পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে নির্বাচন হবে না -আবুল কাসেম ফজলুল হক
অস্বাভাবিক
রাজনীতির কারণে মিলিটারি মাঠে নেমেছে। মিলিটারি দিয়ে যে অবস্থার উন্নতি
হবে আমার কাছে তা মনে হয় না। যেমন চলছে, তেমনই চলবে। পরিস্থিতি আরো খারাপ
হলে নির্বাচন হবে না। এই নির্বাচন পণ্ড হয়ে যাবে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে
মানবজমিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনটাই দাবি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ আবুল কাসেম ফজলুল হক।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি অস্বাভাবিক। এর মধ্যেই এখন নির্বাচন হচ্ছে।
এখানে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত প্রবল এবং তাদের কাজকর্ম খুব প্রবল। ফলে ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি মাঠে প্রচারণায় অংশ নিতে পারছে না। মামলা- মোকদ্দমাসহ নানাভাবে তাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। জুলুম জবরদস্তির অন্ত নেই। এই অবস্থার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে প্রার্থীরা অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি দুর্বল বলেই বিদেশি পর্যবেক্ষক এদেশে আসেন এবং কোনো কোনো রাজনৈতিক দল আহ্বান করেন। সরকারও বাধ্য হয় তাদের অনুমোদন দিতে। এ বছর সরকার বিদেশিদের অনুমোদনে নানা বাধা-বাধ্যকতা সৃষ্টি করলেও তারপরও অনুমোদন দিচ্ছেন। যখন বিদেশি মতামত প্রাধান্য বিস্তার করে তখন পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। ভেতরে ভেতরে শক্তি প্রয়োগ তো আছেই।
নির্বাচন কেমন দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নানা অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া ও গ্রেপ্তার করে জেলে বন্দি রাখা এখন পর্যন্ত কমে নি। অনেক লোক নির্বাচনের ফলাফলও মনে করে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষেই যাবে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন। আর তার ব্যত্যয় ঘটলে জাতীয় নির্বাচনে যেমন ক্ষতি হবে। আবার যারা জিতবে তারাও শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সেনাবাহিনী মাঠে- অবস্থার কোনো উন্নতি হবে কী? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী সিভিল অথরিটির পরিচালনায় নির্দিষ্ট কাজ করবে। কাজেই মিলিটারি আসাতে খুব একটা পরিবর্তন হবে- সেটা মনে হয় না। বিশেষ করে পুলিশের ওপর লোকের আস্থা কমে গেছে। পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে মানুষের অভিযোগ অনেক বেশি। তাদেরকে আমরা মর্যাদার এবং জনগণের সহযোগীর স্থানে দেখতে চাই।
এই নির্বাচন রাজনীতিতে কতটা স্থিতি আনতে পারবে? এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির অবনতি হয়েছে। উন্নতি হচ্ছে না। আমরা রাজনীতির উন্নতি চাই। সারা দুনিয়াজুড়ে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশেও হচ্ছে- এটা সত্যি। কিন্তু এক সরকারই সবটা উন্নতি করেছে- এটা সম্পূর্ণ অসত্য। সব মিলিয়ে এটাকে নির্বাচনতন্ত্র বলা যায়। গণতন্ত্র নয়। জনগণের গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করে এমন রাজনৈতিক দল চাই।
তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি অস্বাভাবিক। এর মধ্যেই এখন নির্বাচন হচ্ছে।
এখানে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত প্রবল এবং তাদের কাজকর্ম খুব প্রবল। ফলে ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি মাঠে প্রচারণায় অংশ নিতে পারছে না। মামলা- মোকদ্দমাসহ নানাভাবে তাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। জুলুম জবরদস্তির অন্ত নেই। এই অবস্থার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে প্রার্থীরা অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি দুর্বল বলেই বিদেশি পর্যবেক্ষক এদেশে আসেন এবং কোনো কোনো রাজনৈতিক দল আহ্বান করেন। সরকারও বাধ্য হয় তাদের অনুমোদন দিতে। এ বছর সরকার বিদেশিদের অনুমোদনে নানা বাধা-বাধ্যকতা সৃষ্টি করলেও তারপরও অনুমোদন দিচ্ছেন। যখন বিদেশি মতামত প্রাধান্য বিস্তার করে তখন পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। ভেতরে ভেতরে শক্তি প্রয়োগ তো আছেই।
নির্বাচন কেমন দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নানা অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া ও গ্রেপ্তার করে জেলে বন্দি রাখা এখন পর্যন্ত কমে নি। অনেক লোক নির্বাচনের ফলাফলও মনে করে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষেই যাবে। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন। আর তার ব্যত্যয় ঘটলে জাতীয় নির্বাচনে যেমন ক্ষতি হবে। আবার যারা জিতবে তারাও শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সেনাবাহিনী মাঠে- অবস্থার কোনো উন্নতি হবে কী? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী সিভিল অথরিটির পরিচালনায় নির্দিষ্ট কাজ করবে। কাজেই মিলিটারি আসাতে খুব একটা পরিবর্তন হবে- সেটা মনে হয় না। বিশেষ করে পুলিশের ওপর লোকের আস্থা কমে গেছে। পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে মানুষের অভিযোগ অনেক বেশি। তাদেরকে আমরা মর্যাদার এবং জনগণের সহযোগীর স্থানে দেখতে চাই।
এই নির্বাচন রাজনীতিতে কতটা স্থিতি আনতে পারবে? এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতির অবনতি হয়েছে। উন্নতি হচ্ছে না। আমরা রাজনীতির উন্নতি চাই। সারা দুনিয়াজুড়ে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশেও হচ্ছে- এটা সত্যি। কিন্তু এক সরকারই সবটা উন্নতি করেছে- এটা সম্পূর্ণ অসত্য। সব মিলিয়ে এটাকে নির্বাচনতন্ত্র বলা যায়। গণতন্ত্র নয়। জনগণের গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করে এমন রাজনৈতিক দল চাই।
No comments