নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াবে ইফতার রাজনীতি
প্রতি বছর পবিত্র রমজান এলেই শুরু হয় এক ধরনের ইফতার রাজনীতি। তবে এবার নানান কারণে তা ভিন্নমাত্রা ছড়াবে। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের এখনও দেড় বছর বাকি থাকলেও ইতিমধ্যে যে নির্বাচনী ডামাডোল শুরু হয়েছে, তার ঢেউ গিয়ে লাগবে ইফতার পার্টিতে। সহজ করে বললে বলতে হবে- রজমান মাসজুড়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সব পর্যায়ের শুভাকাক্সক্ষীদের সঙ্গে সম্পর্কটা নবায়ন করে নেবে। যারা বছরের অন্যান্য সময়ে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারেন না, তারাও ইফতার পার্টিতে মিলিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। আর কারণ যাই হোক না কেন, যেহেতু আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনাটা কেউ উড়িয়ে দিচ্ছেন না, তাই এবার মাহে রমজানে বিশেষ উত্তাপ ছড়াবে ভোটের রাজনীতি। সরকারি দল উন্নয়নের ফিরিস্তি সামনে এনে জনসমর্থন আদায়ে একেবারে ইউনিয়ন ও গ্রামপর্যায়ে ইফতার পার্টি দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। তবে মাঠের রাজনীতির প্রধান বিরোধী দল হিসেবে এবার বিএনপির প্রস্তুতিটাও চোখে পড়ার মতো হবে। কিছু দিন থেকে দলটির মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর জোর চেষ্টায় সে বার্তা দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, ডিসেম্বর নাগাদ তাদের রাজপথে নতুনরূপে দেখা যাবে। ওদিকে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও সরব। তিনশ’ আসনে একক প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে তারাও সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। স্বভাবতই বড় এ তিনটি দল রমজানজুড়ে ঘরোয়া রাজনীতিতে এবার বহুমাত্রিক কৌশলে বেশি সক্রিয় থাকবে। সবদিক বিশ্লেষণ করে এমনটিই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। আওয়ামী লীগ : দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘মানুষের কাছে যাও’ আহ্বানে সাড়া দেয়ার উত্তম মাধ্যম হিসেবে আসন্ন রমজানে ইফতারকেই বেছে নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এর মাধ্যমে আন্তঃসংযোগ আর গণসংযোগ দুটোই বাড়াতে চায় দলটি। আর তা চলবে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত। ইফতার আয়োজনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করা, উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সম্মিলন ঘটাবে দলটি। চালাবে আগামী নির্বাচনের প্রচারণাও। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার ইফতারের আয়োজন বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা মনে করছেন, ২০১৮ সালের শেষে নির্বাচন হলেও গণসংযোগ বাড়ানো এবং জনগণের মন জয়ের জন্য এটা হতে পারে উৎকৃষ্ট পন্থা। পাশাপাশি ইফতার পার্টির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জনগণকে জানানোরও বিশেষ সুযোগ। তাই এবার এ আয়োজন চলবে সাড়ম্বরে। নিজেরা ইফতার আয়োজনের পাশাপাশি অন্যের আয়োজিত ইফতারেও ব্যাপকভাবে অংশ নেবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। প্রতিটি ইফতার পার্টিতে ঘুরেফিরে আসবে রাজনৈতিক আলোচনা। সেখানে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-দূরত্ব, ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকলে সেগুলো মিটিয়ে ফেলা হবে। আর ইফতারে আগত সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও গড়ে উঠবে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, বরাবরের মতোই এবারও দলের পক্ষ থেকে ইফতারের আয়োজন করা হবে। নেতাকর্মীরাও যার যার মতো করে এর আয়োজন করবেন। আমার নিজের নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে ইফতার পার্টি হয়। এবারও হবে। সেখানে সরকারের অর্জন এবং উন্নয়নগুলো আমরা তুলে ধরব। এতে নেতাকর্মী এবং জনগণের মধ্যে একটা যোগাযোগ অবশ্যই হবে। তিনি বলেন, এটা সত্যি যে, ইফতারকে কেন্দ্র করে রমজান মাসে ব্যাপক গণসংযোগ হয়, যা এবারও হবে। দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রমজান মাসজুড়ে ইফতার আয়োজন করবেন। বরাবরের মতোই এবারও তিনি প্রথম দিনের ইফতার করবেন এতিমদের সঙ্গে। দ্বিতীয় দিনটি পরিবার ও নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে। পর্যায়ক্রমে রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, কূটনৈতিক,
সামরিক-বেসামরিক আমলা, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, বুদ্ধিজীবী এবং আলেম-ওলামাসহ সব ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের সম্মানে ইফতার আয়োজন করবেন তিনি। এদিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজান মাসজুড়েই ইফতার রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন তারা। দলটির দফতর সূত্রে জানা যায়, এবার কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, কূটনীতিক, বিভিন্ন পেশাজীবী, আলেম-ওলামা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জন্য আলাদা করে ইফতারের আয়োজন করা হবে। যদিও এখন পর্যন্ত এর কোনো সূচি তৈরি করা হয়নি। কেন্দ্রের পাশাপাশি জেলা-উপজেলাসহ তৃণমূলে দলের প্রতিটি ইউনিট নিজস্ব কার্যালয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করবে। এমন নির্দেশনা ইতিমধ্যে তারা পেয়েছেন। দলীয়ভাবে ছাড়াও নেতারাও স্ব স্ব উদ্যোগে ইফতার আয়োজন করবেন। নির্বাচনী এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, এতিমখানাসহ এ রকম প্রতিটি জায়গায় চলবে বিশেষ ইফতার আয়োজন। উদ্দেশ্য সার্বিকভাবে জনগণের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মিত্র বৃদ্ধি, পুরনো তিক্ত সম্পর্কের উন্নতি, ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও অভিমানের সমাপ্তি ঘটানোর চেষ্টাও চলবে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ যুগান্তরকে বলেন, ইফতার ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও এখানে নানা ধরনের মানুষের সমাগম হয়। আসেন নানা মতের, নানা শ্রেণীর মানুষ। ইফতার পার্টি এদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন রমজানেও দলের নেতাকর্মীরা ইফতারে অংশ নেবেন। সেখানে সরকারের উন্নয়ন ও অর্জন জনগণের কাছে তুলে ধরবেন, সেটা আমরা কামনা করি। এতে জনগণের আরও কাছাকাছি যাওয়া যাবে। তাছাড়া এ ধরনের অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যেও এক ধরনের উৎসাহ সঞ্চারিত হবে বলেই আমার বিশ্বাস। আওয়ামী লীগ মনে করছে, ইফতারকে কেন্দ্র করেই জমে উঠবে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা। স্ব স্ব এলাকার ইফতারে অংশ নিতে প্রতিটি নেতাকর্মী এলাকামুখী হবেন। ইফতারে আগত মানুষের সঙ্গে নেতাকর্মীদের দেখা-সাক্ষাৎ ও আলাপ-আলোচনা হবে। নেতাদের কাছে পেয়ে সাধারণ জনগণও তাদের সমস্যাসহ নানা বিষয় তুলে ধরবেন। এসব বিষয় মাথায় রেখে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের যতটা সম্ভব বেশি বেশি ইফতার পার্টিতে যোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা জানান। এ প্রসঙ্গে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল যুগান্তরকে বলেন, তারা নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর অংশ হিসেবেই আসন্ন রমজানে মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ইফতার পার্টির আয়োজন করবেন। এছাড়া মসজিদ-মাদ্রাসা-এতিমখানাসহ ধর্মীয়-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ইফতারের নিমন্ত্রণ পেলে সেগুলোতে অংশ নেবেন। এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মধ্যেও চাঙ্গা ভাব আসবে বলে তিনি মনে করছেন।
বিএনপি : কারণ যাই হোক হঠাৎ করেই বিএনপির মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর উজ্জীবিত ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে নিষ্ফল পুলিশি তল্লাশি অভিযানের পর নেতাকর্মীদের মধ্যে রাজপথে সক্রিয় হওয়ার মানসিক শক্তি বেড়ে গেছে। এতদিন নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অসহায়ত্ব, নির্লিপ্ততার ভাব লক্ষ্য করা গেলেও হঠাৎ তারা যেন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। নেতাকর্মীদের স্বস্তির কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন, ২০১৪ সালের মতো আর একতরফা নির্বাচন হবে না। ক্ষমতাসীনদের কথাতে সেই ইঙ্গিতই মিলছে। একই সঙ্গে প্রভাবশালী প্রতিবেশী একটি দেশ আগামী নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখবে না বলে আগেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ফলে আগামী নির্বাচনে সব দলকে জনগণের সামনে কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। যেখানে নকল করার কোনো সুযোগ থাকবে না। এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার রাজনীতিতে নতুন এক মেরুকরণ ঘটতে পারে। সূত্র বলছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত ও আরও সক্রিয় করে রাজপথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় বিএনপি। এ লক্ষ্যে তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। ইফতারে ঘরোয়া রাজনীতির মধ্য দিয়ে অনেক কাজ শেষ করতে চায় তারা। বলা হচ্ছে, ঈদের পর থেকে মাঠ গোছানোর কাজে হাত দেয়া হবে। এবারের রমজানে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজ উদ্যোগে রাজধানীতে ৫টি ইফতারের আয়োজন করছেন। এর মধ্যে একটি ইফতার দলীয় নেতাদের সম্মানে আয়োজন করছেন তিনি। এর বাইরেও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর ইফতারেও অংশ নেবেন খালেদা জিয়া। এসব ইফতার অনুষ্ঠানে আগামী নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারসহ নানা ইস্যুতে তিনি বক্তব্য রাখবেন। এদিকে দলটির যেসব নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদের সবাই কম-বেশি এলাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশেষ করে রমজানজুড়ে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার একটি বার্তা তারা এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে দিতে চান।
বিএনপি : কারণ যাই হোক হঠাৎ করেই বিএনপির মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর উজ্জীবিত ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে নিষ্ফল পুলিশি তল্লাশি অভিযানের পর নেতাকর্মীদের মধ্যে রাজপথে সক্রিয় হওয়ার মানসিক শক্তি বেড়ে গেছে। এতদিন নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অসহায়ত্ব, নির্লিপ্ততার ভাব লক্ষ্য করা গেলেও হঠাৎ তারা যেন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। নেতাকর্মীদের স্বস্তির কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন, ২০১৪ সালের মতো আর একতরফা নির্বাচন হবে না। ক্ষমতাসীনদের কথাতে সেই ইঙ্গিতই মিলছে। একই সঙ্গে প্রভাবশালী প্রতিবেশী একটি দেশ আগামী নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখবে না বলে আগেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। ফলে আগামী নির্বাচনে সব দলকে জনগণের সামনে কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হবে। যেখানে নকল করার কোনো সুযোগ থাকবে না। এ বিষয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার রাজনীতিতে নতুন এক মেরুকরণ ঘটতে পারে। সূত্র বলছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত ও আরও সক্রিয় করে রাজপথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় বিএনপি। এ লক্ষ্যে তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। ইফতারে ঘরোয়া রাজনীতির মধ্য দিয়ে অনেক কাজ শেষ করতে চায় তারা। বলা হচ্ছে, ঈদের পর থেকে মাঠ গোছানোর কাজে হাত দেয়া হবে। এবারের রমজানে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজ উদ্যোগে রাজধানীতে ৫টি ইফতারের আয়োজন করছেন। এর মধ্যে একটি ইফতার দলীয় নেতাদের সম্মানে আয়োজন করছেন তিনি। এর বাইরেও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর ইফতারেও অংশ নেবেন খালেদা জিয়া। এসব ইফতার অনুষ্ঠানে আগামী নির্বাচন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারসহ নানা ইস্যুতে তিনি বক্তব্য রাখবেন। এদিকে দলটির যেসব নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদের সবাই কম-বেশি এলাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশেষ করে রমজানজুড়ে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার একটি বার্তা তারা এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে দিতে চান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুগান্তরকে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই হবে। আর ওই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিও অংশ নেবে। যেখানে বিএনপিই জয়ী হবে। তাই এবারের নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহও বেশি। এ কারণেই এবারের নির্বাচনে যারা ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদের মধ্যে যেমন প্রবল আগ্রহ রয়েছে, তেমনি এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যেও আগ্রহের কমতি নেই। আর সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে পেলে নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহের মাত্রাটা বাড়বে বৈকি। দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা যুগান্তরকে বলেন, ইতিমধ্যে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের পক্ষ থেকে যে ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে আশা জাগিয়েছে। আগামী নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থিতা প্রকাশের পাশাপাশি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার দাবিটি জনগণের দাবিতে পরিণত করা হবে, যা ইফতার পার্টির প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠতে পারে। বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল যুগান্তরকে বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি নেত্রকোনার দুর্গাপুর-কলমাকান্দায় থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে এবারও তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। এরই অংশ হিসেবে নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী এলাকায় নানা ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন। জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, রমজান মাসে সবাই রাজনীতিটাকে একটু দূরে রেখে ধর্ম-কর্ম করতে চান। তবে রাজনীতি তো আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ছুটি হয়ে যায় না। এ মাসে ইফতার পার্টি ও বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে। আর এর মধ্য দিয়েই সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চলবে।
জাতীয় পার্টি : রোজার মাসে দল গোছাতেই সময় দেবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সাধারণত এ মাসে ঢাকার বাইরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন না তিনি। রাজপথেও দলের কোনো কর্মসূচি থাকবে না। তাই রমজানজুড়ে ইফতার পার্টি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে জাতীয় পার্টি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠন। পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে এরশাদ এগুলোতে উপস্থিত থাকবেন। জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, প্রথম রোজায় গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতার করবেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ৩ জুন কূটনীতিক, রাজনীতিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গুলশানের ওয়েস্টিনে ইফতার করবেন তিনি। বাকি প্রায় প্রতিদিনই দলীয় ইফতারে অংশ নেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। ২ জুন ঢাকা মহানগর উত্তরের ইফতার, ৬ জুন কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ইফতার, ৭ জুন জোটের ইফতার- এরকম প্রায় প্রতিদিনই দল এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ইফতার পার্টিতে উপস্থিত থাকবেন এরশাদ। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সামনে যেহেতু নির্বাচন তাই এবারের ইফতার পার্টিগুলোতে রাজনৈতিক আলোচনা বিশেষ স্থান পাবে। এবার প্রায় প্রতি রমজানেই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন থাকবে। ১ রমজানে পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ গুলশানের ইমানুয়েল সেন্টারে এতিমদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে ইফতার করবেন। দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। আগামী নির্বাচনের কৌশলও ইফতার পার্টিগুলোর আলোচনায় স্থান পাবে। বিভিন্ন পেশার লোকজনের কাছ থেকে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে পরামর্শ নেয়া হবে। তাই ইফতার পার্টি হলেও সেখানে রাজনীতি, বিশেষ করে আগামী নির্বাচনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
জাতীয় পার্টি : রোজার মাসে দল গোছাতেই সময় দেবেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সাধারণত এ মাসে ঢাকার বাইরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন না তিনি। রাজপথেও দলের কোনো কর্মসূচি থাকবে না। তাই রমজানজুড়ে ইফতার পার্টি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে জাতীয় পার্টি এবং এর বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠন। পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে এরশাদ এগুলোতে উপস্থিত থাকবেন। জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, প্রথম রোজায় গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতার করবেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ৩ জুন কূটনীতিক, রাজনীতিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গুলশানের ওয়েস্টিনে ইফতার করবেন তিনি। বাকি প্রায় প্রতিদিনই দলীয় ইফতারে অংশ নেবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। ২ জুন ঢাকা মহানগর উত্তরের ইফতার, ৬ জুন কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ইফতার, ৭ জুন জোটের ইফতার- এরকম প্রায় প্রতিদিনই দল এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ইফতার পার্টিতে উপস্থিত থাকবেন এরশাদ। জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সামনে যেহেতু নির্বাচন তাই এবারের ইফতার পার্টিগুলোতে রাজনৈতিক আলোচনা বিশেষ স্থান পাবে। এবার প্রায় প্রতি রমজানেই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন থাকবে। ১ রমজানে পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ গুলশানের ইমানুয়েল সেন্টারে এতিমদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে ইফতার করবেন। দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। আগামী নির্বাচনের কৌশলও ইফতার পার্টিগুলোর আলোচনায় স্থান পাবে। বিভিন্ন পেশার লোকজনের কাছ থেকে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে পরামর্শ নেয়া হবে। তাই ইফতার পার্টি হলেও সেখানে রাজনীতি, বিশেষ করে আগামী নির্বাচনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
No comments