ছাগলনাইয়ায় কলেজছাত্রীর পা ভেঙে দিল বখাটেরা
বখাটের বিরুদ্ধে থানায় যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন ছাগলনাইয়ার এক কলেজছাত্রী ও তার বাবা। বখাটেরা প্রকাশ্যে থানার সামনের সড়কে বাবা ও মেয়েকে পিটিয়ে মাথা ফাটায় এবং পা ভেঙে দেয়। শুক্রবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বখাটেদের হামলায় গুরুতর আহত বাবা-মেয়েকে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় পূর্ব দেবপুর গ্রামের কলেজছাত্রী খোদেজা আক্তারের (২০) ডান পা ভেঙে যায়। তার সারা শরীর পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। হামলায় তার বাবা নুরুল ইসলামের (৫৫) মাথা ফেটে যায় ও পুরো শরীর জখম হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দেবপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে নাজিম এবং দক্ষিণ সতর গ্রামের ছিদ্দিক আহমদের ছেলে খুরশিদ আলমকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রিপুল তার দলবল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টাও করে। আহত কলেজছাত্রীর চাচা সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আলহাজ আবদুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে প্রায় প্রতিদিনই উত্ত্যক্ত করত মহামায়া ইউনিয়নের পূর্ব দেবপুর গ্রামের বাচ্ছু মিয়ার বখাটে ছেলে রিপুল। স্থানীয়রা তাকে সাবধান করলে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রিপুল তার দলবল নিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণের জন্য তার বাড়িতে যায়। রিপুল তার ঘরে ঢোকার জন্য দরজা ভাঙার চেষ্টা করলে ওই ছাত্রী চিৎকার দেয়। এ সময় তার বাবা নুরুল ইসলামসহ অন্যরা ছুটে এসে রিপুলকে ধরে পিটুনি দেন। তখন রিপুলের সহযোগীরা তাকে ছাড়িয়ে নিতে নুরুল ইসলামের ঘরের দরজা-জানালা পেটাতে থাকে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে রিপুল তার সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে নুরুল ইসলাম তার মেয়েকে নিয়ে ছাগলনাইয়া থানায় আসেন। লিখিত অভিযোগ দিয়ে থানা থেকে বের হওয়ার পর গেটের পূর্ব পাশে আশা মাত্রই রিপুল, তার ভাই শরীফ, জসিম মাস্টার ও তার ছেলে রাকিব, রকি, নাজিম ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন নুরুল ইসলাম ও তার মেয়েকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গরিব শাহ হোসেন বাদশা চৌধুরী জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন। এসআই ফারুক মিয়া জানান, এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
No comments