কাশ্মিরি তরুণরা আগের চেয়ে বেশি সন্ত্রাসবাদে ঝুঁকছে: ওমর আবদুল্লাহ
‘থিঙ্ক ফেডারেল’ আলোচনায় ওমর আবদুল্লাহ |
ভারত
নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা
ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, কাশ্মিরি তরুণরা আগের চেয়ে বেশি সংখ্যায়
সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। গতকাল (শনিবার) পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী
কোলকাতায় ‘থিঙ্ক ফেডারেল’ নামে এক আলোচনা সভায় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
জম্মু-কাশ্মিরে নিহত গেরিলাদের সংখ্যা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের দাবির নিন্দা করে ওমর বলেন, 'কেবল ওই সংখ্যাকে গোনা হয়েছে কিন্তু কত যুবক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তা গোনা হয়নি।’
২০১৫ সাল থেকে গত মাস পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি-পিডিপি জোট সরকারের সমালোচনা করে ওমর বলেন, ‘২০১৫ সালে যখনই ওই জোট ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকে সন্ত্রাসবাদ নতুনভাবে সৃষ্টি হয়েছে। আমার আমলে (২০০৯/২০১৫) সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল ২০ জন কিন্তু গতবছর ওই সংখ্যা দুইশ’র উপরে চলে গেছে।’
কাশ্মিরে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওমর বলেন, ‘বলা হচ্ছে, প্রচুর সংখ্যক সন্ত্রাসী নাকি মারা হচ্ছে। কিন্তু আমি বলব, আরো সন্ত্রাসবাদী তৈরি করা হচ্ছে। যতদিন যাচ্ছে যুব সমাজের একাংশ উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকছেন ও বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী দলে নাম লেখাচ্ছেন। এরপর তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। এতে কৃতিত্বের কী আছে?’
তিনি বলেন, ‘গত বছরও দুইশ’র বেশি কাশ্মিরি তরুণ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দিয়েছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ওই সংখ্যা একশ’ ছাড়িয়ে গেছে।’
কাশ্মিরের ‘আজাদি’ প্রসঙ্গে ওমর বলেন, ‘কাশ্মিরের বিভিন্ন ধরনের মানুষের কাছে ‘আজাদি’র সংজ্ঞা আলাদা আলাদা। ‘আজাদি’ মানেই কিন্তু সকলের কাছে কাশ্মিরের স্বাধীনতা নয়। কেউ নিরাপত্তা বাহিনীর শাসন থেকে ‘আজাদি’ বা মুক্তি চান। কেউ নিশ্চিন্তে চলাফেরার অধিকার চান।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা, নাতি-নাতনিরা যেন শান্তির পরিবেশে হেসেখেলে বেড়ে উঠতে পারে, আমার কাছে সেটাই ‘আজাদি’।’
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের সময় কাশ্মিরের উপরে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে এদিন ওমর আবদুল্লাহ আক্ষেপ করেন।
জম্মু-কাশ্মিরে নিহত গেরিলাদের সংখ্যা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের দাবির নিন্দা করে ওমর বলেন, 'কেবল ওই সংখ্যাকে গোনা হয়েছে কিন্তু কত যুবক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তা গোনা হয়নি।’
২০১৫ সাল থেকে গত মাস পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি-পিডিপি জোট সরকারের সমালোচনা করে ওমর বলেন, ‘২০১৫ সালে যখনই ওই জোট ক্ষমতায় এসেছে, তখন থেকে সন্ত্রাসবাদ নতুনভাবে সৃষ্টি হয়েছে। আমার আমলে (২০০৯/২০১৫) সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল ২০ জন কিন্তু গতবছর ওই সংখ্যা দুইশ’র উপরে চলে গেছে।’
কাশ্মিরে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওমর বলেন, ‘বলা হচ্ছে, প্রচুর সংখ্যক সন্ত্রাসী নাকি মারা হচ্ছে। কিন্তু আমি বলব, আরো সন্ত্রাসবাদী তৈরি করা হচ্ছে। যতদিন যাচ্ছে যুব সমাজের একাংশ উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকছেন ও বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী দলে নাম লেখাচ্ছেন। এরপর তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। এতে কৃতিত্বের কী আছে?’
তিনি বলেন, ‘গত বছরও দুইশ’র বেশি কাশ্মিরি তরুণ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে যোগ দিয়েছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ওই সংখ্যা একশ’ ছাড়িয়ে গেছে।’
কাশ্মিরের ‘আজাদি’ প্রসঙ্গে ওমর বলেন, ‘কাশ্মিরের বিভিন্ন ধরনের মানুষের কাছে ‘আজাদি’র সংজ্ঞা আলাদা আলাদা। ‘আজাদি’ মানেই কিন্তু সকলের কাছে কাশ্মিরের স্বাধীনতা নয়। কেউ নিরাপত্তা বাহিনীর শাসন থেকে ‘আজাদি’ বা মুক্তি চান। কেউ নিশ্চিন্তে চলাফেরার অধিকার চান।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা, নাতি-নাতনিরা যেন শান্তির পরিবেশে হেসেখেলে বেড়ে উঠতে পারে, আমার কাছে সেটাই ‘আজাদি’।’
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের সময় কাশ্মিরের উপরে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে এদিন ওমর আবদুল্লাহ আক্ষেপ করেন।
কোলকাতায় ‘থিঙ্ক ফেডারেল’ নামে এক আলোচনা সভায় ওমর আবদুল্লাহ |
No comments