্ঞাপনটি টিভিতে না দেখে থাকলে হয়তো আর কপালে নেই। কারণ কাল অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে ভারত। স্টার স্পোর্টস দেখার অভিজ্ঞতা থাকলে ব্যাপারটা বুঝে ফেলার কথা। ভারত সিরিজ হেরেছে আর স্টার স্পোর্টস ওই বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করবে, পাগল নাকি! যেখানে নাকি ভারতের জয় ছাড়া প্রায় আর কোনো ম্যাচ-ই দেখানো হয় না। সে যাকগে, সেই বিজ্ঞাপনের মূল কুশীলব ছিলেন শেবাগ আর একগাদা দুগ্ধপোষ্য শিশু, আর বিষয়বস্তু—শিশুদের মূত্র!
বিজ্ঞাপনের শুরুতেই দেখা গেছে দুগ্ধপোষ্য শিশুর দল অস্ট্রেলিয়ার জার্সি পরে একটি ড্রেসিংরুমে ঢুকছে। সে সঙ্গে শেবাগের কণ্ঠে আদুরে ডাক, ‘ওলে ওলে ওলে। দেখ কে এসেছে এখানে? অস্ট্রেলিয়ার পুরো বাহিনী চলে এসেছে। ওলে ওলে ওলে।’এ কথা বলেই শিশুদের কোলে নেওয়ার জন্য এগিয়ে গেলেন শেবাগ। নিজেদের নিয়ে মশগুল শিশুদের দেখিয়ে শেবাগের ধারাবর্ণনা তখন চলছিল, ‘আমরা যখন অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলাম, তখন ওরা জিজ্ঞেস করেছিল বেবি সিটিং করবে? আমরা বলেছিলাম, সবাই চলে আস, অবশ্যই করব।’
শেবাগের এ কথার গভীরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে ঋষভ পন্তের সঙ্গে টিম পেইনের স্লেজিং চালাচালি। মেলবোর্ন টেস্টে পেইন তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি বেবি সিট করতে পার? আমি বউকে নিয়ে একদিন সিনেমা দেখে আসব, তুমি একটু বাচ্চাদের দেখে রাখবে।’ বিজ্ঞাপনের ওই পর্যন্ত দেখার পর মনে হবে অস্ট্রেলিয়া দলের সবাইকে বাচ্চাকাচ্চাসহ ভারত ঘুরে যাওয়ার অনুরোধ। কিন্তু ভুল ভাঙবে তারপরই। বিজ্ঞাপনে শিশু বলতে অস্ট্রেলিয়া দলকেই বোঝানো হয়েছে সেটি বুঝতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ পর্যন্ত। যখন দেখা গেল কোলে বসা শিশুর কারণে প্যান্ট ভিজে গেছে শেবাগের। তখনই শেবাগের মুখে স্বগতোক্তি, ‘শুধু একটাই চিন্তা ওরা আমাদের একাগ্রতা দেখে আবার মূত্র ত্যাগ না করে।’
ভারতকে তাঁদের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে সিরিজও জিতল অস্ট্রেলিয়া। সেটিও প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর শেষ তিন ম্যাচে টানা জয় তুলে নিয়ে! এরপরই টুইটারে প্রশ্ন উঠেছে—একাগ্রতাটা আসলে কারা দেখাল, আর মূত্র ত্যাগটা কারা করল?
শেবাগ কাল এই প্রশ্নের জবাব পাওয়ার পর নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, মজায় মাথা ধরে! ভারতের এই সাবেক ওপেনারকে টুইটারে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতেরই এক ক্রিকেটপ্রেমী, ‘স্যার, বাচ্চারা তো আপনার বাচ্চা-কাচ্চা দেখাশোনার পরিকল্পনা জলে ভিজিয়ে দিল। ভেজা প্যান্ট এখন খুলে ফেলুন। আমরা সিরিজ হেরে গেছি।’
স্টার স্পোর্টসেই সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে এই সিরিজ হার। কিন্তু চ্যানেলটির কী সুমতি ফিরবে? না, বিজ্ঞাপনের নীতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠছে না। সেই সুযোগও নেই। বিপণনের এই যুগে ভোক্তারা যা পছন্দ করবেন সেটা-ই সহি। সুমতির কথা উঠছে অন্য কারণে। বেশির ভাগ সময়েই দেখা গেছে, ভারতকে অকুণ্ঠ সমর্থন আর প্রতিপক্ষকে ব্যঙ্গ করে তাঁদের বানানো বিজ্ঞাপন শেষ পর্যন্ত বুমেরাং!
‘মওকা মওকা’ তো মনে আছে? ২০১৫ বিশ্বকাপে স্টার স্পোর্টসের এই ধারাবাহিক পর্বের বিজ্ঞাপন তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বেশ কিছু দলকে ব্যঙ্গ করে বানানো এই বিজ্ঞাপন পরে ভারতের জন্য-ই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিরাট কোহলিদের হারের পর। নানা প্রান্তের ক্রিকেটপ্রেমীদের হাজারো ফোনকলে ‘মওকা মওকা’ গান শোনার যন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে বিসিসিআইকে।
২০১২ সালে ইংল্যান্ড দলের ভারত সফর নিয়েও বিজ্ঞাপন বানিয়েছিল স্টার স্পোর্টস। ‘আঙরেজো কি পুঙ্গি’—মনে পড়ে? ‘পুঙ্গি’ অর্থ বীণ—যা সাপের খেলা দেখানোর সময় সাপুড়েরা বাজিয়ে থাকেন। ওই বিজ্ঞাপনের শুরুতে এক সাপুড়েকে বীণ বাজাতে দেখা যায়। এরপর ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে বলা হয়, সাপুড়ে তো ইংরেজদের ‘পুঙ্গি’ বাজিয়ে দিল। কিন্তু ভারতীয় দল কি ইংরেজদের ‘পুঙ্গি’ বাজাতে পারবে? পারেনি। এক অর্থে বলা যায়, ভারতের বাদ্যযন্ত্র ভারতকেই বাজিয়ে শুনিয়েছিল ইংল্যান্ড দল, টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে।
চার বছর আগের সেই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আগে ‘#ওন্টগিভইটব্যাক’ ক্যাম্পেইনও করেছে স্টার স্পোর্টস। ভারত যেহেতু সেবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন, তাই ‘শিরোপা ফেরত দেব না’—এই স্লোগান পুঁজি করে বিজ্ঞাপনও ছেড়েছিল টিভি চ্যানেলটি। ফল মিলেছে হাতেনাতে। দল ফাইনালেই উঠতে পারল না।
কিন্তু বিপণনের এই বিশ্বে এসব কোনো শিক্ষণীয় বিষয় না। খেলাধুলায় তো নয়-ই। মাঠের বাইরে গোটা বিষয়টাই বাণিজ্য। দল কেমন করল, সমর্থকেরা কীভাবে নিলেন, প্রতিপক্ষ দলের সম্মানহানি হলো কি না—এসব এখন স্রেফ কথার চালিয়াতি। হোক না স্বস্তা, জনপ্রিয়তা আর পয়সা খাঁটিয়ে লাভের টাকা তুলে নেওয়াই মুখ্য। আর তাই সামনের দিনগুলোতেও ভারতের সিরিজে হয়তো এমন আরও বিজ্ঞাপন চোখে পড়বে। দুয়ারে তো বিশ্বকাপ। এবার কী তাহলে—‘উইউইলউইনইটব্যাক’?
পরিণতি জানা আছে তো!
No comments