শান্তির শহরে শঙ্কা কেন্দ্রে যেতে চান ভোটাররা by রুদ্র মিজান
সকাল
সাড়ে ৬টা। পুণ্যভূমি সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে ধীরে ধীরে বাড়ছে
মানুষের ভিড়। শীতের সকালে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন রিকশা ও অটোরিকশা
চালকরা। আশপাশের দোকানে , গাছের ডালে, রাস্তার দু’পাশে দড়িতে ঝুলছে
নির্বাচনী পোস্টার। পোস্টারে নৌকার আধিপত্য। পাশপাশি রয়েছে ধানের শীষ
অন্যান্য প্রতীকের পোস্টার, ব্যানার। গরম চায়ের ধোঁয়া ওড়ার সঙ্গে পাল্লা
দিচ্ছে নানা গল্প। নির্বাচনী আলাপ করতে বেশ সতর্ক সবাই।
নির্বাচন শব্দটি উচ্চারণ হলেই সবার চোখে-মুখে ফুটে উঠে এক অজানা আতঙ্ক। আশপাশে তাকিয়ে ফিসফিস করে তবেই নির্বাচন নিয়ে কয়েক শব্দ উচ্চারণ করছেন সিলেটের মানুষ। আতঙ্কের নাম গ্রেপ্তার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সিলেট জেলায় চার সহস্রাধিক ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে রাত নেমে এলেই বাড়ে আতঙ্ক। নিজ বাসা ছেড়ে বিভিন্নস্থানে থাকছেন নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার থেকে বাদ পড়ছেন না ধানের শীষের সমর্থকরাও। তবে বেশির ভাগ মানুষ জানিয়েছেন, যতোই আতঙ্ক সৃষ্টি করা হোক। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে যাবেন তারা।
শুক্রবার দিনভর মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য। নগরজুড়ে নিঃস্তব্ধতা। শহরের বাসিন্দারা প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে বের হচ্ছেন না। অভিযোগ রয়েছে, নেতাকর্মী ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বিএনপি’র সমর্থকদের। পুরনো বিভিন্ন মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
সকালে কিনব্রিজ এলাকায় ফিসফিস করে কথা বলছিলেন পাঁচজন সিএনজি অটোরিকশা চালক। পরিচয় গোপন করে নির্বাচনী পরিবেশের কথা জিজ্ঞাসা করতেই দুইজন সমস্বরে বলেন, ‘ইনো খালি নৌকা আর নৌকা, নৌকা ছাড়া মাত (কথা) নাই।’
বেশকিছুক্ষণ কথা বলার পর চালকদের একজন জানান, গত বুধবারে একজন সিএনজি অটোরিকশা চালককে ধরে নিয়ে গেছে পুুলিশ। আখালিয়া এলাকার গ্যারেজে অটোরিকশা রেখে বের হতেই তাকে আটক করা হয়। ওই চালকের নাম আবদুর রকিব। রকিবের সহকর্মীরা দাবি করেন, রকিব রাজনীতি করেন না। তবে নির্বাচন নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলতেন। সুষ্ঠু ভোটের পক্ষে কথা বলতেন বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
তবে অনেকে রয়েছেন যারা নির্বাচনের প্রতি আগ্রহী না। তাদের একজন জিন্দাবাজারের সেবা হেয়ার কাটিংয়ের রতন দাস। রতন আশা করেন, সিলেটে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী একে আবদুল মোমেন ও বিএনপি মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দু’জনেই ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত। রতন আশা করেন তারা কোনো সংিসতাকে প্রশ্রয় দিবেন না।
দুপুরে বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেটের সামনে কথা হয় রিকশাচালক রমজান আলীর সঙ্গে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কেশবপুরের রমজান সিলেট নগরীর কাজলশাহ্ এলাকার ভোটার। রমজান বলেন, নির্বাচনের যে অবস্থা। ভোট দিতে পারবো কি-না জানি না। তবে সকালে কেন্দ্রে যাব। ভোট দিতে চেষ্টা করবো। একইভাবে সিলেটের উপ-শহরের বাসিন্দা লুৎফুননাহার সিমা জানান, কি রকম নির্বাচন হবে জানি না। তবে আমি ভোট দিতে চাই। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে হবে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রায় ৪০টি মামলায় সিলেটে জেলায় বিএনপি’র চার সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী জানান, গতকাল বিএনপি’র নেতা আক্তার বকসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তার আগে বৃহস্পতিবার বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের নির্বাচনী অফিস থেকে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল ছাড়া সবাই সাধারণ সমর্থক। একই ভাবে কোর্ট পয়েন্ট থেকে ধানের শীষের মিছিল শেষে রাস্তার পাশ থেকে জাকির আহমদ ও আবদুর রহমান নামে দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা কেউ রাজনীতি সঙ্গে সম্পৃক্ত না বলে জানান তিনি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, বৃহস্পতিবার যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের ৪৫ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা, দুইজনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ও দুইজনকে এসএমপি অ্যাক্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের নির্বাচনী অফিস থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আমাদের শত্রু না, তাদের কাছে মানুষ নিরপেক্ষ আচরণ আশা করে। তবে যতোই আতঙ্ক সৃষ্টি করা হোক সিলেটের মানুষ ভোট বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করেন বিএনপি’র এই নেতা।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের সিলেট মহানগরের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, বিএনপি’র অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাউকে গ্রেপ্তার করাচ্ছে না। পুলিশ কেন গ্রেপ্তার করছে তা পুলিশই ভালো বলতে পারবে। সিলেট রাজনৈতিক সম্প্রীতির এলাকা। আমরা নেতাকর্মীদের বলেছি প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা করবো না। বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের প্রচার গাড়ি, মাইক ভাঙচুর করেছে আমরা কোনো মামলা দেইনি। এখানে ভোটের দিনও সম্প্রীতি বজায় থাকবে বলে আশা করেন কামরান।
সিলেট-১ আসনে মোট ভোটার ৫,৪৩,৫৩০। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২,৮৬,২৬৭, নারী ভোটার ২,৫৭,২৬৩। বিভিন্ন দল থেকে এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। তারা হচ্ছেন, বিএনপি’র ধানের শীষের প্রতীকের খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ড. একে আবদুল মোমেন, সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের মই প্রতীকের প্রণব জ্যোতি পাল, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের রেজুওয়ানুল হক চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কোদাল প্রতীকের উজ্জ্বল রায়, মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকের আনোয়ার উদ্দিন বুরহানবাদী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের নাসির উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের ফয়জুল হক, ন্যাশনাল পিপল্স পার্টির আম প্রতীকের ইউসুফ আহমদ।
নির্বাচন শব্দটি উচ্চারণ হলেই সবার চোখে-মুখে ফুটে উঠে এক অজানা আতঙ্ক। আশপাশে তাকিয়ে ফিসফিস করে তবেই নির্বাচন নিয়ে কয়েক শব্দ উচ্চারণ করছেন সিলেটের মানুষ। আতঙ্কের নাম গ্রেপ্তার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে সিলেট জেলায় চার সহস্রাধিক ধানের শীষ প্রতীকের সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে রাত নেমে এলেই বাড়ে আতঙ্ক। নিজ বাসা ছেড়ে বিভিন্নস্থানে থাকছেন নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার থেকে বাদ পড়ছেন না ধানের শীষের সমর্থকরাও। তবে বেশির ভাগ মানুষ জানিয়েছেন, যতোই আতঙ্ক সৃষ্টি করা হোক। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে যাবেন তারা।
শুক্রবার দিনভর মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য। নগরজুড়ে নিঃস্তব্ধতা। শহরের বাসিন্দারা প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে বের হচ্ছেন না। অভিযোগ রয়েছে, নেতাকর্মী ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বিএনপি’র সমর্থকদের। পুরনো বিভিন্ন মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।
সকালে কিনব্রিজ এলাকায় ফিসফিস করে কথা বলছিলেন পাঁচজন সিএনজি অটোরিকশা চালক। পরিচয় গোপন করে নির্বাচনী পরিবেশের কথা জিজ্ঞাসা করতেই দুইজন সমস্বরে বলেন, ‘ইনো খালি নৌকা আর নৌকা, নৌকা ছাড়া মাত (কথা) নাই।’
বেশকিছুক্ষণ কথা বলার পর চালকদের একজন জানান, গত বুধবারে একজন সিএনজি অটোরিকশা চালককে ধরে নিয়ে গেছে পুুলিশ। আখালিয়া এলাকার গ্যারেজে অটোরিকশা রেখে বের হতেই তাকে আটক করা হয়। ওই চালকের নাম আবদুর রকিব। রকিবের সহকর্মীরা দাবি করেন, রকিব রাজনীতি করেন না। তবে নির্বাচন নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলতেন। সুষ্ঠু ভোটের পক্ষে কথা বলতেন বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
তবে অনেকে রয়েছেন যারা নির্বাচনের প্রতি আগ্রহী না। তাদের একজন জিন্দাবাজারের সেবা হেয়ার কাটিংয়ের রতন দাস। রতন আশা করেন, সিলেটে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী একে আবদুল মোমেন ও বিএনপি মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দু’জনেই ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত। রতন আশা করেন তারা কোনো সংিসতাকে প্রশ্রয় দিবেন না।
দুপুরে বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেটের সামনে কথা হয় রিকশাচালক রমজান আলীর সঙ্গে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কেশবপুরের রমজান সিলেট নগরীর কাজলশাহ্ এলাকার ভোটার। রমজান বলেন, নির্বাচনের যে অবস্থা। ভোট দিতে পারবো কি-না জানি না। তবে সকালে কেন্দ্রে যাব। ভোট দিতে চেষ্টা করবো। একইভাবে সিলেটের উপ-শহরের বাসিন্দা লুৎফুননাহার সিমা জানান, কি রকম নির্বাচন হবে জানি না। তবে আমি ভোট দিতে চাই। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে হবে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রায় ৪০টি মামলায় সিলেটে জেলায় বিএনপি’র চার সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী জানান, গতকাল বিএনপি’র নেতা আক্তার বকসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তার আগে বৃহস্পতিবার বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের নির্বাচনী অফিস থেকে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা চৌধুরী মোহাম্মদ সোহেল ছাড়া সবাই সাধারণ সমর্থক। একই ভাবে কোর্ট পয়েন্ট থেকে ধানের শীষের মিছিল শেষে রাস্তার পাশ থেকে জাকির আহমদ ও আবদুর রহমান নামে দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা কেউ রাজনীতি সঙ্গে সম্পৃক্ত না বলে জানান তিনি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, বৃহস্পতিবার যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের ৪৫ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা, দুইজনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ও দুইজনকে এসএমপি অ্যাক্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের নির্বাচনী অফিস থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা রয়েছে।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আমাদের শত্রু না, তাদের কাছে মানুষ নিরপেক্ষ আচরণ আশা করে। তবে যতোই আতঙ্ক সৃষ্টি করা হোক সিলেটের মানুষ ভোট বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করেন বিএনপি’র এই নেতা।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের সিলেট মহানগরের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, বিএনপি’র অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাউকে গ্রেপ্তার করাচ্ছে না। পুলিশ কেন গ্রেপ্তার করছে তা পুলিশই ভালো বলতে পারবে। সিলেট রাজনৈতিক সম্প্রীতির এলাকা। আমরা নেতাকর্মীদের বলেছি প্রতিহিংসার রাজনীতি আমরা করবো না। বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের প্রচার গাড়ি, মাইক ভাঙচুর করেছে আমরা কোনো মামলা দেইনি। এখানে ভোটের দিনও সম্প্রীতি বজায় থাকবে বলে আশা করেন কামরান।
সিলেট-১ আসনে মোট ভোটার ৫,৪৩,৫৩০। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২,৮৬,২৬৭, নারী ভোটার ২,৫৭,২৬৩। বিভিন্ন দল থেকে এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন ১০ জন। তারা হচ্ছেন, বিএনপি’র ধানের শীষের প্রতীকের খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ড. একে আবদুল মোমেন, সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের মই প্রতীকের প্রণব জ্যোতি পাল, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের রেজুওয়ানুল হক চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কোদাল প্রতীকের উজ্জ্বল রায়, মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকের আনোয়ার উদ্দিন বুরহানবাদী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের নাসির উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের ফয়জুল হক, ন্যাশনাল পিপল্স পার্টির আম প্রতীকের ইউসুফ আহমদ।
No comments