প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গাদের আবারো গণহত্যার দিকে ঠেলে দিবে - নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিফিং
জাতিসঙ্ঘ
মানবাধিকার পরিষদের মিয়ানমার সংক্রান্ত স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান মিশনের
প্রধান মারজুকি দারুসমান বলেছেন, রাখাইনে অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা খুবই ঝুঁকির
মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গাদের মানবেতর
জীবন ও আবারো গণহত্যার দিকে ঠেলে দিবে।
তিনি বলেন, কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব মানবতাবিরোধী অপরাধ বা গণহত্যার লাইসেন্স হতে পারে না। রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের মানুষ এবং সারা বিশ্ব এ ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপের দিকে চেয়ে আছে।
মিয়ানমার পরিস্থিতির ওপর গতকাল নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া ব্রিফিংয়ে মারজুকি দারুসমান এ সব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কুয়েত, নেদারল্যান্ডস, পেরু, আইভরিকোস্ট, পোলান্ড ও সুইডেনের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদের অক্টোবর মাসের সভাপতি বলিভিয়া এ সভার আহ্বান করে। দারুসমান ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমারের রাখাইন, কাচিন ও শান প্রদেশে সংঘটিত সহিংসতার তথ্য-প্রমান নিয়ে তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদন পরিষদে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন।
মিয়ানমারের জোরালো সমর্থক হিসাবে পরিচিত চীন ও রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদে তথ্যানুসন্ধান মিশনের ব্রিফিং আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পরে পরিষদের ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের ভোটাভুটিতে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ৯টি দেশ ব্রিফিংয়ের পক্ষে এবং চীন, রাশিয়া ও বলিভিয়া বিপক্ষে ভোট দেয়। ইথোপিয়া, গায়না ও কাজাখাস্তান ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল। ব্রিফিং শেষে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বক্তব্য রাখে।
জাতিসঙ্ঘে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত কারিন প্রিস বলেন, ১২ বছর আগে মিয়ানমারের মত অপরাধ রুয়ান্ডা ও সার্বিয়ায় ঘটেছিল। রুয়ান্ডা ও সার্বিয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদ পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিলম্বিত এ পদক্ষেপ আমাদের লজ্জায় ফেললেও শেষ পর্যন্ত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গিয়েছিল। তিনি বলেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য ব্রিটেন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ক কর্মকান্ডের সমন্বয় করছে ব্রিটেন।
জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজভূমে প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ জন্য তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের উদ্যোগ নিয়ে রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
জাতিসঙ্ঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, যথেষ্ঠ তথ্য-প্রমান থাকলে আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ইচ্ছুক এবং সেই সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, কোনো নির্দিষ্ট দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের জড়িত হওয়া উচিত না। পরিষদে তথ্যানুসন্ধান মিশনের ব্রিফিং সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে জটিল করে তুলতে পারে।
তথ্যানুসন্ধান মিশনের ব্রিফিং আয়োজনে সমর্থনকারী দেশগুলো মিয়ানমার ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের ঐক্যকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
তথ্যানুসন্ধান মিশনের ব্রিফিং আয়োজনে সমর্থনকারী দেশগুলো মিয়ানমার ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের ঐক্যকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব মানবতাবিরোধী অপরাধ বা গণহত্যার লাইসেন্স হতে পারে না। রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের মানুষ এবং সারা বিশ্ব এ ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের পদক্ষেপের দিকে চেয়ে আছে।
মিয়ানমার পরিস্থিতির ওপর গতকাল নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া ব্রিফিংয়ে মারজুকি দারুসমান এ সব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কুয়েত, নেদারল্যান্ডস, পেরু, আইভরিকোস্ট, পোলান্ড ও সুইডেনের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদের অক্টোবর মাসের সভাপতি বলিভিয়া এ সভার আহ্বান করে। দারুসমান ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমারের রাখাইন, কাচিন ও শান প্রদেশে সংঘটিত সহিংসতার তথ্য-প্রমান নিয়ে তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদন পরিষদে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন।
মিয়ানমারের জোরালো সমর্থক হিসাবে পরিচিত চীন ও রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদে তথ্যানুসন্ধান মিশনের ব্রিফিং আটকানোর চেষ্টা করেছিল। পরে পরিষদের ১৫ সদস্য রাষ্ট্রের ভোটাভুটিতে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ৯টি দেশ ব্রিফিংয়ের পক্ষে এবং চীন, রাশিয়া ও বলিভিয়া বিপক্ষে ভোট দেয়। ইথোপিয়া, গায়না ও কাজাখাস্তান ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল। ব্রিফিং শেষে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বক্তব্য রাখে।
জাতিসঙ্ঘে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত কারিন প্রিস বলেন, ১২ বছর আগে মিয়ানমারের মত অপরাধ রুয়ান্ডা ও সার্বিয়ায় ঘটেছিল। রুয়ান্ডা ও সার্বিয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদ পদক্ষেপ নিয়েছিল। বিলম্বিত এ পদক্ষেপ আমাদের লজ্জায় ফেললেও শেষ পর্যন্ত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গিয়েছিল। তিনি বলেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়ে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য ব্রিটেন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ক কর্মকান্ডের সমন্বয় করছে ব্রিটেন।
জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজভূমে প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ জন্য তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের উদ্যোগ নিয়ে রোহিঙ্গাদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
জাতিসঙ্ঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, যথেষ্ঠ তথ্য-প্রমান থাকলে আমরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ইচ্ছুক এবং সেই সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, কোনো নির্দিষ্ট দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের জড়িত হওয়া উচিত না। পরিষদে তথ্যানুসন্ধান মিশনের ব্রিফিং সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে জটিল করে তুলতে পারে।
তথ্যানুসন্ধান মিশনের ব্রিফিং আয়োজনে সমর্থনকারী দেশগুলো মিয়ানমার ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের ঐক্যকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
তথ্যানুসন্ধান মিশনের ব্রিফিং আয়োজনে সমর্থনকারী দেশগুলো মিয়ানমার ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের ঐক্যকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
No comments