‘মিয়ানমারকেই দায় নিতে হবে’
জাতিগত
নিধনের উদ্দেশ্যেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা ও ধর্ষণ চলছে
বলে জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তিন নারী। তারা হলেন ইরানের শিরিন
এবাদি, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান ও যুক্তরাজ্যের ম্যারেইড ম্যাকগুয়ার।
গতকাল বুধবার তারা রাজধানীর হোটেল প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে এসব কথা বলেন। গত রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তারা উখিয়ার কুতুপালং
ক্যাম্প ও নো-ম্যানস ল্যান্ডসহ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে ওই
সংবাদ সম্মেলনে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। এসময় তারা শান্তিতে অপর নোবেল বিজয়ী
অং সান সুচির সমালোচনা করে তার নীরবতা ভাঙার অনুরোধ জানান। সোনারগাঁওয়ের
মেঘনা হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা আন্তর্জাতিক আদালতে সুচি ও দায়ী
সামরিক কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেন তারা।
মিয়ানমারের রাখাইন সফরের আগ্রহ দেখিয়ে তারা সুচির সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান। এর দায় মিয়ানমার সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান তারা ।
তাওয়াক্কুল কারমান তার সূচনা বক্তব্যের শুরুতে বলেন, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি গত কয়েক দিন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছি তাতে পরিষ্কার যে সেখানে গণহত্যা চলছে। আগে যা জেনেছি, তার চেয়েও ভয়াবহ। শিশু হত্যাসহ নারী ধর্ষণও সেখানে হচ্ছে। অং সান সুচি, আমার নোবেলজয়ী বোন, এখনও চুপ কেন? সত্য প্রকাশ করুন। না হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
কারমান আরো বলেন, রাখাইনে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার পরও কীভাবে বিশ্ব চুপ করে আছে; যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি, সেটি মানবতার জন্য লজ্জাজনক।
ম্যারেইড ম্যাকগুয়ার বলেছেন, আমরা সবাই মানব পরিবারের সদস্য। অং সান সুচি যখন গৃহবন্দি ছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের জন্য আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তার এখন মনে রাখা উচিত যে, রোহিঙ্গাদেরও তো মানবিক অধিকার আছে।
আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের প্রসঙ্গ টেনে আইন বিশেষজ্ঞ শিরিন এবাদি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে এই বিচারের জন্য দুটি উপায় আছে। একটি হচ্ছে সেই দেশটি যদি আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য হয়ে থাকে তাহলে সরাসরি নিয়ে যাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে তারা যদি এই সংস্থার সদস্য না হয়, তাহলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশক্রমে আন্তর্জাতিক আদালতে এদের বিচার সম্ভব। সুদানও আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য ছিল না, তবে নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপের কারণে সুদানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে।
শিরিন এবাদি আরো বলেন, মিয়ানমার সফরের জন্য আমরা ভিসার অ্যাপ্লাই করবো। তারা যদি আমাদের ভিসা না দেয় তাহলে সেটি মিয়ানমারের জন্য ভুল হবে।
নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়ার মিয়ানমারের পক্ষাবলম্বনের বিষয়ে ম্যাকগুয়ার বলেন, অর্থনৈতিক সুবিধার কারণে তারা এর বিরোধিতা করছে।
সুচিকে এই তিন নোবেলজয়ী নারী কোনো চিঠি লিখেছেন কি না বা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো আবেদন করেছেন কি না জানতে চাইলে ম্যাকগুয়ার বলেন, আমরা মিনি স্টেটমেন্ট দিয়েছিলাম, তবে আমরা এখন এখান থেকে ফিরে গিয়ে আরও বিস্তারিত বলবো। তিনি আরো বলেন, আমরা অবশ্যই মিয়ানমার সফর করতে চাই এবং রাখাইন যেতে চাই।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমতকে সংহত করতে ঢাকার নারী সংস্থা ‘নারীপক্ষ’ নোবেল বিজয়ী তিন নারীর বাংলাদেশ সফরের আয়োজন করে। এ দেশে এসে তারা কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তিন নারী নোবেল বিজয়ী তা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন নোবেল বিজয়ীর সাক্ষাৎ: কক্সবাজার ঘুরে রাজধানীতে আসার পর গতকাল বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিন নোবেল বিজয়ী। এ সময় রোহিঙ্গারা রাখাইনে পরিকল্পিত হত্যার শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে এর দায় মিয়ানমারকে নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে বৈঠকের বিষয় সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বরেন, ম্যারেইড ম্যাকগুয়ার ধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যা দেখেছেন, তাতে গভীরভাবে শোকাহত। রাখাইনের ঘটনাকে গণহত্যা হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, এরপরও বিশ্ব সম্প্রদায় এখনো কীভাবে নীরব রয়েছে, তাতে তিনি বিস্মিত।
মানবিক কারণে দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তাকে ‘কাইন্ড মাদার’ হিসাবে বর্ণনা করেন ১৯৭৬ সালে শান্তিতে নোবেল ম্যাকগুয়ার।
গত বছরের ২৫শে অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর গত ছয় মাসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এর আগে গত কয়েক দশকে আসা আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বলেন, রাখাইনে যা ঘটছে, তার দায় মিয়ানমার সরকারকে অবশ্যই নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীডনের যে খবর প্রচার মাধ্যমে আসছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহতা সেখানে ঘটেছে বলে মন্তব্য তার।
আশ্রয়শিবির পরিদর্শনের সময় একশ নারীর সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি শেখ হাসিনাকে বলেন, ওই নারীরা মিয়ানমারে ধর্ষণের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। ক্যাম্পের অধিকাংশ এতিম রোহিঙ্গা শিশুর অভিভাবককে হত্যা করা হয়েছে।
তাওয়াক্কুল কারমান বলেন, এটা জাতিগত নিধনের পরিকল্পিত সরকারি নীতি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। ২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ইরানের শিরিন এবাদি এই গণহত্যার জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেন, সব মিলিয়ে দশ লাখ ৭৮ হাজার রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার যাতে ওই চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নেয়, সেজন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান বাংলাদেশের সরকার প্রধান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের রাখাইন সফরের আগ্রহ দেখিয়ে তারা সুচির সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান। এর দায় মিয়ানমার সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান তারা ।
তাওয়াক্কুল কারমান তার সূচনা বক্তব্যের শুরুতে বলেন, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি গত কয়েক দিন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছি তাতে পরিষ্কার যে সেখানে গণহত্যা চলছে। আগে যা জেনেছি, তার চেয়েও ভয়াবহ। শিশু হত্যাসহ নারী ধর্ষণও সেখানে হচ্ছে। অং সান সুচি, আমার নোবেলজয়ী বোন, এখনও চুপ কেন? সত্য প্রকাশ করুন। না হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
কারমান আরো বলেন, রাখাইনে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার পরও কীভাবে বিশ্ব চুপ করে আছে; যা আমরা প্রত্যক্ষ করছি, সেটি মানবতার জন্য লজ্জাজনক।
ম্যারেইড ম্যাকগুয়ার বলেছেন, আমরা সবাই মানব পরিবারের সদস্য। অং সান সুচি যখন গৃহবন্দি ছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের জন্য আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তার এখন মনে রাখা উচিত যে, রোহিঙ্গাদেরও তো মানবিক অধিকার আছে।
আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের প্রসঙ্গ টেনে আইন বিশেষজ্ঞ শিরিন এবাদি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে এই বিচারের জন্য দুটি উপায় আছে। একটি হচ্ছে সেই দেশটি যদি আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য হয়ে থাকে তাহলে সরাসরি নিয়ে যাওয়া যায়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে তারা যদি এই সংস্থার সদস্য না হয়, তাহলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশক্রমে আন্তর্জাতিক আদালতে এদের বিচার সম্ভব। সুদানও আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য ছিল না, তবে নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপের কারণে সুদানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে।
শিরিন এবাদি আরো বলেন, মিয়ানমার সফরের জন্য আমরা ভিসার অ্যাপ্লাই করবো। তারা যদি আমাদের ভিসা না দেয় তাহলে সেটি মিয়ানমারের জন্য ভুল হবে।
নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়ার মিয়ানমারের পক্ষাবলম্বনের বিষয়ে ম্যাকগুয়ার বলেন, অর্থনৈতিক সুবিধার কারণে তারা এর বিরোধিতা করছে।
সুচিকে এই তিন নোবেলজয়ী নারী কোনো চিঠি লিখেছেন কি না বা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো আবেদন করেছেন কি না জানতে চাইলে ম্যাকগুয়ার বলেন, আমরা মিনি স্টেটমেন্ট দিয়েছিলাম, তবে আমরা এখন এখান থেকে ফিরে গিয়ে আরও বিস্তারিত বলবো। তিনি আরো বলেন, আমরা অবশ্যই মিয়ানমার সফর করতে চাই এবং রাখাইন যেতে চাই।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমতকে সংহত করতে ঢাকার নারী সংস্থা ‘নারীপক্ষ’ নোবেল বিজয়ী তিন নারীর বাংলাদেশ সফরের আয়োজন করে। এ দেশে এসে তারা কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এরপর তিন নারী নোবেল বিজয়ী তা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন নোবেল বিজয়ীর সাক্ষাৎ: কক্সবাজার ঘুরে রাজধানীতে আসার পর গতকাল বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিন নোবেল বিজয়ী। এ সময় রোহিঙ্গারা রাখাইনে পরিকল্পিত হত্যার শিকার হচ্ছে উল্লেখ করে এর দায় মিয়ানমারকে নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে বৈঠকের বিষয় সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বরেন, ম্যারেইড ম্যাকগুয়ার ধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যা দেখেছেন, তাতে গভীরভাবে শোকাহত। রাখাইনের ঘটনাকে গণহত্যা হিসাবে বর্ণনা করে তিনি বলেছেন, এরপরও বিশ্ব সম্প্রদায় এখনো কীভাবে নীরব রয়েছে, তাতে তিনি বিস্মিত।
মানবিক কারণে দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তাকে ‘কাইন্ড মাদার’ হিসাবে বর্ণনা করেন ১৯৭৬ সালে শান্তিতে নোবেল ম্যাকগুয়ার।
গত বছরের ২৫শে অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর গত ছয় মাসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এর আগে গত কয়েক দশকে আসা আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে বলেন, রাখাইনে যা ঘটছে, তার দায় মিয়ানমার সরকারকে অবশ্যই নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীডনের যে খবর প্রচার মাধ্যমে আসছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহতা সেখানে ঘটেছে বলে মন্তব্য তার।
আশ্রয়শিবির পরিদর্শনের সময় একশ নারীর সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি শেখ হাসিনাকে বলেন, ওই নারীরা মিয়ানমারে ধর্ষণের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। ক্যাম্পের অধিকাংশ এতিম রোহিঙ্গা শিশুর অভিভাবককে হত্যা করা হয়েছে।
তাওয়াক্কুল কারমান বলেন, এটা জাতিগত নিধনের পরিকল্পিত সরকারি নীতি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এর বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। ২০০৩ সালে শান্তিতে নোবেল পাওয়া ইরানের শিরিন এবাদি এই গণহত্যার জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেন, সব মিলিয়ে দশ লাখ ৭৮ হাজার রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার যাতে ওই চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নেয়, সেজন্য আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান বাংলাদেশের সরকার প্রধান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
No comments