কোটার পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে আন্দোলন by জসিম উদ্দিন

বাংলাদেশ আন্দোলন সংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করেছে। মানুষের ফাঁসি চেয়ে সাম্প্রতিক ইতিহাসের একটি আন্দোলনও সবার চোখে পড়েছে। ওই আন্দোলনের প্রকৃতি সবাইকে অবাক করেছে। সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম এ ধরনের আন্দোলনের নজির দেখা গেল, যেখানে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী তাদের সেবক হয়েছে। সরকারসহ পুরো এস্টাবলিশমেন্ট একসাথে তাদের সাথে কাজ করেছে। কখনো সেটা বিদেশী দূতাবাসের প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সমর্থন পেয়েছে। এই আন্দোলনের ভেতরের খবর দিতে গিয়ে এক সম্পাদক হেস্তনেস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত জেলের ঘানি টেনেছেন দীর্ঘদিন। এই প্রথম বোঝা গেল আন্দোলন হয় কোনো বৈরী পরিবেশ পরিস্থিতি ছাড়া। ভাষার জন্য আন্দোলনে সরকারের পেটোয়া বাহিনী গুলি করতে দ্বিধা করেনি। সেদিন অনেকে প্রাণ হারিয়ে আজ স্মরণীয় হয়ে আছেন। এখন বাংলা জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃতি পেয়েছে একটি বিশেষ ভাষা হিসেবে। এবার আমরা একটা অন্য রকম আন্দোলন দেখছি। আন্দোলনকারীরা অনেকটা দ্বিধাসন্দেহ নিয়ে যেন তাদের ক্ষোভ-দুঃখ প্রকাশ করতে চাচ্ছে। তাদের দাবির ন্যায্যতা প্রায় সবাই স্বীকার করছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা কিছুটা হলেও ইতস্তত। এর কারণ হচ্ছে, বিরোধী দলের আন্দোলনকারীদের চরম দুরবস্থা তারা দেখেছে। তাই দাবিটি তারা জোরালোভাবে প্রকাশ করতে পারছে না। যদিও এ ব্যাপার জাতীয় ঐকমত্য রয়েছে। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলন করছেন ছাত্ররা। তারা স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন, তাদের এই আন্দোলন কোটার বিরুদ্ধে নয়। তারা চাচ্ছেন কোটা ব্যবস্থার সংস্কার। তারা শেখ মুজিবুর রহমানের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথাই বলছেন। বিভিন্ন সময় এই আন্দোলনকারীদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে হাজির হতে দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ তারা সরকারের করুণার দৃষ্টি চায়। যেই দৃষ্টি সরকার দিতে চায় না তার রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ হিসাব করে দেখাচ্ছে, সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা যাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তারা জাতির মাত্র আড়াই শতাংশ জনগণ। বাকি সাড়ে ৯৭ শতাংশ মানুষের জন্য রয়েছে ৪৪ শতাংশ পদ। এই হিসাবে দেখা গেল, আমরা শোষণহীন সাম্যবাদী রাষ্ট্র কায়েম করার অবস্থান থেকে সরে গেলাম। আমরা সম্পূর্ণ এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেরা সৃষ্টি করছি শোষণ ও বঞ্চিত শ্রেণী নিজেদের মধ্যে। সাড়ে ৯৭ শতাংশ মানুষের কাছে বাকিদের বানাচ্ছি অনেকটাই অপছন্দনীয় জনগোষ্ঠী। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাদের সম্ভবত কেউ একটা চাকরি পাবেন- এই আশায় যুদ্ধ করেননি। নিজেদের সন্তানদের চাকরি এর বিনিময় হয়ে যাবে, এমন ভাবনা তারা ভাবেননি। আর নাতিপুতিরা তাদের করা মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে খাবেন, এমন চিন্তা কোনোভাবে ভাবাও যায় না। আন্দোলনকারীরা বলছেন না কোটা বন্ধ করে দিতে হবে। তারা বলছেন, এটাকে যৌক্তিকপর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। এখন যেই অবস্থা চলছে তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে আমরা জাতীয় সুযোগ সুবিধা বণ্টনের ক্ষেত্রে একেবারে বঞ্চিত করে দিলাম। অন্য দিকে সব সুবিধা যেন যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাদের তুলে দিতে চাচ্ছি। এর ওপর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা, তা নিয়ে কেউ সন্তুষ্ট নয়। প্রত্যেক সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পরিবর্তন হয়ে যায়। এ পর্যন্ত একটা স্বচ্ছ অবিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করা যায়নি। সব সময় এ নিয়ে একটি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের সাবজেক্ট হয়ে আছেন মুক্তিযোদ্ধারা। একেবারে সরকারের শীর্ষ প্রশাসনেও মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। সচিবপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে এ জালিয়াতি করে সুযোগ নেয়ার অন্যায় চেষ্টা দেখা গেছে। ছাত্রদের কাছে বঞ্চনার বিষয়টি স্পষ্ট। কিন্তু এ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সে সুযোগ দেশে নেই। তাই তারা সরকারের আনুকূল্যে থেকে সংস্কারের বিষয়টি সামনে উত্থাপন করতে চাইছে। তাদের এ দাবির প্রতি প্রায় সবার সমর্থন রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এর মধ্যে বাংলাদেশের কোটা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। অনেকে এ বঞ্চনা অচিরেই বন্ধ করার জন্য সংবাদমাধ্যমে কথা বলছেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ডাকে শাহবাগের গণগ্রন্থাকার অধিদফতরের সামনে বিক্ষোভ হয় রোববার। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা এতে অংশ নেন। প্রথমে তাদের জমায়েত হতে বাধা দেয়া হয়। পরে তাদের কাছ থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে আন্দোলন অনেকটাই পণ্ড করে দেয় পুলিশ। কিছুক্ষণ পর একই স্থানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষের অংশ মাইক ব্যবহার করে সমাবেশ করে। এই আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য হচ্ছে, প্রচলিত কোটা ব্যবস্থা অটুট থাকুক। পুলিশ তাদের অনেকটাই নিরাপত্তা দিয়ে এমন আন্দোলনে সহযোগিতা করে। আন্দোলন প্রকৃতপক্ষে বিদ্যমান অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পুলিশের দায়িত্ব শন্তিপূর্ণ আন্দোলনের সুযোগ করে দেয়া। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা। এখন দেখা যাচ্ছে, যেই দাবির আসলে সারবত্তা নেই, সেই পক্ষের আন্দোলনকারীদের পুলিশ প্রশ্রয় দিচ্ছে। ন্যায্য দাবি নিয়ে যারা রাজপথে আসছে, তাদের অন্যায়ভাবে দমিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই তাদের অধিকার খর্ব করছে, একইভাবে কোটা সংস্কার দাবিতে রাস্তায় নামা তরুণদেরও বাধা দিচ্ছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান এক গবেষণায় জানান, স্থায়ী কোটা ব্যবস্থা পৃথিবীর কোথাও নেই। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোটার ব্যবস্থা করা হয়। যেমন- বাংলাদেশের সংসদে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এগুলো স্থায়ী নয়। ’৭২ সালে কোটা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ৪৫ বছর গত হয়ে যাওয়ার পরও সেটা রিভিউ করা হয়নি। কোন কোটা দরকার, এই কোটা সুবিধা কী কাজ করছে- এ নিয়ে সরকারের কোনো ভাবনা নেই। সরকার এ ব্যাপারে কোনো ধরনের গা করছে না। পৃথিবীর দ্বিতীয় কোনো দেশে এমন জটিল কোটা ব্যবস্থা নেই। বাংলাদেশে চাকরিতে ২৫৮ ধরনের কোটা রয়েছে। মেধাবীরা এ কারণে সরকারি চাকরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির কথা বলা হলেও সেই অনগ্রসর গোষ্ঠী কারা এবং কত দিন ধরে তাদের কোটার সুবিধা দেয়া যেতে পারে তা নতুন করে ভাবার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কোটা সঠিক ব্যবহার না হওয়ার বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট হলেও সরকার এটিকে তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে দেখতে পারছে না। তাই তারা বিদ্যমান ব্যবস্থা বজায় রেখে রাজনৈতিক ফায়দা অব্যাহত রাখতে চায়। ২৮ থেকে ৩১ ও ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় কোটায় সংরক্ষিত পদ পূরণ না হওয়ায় সাড়ে তিন হাজার পদ ফাঁকা পড়ে থাকে। যেখানে দেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্ব বিরাজ করছে। এ অবস্থায় বেকারদের দুরবস্থার কথা ভাবার পরিবর্তে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আরো নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক, এমন সিদ্ধান্ত কারা নিচ্ছেন। তারা কি এ দেশের দেশপ্রেমিক নীতিনির্ধারক? যারা দেশের মানুষের প্রকৃত কল্যাণ চান? এর মাধ্যমে তারা কোনোভাবে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তাদের পরিবারের উপকার করছেন না; বরং জাতির সামান্য একটা অংশকে পরনির্ভরশীল ও দুর্বল করে দিচ্ছেন।
তারা নিজেদের থেকে যোগ্য হয়ে ওঠার প্রেরণা হারাচ্ছেন। একটি প্রতিযোগিতামূলক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার চেষ্টা তাদের মধ্যে বিকশিত হচ্ছে না। তারা সব সময় পরভোগী আলগা সুবিধা নেয়ার ধারণায় গড়ে উঠছেন। এর মাধ্যমে মূলত ক্ষতি করে দেয়া হচ্ছে দেশের। বিভিন্ন ব্যাংকেও একই ধরনের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েক হাজার নার্স একই কোটায় নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত চলছে। সেখানে নার্সরা আন্দোলনে রয়েছেন। বিদ্যমান ব্যবস্থা অনুযায়ী সরকারি কর্ম কমিশন যদি ১০০ জন লোক নিয়োগ দেয়, তাহলে মাত্র ৪৪ জন নিয়োগ পাবেন মেধার ভিত্তিতে। বাকিদের মধ্যে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ জন নারী কোটা, ১০ জন জেলা কোটা ও পাঁচজন উপজাতি কোটায় নিয়োগ পান। ১ শতাংশ নিয়োগ পান প্রতিবন্ধী কোটায়। একজন চাকরিপ্রার্থী হিসাব করে দেখিয়েছেন, দুই হাজার সরকারি চাকরির জন্য যদি দুই লাখ প্রার্থী থাকেন, সেখানে কোটার জন্য বরাদ্দ হয় এক হাজার ১০০ পদ। অন্য দিকে মেধাবীদের জন্য বরাদ্দ হয় ৯০০ পদ। কোটার এক হাজার ১০০টি পোস্টের জন্য প্রতিযোগিতা করেন মাত্র ২৫ হাজার প্রার্থী। অন্য দিকে বাকি ৯০০ পোস্টের জন্য প্রতিযোগিতা করেন এক লাখ ৭৫ হাজার প্রার্থী। এটা অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করছে। এর ফলে একদল কম যোগ্য লোক সরকারের উচ্চপদে সহজে ঢুকে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্য দিকে অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার পরও অন্য একটি দল সুযোগ পাচ্ছে না দেশের সেবা করার। কোটা প্রথা মেধাবীদের সুযোগ সীমিত করে দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কোটায় সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ প্রাধান্য পাওয়ায় ক্রমেই প্রশাসনের কর্মদক্ষতা হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে মধ্যম মানের অপেক্ষাকৃত কম মেধার মানুষ দ্বারা প্রশাসন পরিচালিত হয়ে দেশের সম্ভাবনা শঙ্কায় পড়েছে। ১৯৭২ সালে সরকারের এক নির্বাহী আদেশে কোটা প্রথা চালু হয়। এরপর কোটা প্রথার নানা ধরনের পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়েছে। ২০১২ সাল পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে। এই বছরে কোটা আরো ১ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুবিধা কমে দাঁড়ায় ৪৪ শতাংশ। সাময়িক প্রয়োজনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন দেশ কোটা নির্ধারণ করে। সেই প্রয়োজন যখন আর থাকে না তখন কোটা প্রথাও তুলে নেয়া হয়। আমাদের দেশে হয়েছে ঠিক তার বিপরীত। ৩০ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রাখা হয়। পরে এটি বিস্তৃত করা হয়েছে তাদের সন্তান ও পরবর্তী বংশধরদের জন্য। বর্তমান কোটা প্রথা সংবিধানের মূল স্পিরিটের সাথে সাংঘর্ষিক। অনেক ধারার সরাসরি বিরোধী। তার পরও এ নিয়ে খুব একটা কথা নেই। সবাই মোটামুটি চুপ। আমাদের মানবাধিকার আন্দোলনকারী ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনকারীরা এ নিয়ে খুব একটা ভাবছেন বলে দেখা যায় না। এমনটি হওয়া একটি শোষণহীন সমাজ গঠনের নমুনা হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, সরকারি প্রশাসনের দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর গোটা দেশের মানুষের ভাগ্য জড়িত। তারা যদি জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হন তাহলে রাষ্ট্রের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এখন কোটার মাধ্যমে দেশের কিছু অংশের জনগণকে সুবিধা দেয়ার যে চেষ্টা করা হচ্ছে তাতে রাষ্ট্রের স্বার্থ গুরুত্ব পাচ্ছে না। সবার আগে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। কিছু গোষ্ঠীর সুবিধাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যদি আমরা রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলি, কোটায় সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণীও একটা সময় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোটা ব্যবস্থা সংস্কার এখন সময়ের দাবি। এ নিয়ে মেধাবীদের মধ্যে বঞ্চনা রয়েছে। তারা এ ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য রাস্তায় নেমেছেন, উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই বঞ্চনা দূর করতে পারে ক্ষমতাসীন সরকার। তারা যদি নিজেদের ক্ষমতার বিষয়টি সব সময় বড় করে দেখেন, তাহলে দেশ বঞ্চিত হবে মেধাবীদের সেবা থেকে। শোষণহীন সাম্যবাদী পরিশীলিত সমাজ কায়েমের জন্য এ ব্যবস্থার অবশ্যই আমূল পরিবর্তন দরকার।
jjshim146@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.