এশিয়া টাইমসের চোখে ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ
এশিয়া
টাইমস বাংলাদেশের নবগঠিত বিরোধী দলীয় মোর্চা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ
বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত ২২শে অক্টোবর পত্রিকাটি “বাংলাদেশে
নির্বাচনের আগে কৌতূহলী রাজনৈতিক মেলবন্ধন” শীর্ষক একটি বিশ্লেষণধর্মী
রিপোর্ট প্রকাশ করলো। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সেক্যুলার আইকন জাতীয়
ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল হোসেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত আইনবিদ। স্বদেশে
তিনি ?‘ড. কামাল’ হিসেবে স্বনামধন্য।
একজন মানবাধিকার রক্ষাকর্মী হিসেবে নন্দিত। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় তিনি আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনিই। ড. কামাল তাঁর ৫০ বছরের বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কখনো ডানপন্থি দলের সঙ্গে জোট বাঁধেননি।
পত্রিকাটির মতে, এই প্রথম বাংলাদেশের দুই বৃহত্তম দলের মধ্যে ?‘মধ্য ডান’ হিসেবে পরিচিত বিএনপির সঙ্গে ড. কামাল হোসেন গাঁটছড়া বাঁধলেন।
বিএনপি বলেছে, তিনিই তাদের নেতা। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কতিপয় বাম দল রয়েছে।
এশিয়া টাইমসের সঙ্গে কথা বলার সময়, বাংলাদেশি রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিয়া হাসান বলেন, ড. কামাল দেশের প্রতিটি পরিবারের কাছে একটি পরিচিত হিসেবে উচ্চারিত নাম হতে পারেন। তবে শিক্ষিত ও আলোকিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে তিনি সম্মানিত।
“যদিও শেখ হাসিনাকে ভারতে তার নির্বাসন থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব তাঁরই এবং সত্তরের দশকের শেষের দিকে আওয়ামী লীগ যখন বিপদে পড়েছিল, তখন আওয়ামী লীগের জাহাজকে টেনে তুলতে তাঁর কৃতিত্ব স্বীকৃত ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত এ দু’জনের পথ পৃথক হয়ে যায়।”
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের বিশিষ্ট অধ্যাপক আলী রীয়াজ এশিয়া টাইমসকে বলেন, যদিও শুরুতে কিছুটা দ্বিধা ছিল, তবে নতুন জোট নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত টিকতে পারে। “এর কারণ এই জোটের সদস্যরা উল্লেখযোগ্যভাবে হারবে, যদি তারা জোটে টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়। সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায়, তারা একত্রে টিকে থাকা ছাড়া তাদের সামনে আর সামান্য বিকল্পই অবশিষ্ট আছে।”
ড. আলী রীয়াজ মনে করেন, নতুন জোট কিভাবে সফল হবে সেই বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হলো: “বিএনপি ঐক্যফ্রন্টভুক্ত অংশীদারদের ধারণ করার জন্য নিজকে কতটুকু প্রস্তুত রেখেছে?”
একজন মানবাধিকার রক্ষাকর্মী হিসেবে নন্দিত। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় তিনি আইনমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনিই। ড. কামাল তাঁর ৫০ বছরের বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কখনো ডানপন্থি দলের সঙ্গে জোট বাঁধেননি।
পত্রিকাটির মতে, এই প্রথম বাংলাদেশের দুই বৃহত্তম দলের মধ্যে ?‘মধ্য ডান’ হিসেবে পরিচিত বিএনপির সঙ্গে ড. কামাল হোসেন গাঁটছড়া বাঁধলেন।
বিএনপি বলেছে, তিনিই তাদের নেতা। ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কতিপয় বাম দল রয়েছে।
এশিয়া টাইমসের সঙ্গে কথা বলার সময়, বাংলাদেশি রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিয়া হাসান বলেন, ড. কামাল দেশের প্রতিটি পরিবারের কাছে একটি পরিচিত হিসেবে উচ্চারিত নাম হতে পারেন। তবে শিক্ষিত ও আলোকিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে তিনি সম্মানিত।
“যদিও শেখ হাসিনাকে ভারতে তার নির্বাসন থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব তাঁরই এবং সত্তরের দশকের শেষের দিকে আওয়ামী লীগ যখন বিপদে পড়েছিল, তখন আওয়ামী লীগের জাহাজকে টেনে তুলতে তাঁর কৃতিত্ব স্বীকৃত ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত এ দু’জনের পথ পৃথক হয়ে যায়।”
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের বিশিষ্ট অধ্যাপক আলী রীয়াজ এশিয়া টাইমসকে বলেন, যদিও শুরুতে কিছুটা দ্বিধা ছিল, তবে নতুন জোট নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত টিকতে পারে। “এর কারণ এই জোটের সদস্যরা উল্লেখযোগ্যভাবে হারবে, যদি তারা জোটে টিকে থাকতে ব্যর্থ হয়। সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায়, তারা একত্রে টিকে থাকা ছাড়া তাদের সামনে আর সামান্য বিকল্পই অবশিষ্ট আছে।”
ড. আলী রীয়াজ মনে করেন, নতুন জোট কিভাবে সফল হবে সেই বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হলো: “বিএনপি ঐক্যফ্রন্টভুক্ত অংশীদারদের ধারণ করার জন্য নিজকে কতটুকু প্রস্তুত রেখেছে?”
No comments