আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দরপতন
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দরপতন হয়েছে। টানা তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠার একদিন পরই দরপতন ঘটল মূল্যবান ধাতুটির। দরপতনে ভূমিকা রেখেছে ডলারের শক্তিশালী অবস্থান। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনাও ধাতুটির বাজার নিম্নমুখী করেছে বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা। খবর মার্কেটওয়াচ, রয়টার্স। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জের (নিমেক্স) কোমেক্স বিভাগে মঙ্গলবার আউন্সে ৫ ডলার ৯০ সেন্ট বা স্থানীয় মুদ্রায় ৪৭২ টাকা (প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে) দাম কমেছে স্বর্ণের। জুনে সরবরাহ চুক্তিতে সোমবারের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২৫৫ ডলার ৫০ সেন্ট বা এক লাখ ৪৪০ টাকায়। এর আগে গত সোমবার কোমেক্সে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ২৬১ ডলার ৪০ সেন্ট বা এক লাখ ৯১২ টাকায়, যা গত ২৮ এপ্রিলের পর সেটিই ছিল ধাতুটির সর্বোচ্চ দর। আইসিই ইউএস ডলার সূচক মঙ্গলবার বেড়েছে দশমিক ২ শতাংশ। ডলারের শক্তিশালী অবস্থানে ভূমিকা রেখেছে দুর্বল ইউরো। যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রভাব পড়েছে ইউরোপের অর্থনীতিতে।
এ কারণে নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে ইউরো। দুর্বল ইউরো শক্তিশালী অবস্থানে ঠেলে দিচ্ছে ডলারকে। আর শক্তিশালী ডলার স্বর্ণসহ বিভিন্ন মূল্যবান ও ব্যবহারিক ধাতুর বাজারে সৃষ্টি করেছে নিম্নমুখী প্রবণতা। ফেডের নীতিনির্ধারণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২-১৩ জুন। এ বৈঠকে সুদহার বাড়ানো হতে পারে। সুদহার বাড়ানো হলে ডলার আরও শক্তিশালী অবস্থানে চলে যেতে পারে। স্বভাবতই এতে ডলার দ্বারা নির্ধারিত স্বর্ণসহ বিভিন্ন ধাতুর বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। আইআই ট্রেডারের প্রধান বাজার বিশ্লেষক বিল বারুচ বলেন, স্বর্ণের বাজারটি আপাতত বিক্রয়প্রবণ হয়ে উঠেছে। এ বিক্রয়প্রবণতা সামনের দিনগুলোয় আরও বাড়তে পারে। ফেডের সুদহার বাড়ানোর বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। সুদহার বাড়লে স্বর্ণের বাজারে নিঃসন্দেহে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে তিনি জানান।
No comments