মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য দলও প্রচার শুরু করেছে
পশ্চিমবঙ্গর
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে এখনও
বলেন নি, তিনি প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার। তবে তার মনের ইচ্ছের কথা জানতে
পেরেছে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। আর তাই তারাই মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার
জন্য প্রচার শুরু করে দিযেছেন। মাত্র দুদিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক
মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে
গিয়েছেন, দিদিকে রাজ্যে আটকে রাখলে হবে না, দিদিকে দিল্লি নিয়ে যেতেই হবে।
আর এবার তৃণমূর কংগ্রেসের নেতারা সমস্বরে জানিয়েছেন দিদিকে তারা
প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই দেখতে চান। মাত্র দশ দিন আগে মেদিনিপুরের যে
কলেজিয়েট মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন
সেই মাঠেই শুক্রবার সভা করে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার ডাক দিয়ে মন্ত্রী
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, দিদির বিকল্প নেই। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত
বক্সী বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই দেশে বিরোধী জোট হবে। তবে
সবচেয়ে জোরোলোভাবে পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাংলার নেত্রী নন, বিশ্ববন্দিত নেত্রী। আমরা বাঙালি
প্রধানমন্ত্রী চাই। দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। সম্প্রতি কলকাতায় এক
সভা থেকে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন
মমতাই। জানুয়ারিতে সব বিরোধীদলকে নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশের দিনও ঘোষণা করেছেন
তিনি। সেই সুর আরও উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়ে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার যে
ঘোষণা এ দিনের সভা থেকে করা হয়েছে তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আগামী সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর প্রতিজ্ঞা
নিযে মমতা বেশ কিছুৃদিন ধরেই ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন।
কয়েকদিনের মধ্যে দিল্লি গিয়ে ফের বিরোধী জোট নিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে
আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিতে চাইছেন মমতা। বিজেপিকে হারাতে নির্বাচনে একের
বিরুদ্ধে এক ফর্মুলাও দিয়েছেন। তাই মমতাই দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জোটের
অন্যতম কারিগর হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি কংগ্রেস থেকেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে মমতা
প্রধানমন্ত্রী হলে কংগ্রেস তা মেনে নিতে রাজি। নিজের ওজন বাড়াতে তাই মমতা
পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিই পাওয়ার জন্য দলের নেতা কর্মীদের কাছে
আহ্বান জানিয়েছেন। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দল যেভাবে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী
করার জন্য প্রচার শুরু করেছে তা মমতার অনুমোদন নিয়েই হচ্ছে বলে রাজনৈতিক
বিশেষজ্ঞদের ধারনা। কেননা, তৃণমূল কংগ্রেসে মমতার সবুজ সঙ্কেত ছাড়া কোনও
নেতাই আগ বাড়িয়ে কোন কথা বলেন না।
No comments