পুলিশ এখন ভোটারও খোঁজে by শান্তনা রহমান
ভোটের
আয়োজন সম্পন্ন। সব ঠিকঠাক থাকলে তিন সিটিতে কাল ভোট। কেমন হবে এ ভোট। ভোট
কি আদৌ হবে? নাকি ভোটের নামে হবে এক ধরনের মশকরা। এ প্রশ্ন এখন তিন সিটিতে।
ভোটারদের প্রস্তুতি তিন রকমের।
এক. কী দরকার ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার। অযথা বিপদ ডেকে এনে লাভ কী? পুলিশ তো এখন ভোটারও খুঁজে বেড়ায়। মামলা, মোকদ্দমা, জেল! কেন এসব। তাই বাড়িতেই থাকি। আবার যদি কেউ দেখে ফেলে ভোটের দিন আমি দরজা বন্ধ করে ছিলাম তখনতো বিপদ হতে পারে। তাহলে কী করব? দেখি না কী হয়!
দুই. ভোটের দিন কেন্দ্রে যাব। ভোট দিতে পারলে দেব। না হয় ফিরে আসব। জানাজানি হয়ে গেছে সকালেই ভোট হয়ে যাবে। গায়েবি ভোটে নাকি বাক্সও ভরে যেতে পারে। তাতে কী? ভোট কেন্দ্র দেখতেও তো মজা। আরে ভাই এখন আর মজা নেই। এখন সমূহ বিপদ। যাব তাহলে কই? বাড়িতেও থাকতে পারব না। কেন্দ্রেও না। বৃন্দাবন যাই তাহলে।
তিন. জেল জুলুম ভয় ভীতি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে যাব। ভোট দেয়ার চেষ্টা করব। না পারলে মাথার চুল ছিড়ব। নেতাদের বলব, দেখুন আমি ঠিকই কেন্দ্রে এসেছিলাম। ভোট দিতে পারিনি। আমার কী দোষ! নেতা বলবেন, এটাইতো কমিটমেন্ট। এবার পারোনি তাতে কী? ভবিষ্যতে পারবে? ভোটের এই হাল হলো কেন? জবাব খুঁজে কোন লাভ নেই। একদা ভোট ছিল উৎসবের। এখন আতঙ্কের। এক সময় মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিত। এখন লাইনে যায় ঠিকই, কিন্তু ভোট দিতে পারে না। পেশী শক্তির হাতে চলে গেছে ভোটের নিয়ন্ত্রণ। নির্বাচন কমিশন ঠুটো জগন্নাথ। অনেকে বলেন, ঠিক নয়। কোন ক্ষেত্রে তারাও নেপথ্যের কারিগর। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ভোট এসেছিল দেশে। গায়েবি ভোট বিদায় নিয়েছিল। এখন আবার সেটা ফিরে এসেছে। সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম, উৎসবের নগরীতে ভোট আয়োজন। আম জনতার কথা, কোথায় উৎসব? আতঙ্কের নগরী। কী দরকার এই ভোটের?
এখন আবার নয়া ট্রেন্ড। রক্ত ঝরে কম। কবরের শান্তি থাকে। কিন্তু বাম হাতের কাজটা শান্তিপূর্ণভাবেই সেরে নেয়া হয়। আর এজেন্ট! তাদের কথা বলে কী লাভ? যতসব বিপদ তাদের জন্য। দলীয় নির্দেশ মানতে গিয়ে জেলে যেতে হয়। কিল ঘুষি খেতে হয়। মামলার জালে পড়তে হয়। ইদানিং সকালেই তাদের উঠিয়ে দূরের কোন জেলায় নিয়ে ফেলে আসা হয়। এজেন্ট ছাড়া সাচ্চা ভোট হয় কীভাবে? যেখানে অবিশ্বাসের পাল্লা ভারি। এটাতো পশ্চিমা দুনিয়া নয়। এজেন্টের কোন দরকার পড়ে না। পুলিশেরই বা কী প্রয়োজন? কেন্দ্রে যাবেন, ভোট দেবেন। কেউ কোন প্রশ্ন করবে না। এখানে রক্তের গ্রুপ দেখা হয় এ না বি। পুলিশকে ভোটের নেশায় পেয়ে গেছে। ওরা শিখে গেছে কীভাবে ভোট দিতে হয়। ভোটের এলাকা দখলে নিতে হয়। এই যখন অবস্থা তখন খালি খালি ভোটের আয়োজন করে কী লাভ? নির্বাচন বাদ দিয়ে সিলেকশনে গেলেই হয়। যে দল ক্ষমতায় থাকবে সারা দেশই হবে তার। এই ভোট তো আর ক্ষমতার পালাবদল ঘটায় না। তাই কোটি কোটি টাকা খরচের কী প্রয়োজন? শান্তির বদলে কেন এই হিংসা হানাহানি। আর যদি স্থানীয় স্তরে নির্বাচন করতে হয় তাহলে দলীয় প্রতীক বাদ দিন। তাহলে কিছুটা সুবিধা পেতে পারেন। তখন মানুষ ভোটে আগ্রহী হবে। বেছে নেবে তাদের পছন্দের লোক। এখন তো কলাগাছেও ভোট দিতে হয়। না দিলেও পাশ করে যায়। কেন যে এই নিয়মের ব্যতয় ঘটানো হলো? মানুষ এমনিতেই ভোটের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। তরুণরা দেশের শক্তি। তারা এখন হতাশ। ভোট কেন্দ্রে যেতে মোটেই আগ্রহী নয়। একটি বিদেশী সংস্থা জরিপ করে দেখিয়েছে ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে যাদের বয়স তারা আর ভোট কেন্দ্রে যেতে চায় না। রাজনীতির প্রতি তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এটা দেশের জন্য ভাল নয়। রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি বিদায় নেবে এটাই কি স্বাভাবিক! এটাই কি নিয়তি!
২৯শে জুলাই, ২০১৮
এক. কী দরকার ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার। অযথা বিপদ ডেকে এনে লাভ কী? পুলিশ তো এখন ভোটারও খুঁজে বেড়ায়। মামলা, মোকদ্দমা, জেল! কেন এসব। তাই বাড়িতেই থাকি। আবার যদি কেউ দেখে ফেলে ভোটের দিন আমি দরজা বন্ধ করে ছিলাম তখনতো বিপদ হতে পারে। তাহলে কী করব? দেখি না কী হয়!
দুই. ভোটের দিন কেন্দ্রে যাব। ভোট দিতে পারলে দেব। না হয় ফিরে আসব। জানাজানি হয়ে গেছে সকালেই ভোট হয়ে যাবে। গায়েবি ভোটে নাকি বাক্সও ভরে যেতে পারে। তাতে কী? ভোট কেন্দ্র দেখতেও তো মজা। আরে ভাই এখন আর মজা নেই। এখন সমূহ বিপদ। যাব তাহলে কই? বাড়িতেও থাকতে পারব না। কেন্দ্রেও না। বৃন্দাবন যাই তাহলে।
তিন. জেল জুলুম ভয় ভীতি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে যাব। ভোট দেয়ার চেষ্টা করব। না পারলে মাথার চুল ছিড়ব। নেতাদের বলব, দেখুন আমি ঠিকই কেন্দ্রে এসেছিলাম। ভোট দিতে পারিনি। আমার কী দোষ! নেতা বলবেন, এটাইতো কমিটমেন্ট। এবার পারোনি তাতে কী? ভবিষ্যতে পারবে? ভোটের এই হাল হলো কেন? জবাব খুঁজে কোন লাভ নেই। একদা ভোট ছিল উৎসবের। এখন আতঙ্কের। এক সময় মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিত। এখন লাইনে যায় ঠিকই, কিন্তু ভোট দিতে পারে না। পেশী শক্তির হাতে চলে গেছে ভোটের নিয়ন্ত্রণ। নির্বাচন কমিশন ঠুটো জগন্নাথ। অনেকে বলেন, ঠিক নয়। কোন ক্ষেত্রে তারাও নেপথ্যের কারিগর। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ভোট এসেছিল দেশে। গায়েবি ভোট বিদায় নিয়েছিল। এখন আবার সেটা ফিরে এসেছে। সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম, উৎসবের নগরীতে ভোট আয়োজন। আম জনতার কথা, কোথায় উৎসব? আতঙ্কের নগরী। কী দরকার এই ভোটের?
এখন আবার নয়া ট্রেন্ড। রক্ত ঝরে কম। কবরের শান্তি থাকে। কিন্তু বাম হাতের কাজটা শান্তিপূর্ণভাবেই সেরে নেয়া হয়। আর এজেন্ট! তাদের কথা বলে কী লাভ? যতসব বিপদ তাদের জন্য। দলীয় নির্দেশ মানতে গিয়ে জেলে যেতে হয়। কিল ঘুষি খেতে হয়। মামলার জালে পড়তে হয়। ইদানিং সকালেই তাদের উঠিয়ে দূরের কোন জেলায় নিয়ে ফেলে আসা হয়। এজেন্ট ছাড়া সাচ্চা ভোট হয় কীভাবে? যেখানে অবিশ্বাসের পাল্লা ভারি। এটাতো পশ্চিমা দুনিয়া নয়। এজেন্টের কোন দরকার পড়ে না। পুলিশেরই বা কী প্রয়োজন? কেন্দ্রে যাবেন, ভোট দেবেন। কেউ কোন প্রশ্ন করবে না। এখানে রক্তের গ্রুপ দেখা হয় এ না বি। পুলিশকে ভোটের নেশায় পেয়ে গেছে। ওরা শিখে গেছে কীভাবে ভোট দিতে হয়। ভোটের এলাকা দখলে নিতে হয়। এই যখন অবস্থা তখন খালি খালি ভোটের আয়োজন করে কী লাভ? নির্বাচন বাদ দিয়ে সিলেকশনে গেলেই হয়। যে দল ক্ষমতায় থাকবে সারা দেশই হবে তার। এই ভোট তো আর ক্ষমতার পালাবদল ঘটায় না। তাই কোটি কোটি টাকা খরচের কী প্রয়োজন? শান্তির বদলে কেন এই হিংসা হানাহানি। আর যদি স্থানীয় স্তরে নির্বাচন করতে হয় তাহলে দলীয় প্রতীক বাদ দিন। তাহলে কিছুটা সুবিধা পেতে পারেন। তখন মানুষ ভোটে আগ্রহী হবে। বেছে নেবে তাদের পছন্দের লোক। এখন তো কলাগাছেও ভোট দিতে হয়। না দিলেও পাশ করে যায়। কেন যে এই নিয়মের ব্যতয় ঘটানো হলো? মানুষ এমনিতেই ভোটের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। তরুণরা দেশের শক্তি। তারা এখন হতাশ। ভোট কেন্দ্রে যেতে মোটেই আগ্রহী নয়। একটি বিদেশী সংস্থা জরিপ করে দেখিয়েছে ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে যাদের বয়স তারা আর ভোট কেন্দ্রে যেতে চায় না। রাজনীতির প্রতি তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এটা দেশের জন্য ভাল নয়। রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি বিদায় নেবে এটাই কি স্বাভাবিক! এটাই কি নিয়তি!
২৯শে জুলাই, ২০১৮
No comments