শিশুটির লাশ টিভির বাক্সে লুকিয়ে রাখে রেজাউল
কালাইয়ে
দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র তাওহীদ শামিম শুভকে অপহরণের পর হত্যার মূল হোতা
রেজাউল করিমসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে পৌর শহরের মুন্সিপাড়া
মহল্লা থেকে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে
জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তথ্য উদঘাটনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত
রেখেছে। পুলিশের দাবি চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এ
মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
আটককৃতরা হলো, কালাই মুন্সিপাড়া মহল্লার ছাত্তারের ছেলে রেজাউল করিম, জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ রানা, মৃত সোলাইমানের ছেলে ফারুক হোসেন, আবদুর রশিদের ছেলে ছামছুল ইসলাম ও সাত্তারের ছেলে এমদাদুল হক। এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিম পেশায় ভ্যানচালক। শুক্রবার সকালে কালাই কাকলী শিশু নিকেতনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ও কালাই মুন্সিপাড়া মহল্লার ঠিকাদার আবদুল গফুর ওরফে তোতা মিয়ার ছেলে শুভকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় তার বাড়িতে। পরে শিশুর বাবার কাছে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে রেজাউল। রফাদফা শেষে ৩ লাখ টাকা
মিটলেও ওই শিশুর বাবা পুলিশের আশ্রয় নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রেজাউল গলা টিপে হত্যার পর নিজ ঘরে টেলিভিশনের বাক্সে লুকিয়ে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে গভীর রাতে শুভর লাশ বাড়ির খুলিয়ানে খড়ের পালার নিকটে ফেলে রাখে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো ৩-৪ জন জড়িত থাকার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত সে একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এমনই তথ্য দিয়েছে পুলিশের কাছে।
প্রতিবেশি রেজাউল ইসলাম, রেদোয়ান হোসেনসহ অনেকেই জানান, রেজাউল একজন সবজি বিক্রেতা। বড় ভাই পান বিক্রেতা আর তার বাবা ছিল কলা বিক্রেতা। অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে চলতো তাদের পরিবার। সম্প্রতি রেজাউল স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি অটোভ্যান কিনে তা চালানো শুরু করে।
শুভর বাবা আবদুল গফুর জানান, অল্প সময়ের মধ্যে আমার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করেছে পুলিশ। আশা করি এই অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে আরো যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরুজ্জামান চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে মামলার মূল হোতাসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে সবকিছু শেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না।
আটককৃতরা হলো, কালাই মুন্সিপাড়া মহল্লার ছাত্তারের ছেলে রেজাউল করিম, জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ রানা, মৃত সোলাইমানের ছেলে ফারুক হোসেন, আবদুর রশিদের ছেলে ছামছুল ইসলাম ও সাত্তারের ছেলে এমদাদুল হক। এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল করিম পেশায় ভ্যানচালক। শুক্রবার সকালে কালাই কাকলী শিশু নিকেতনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ও কালাই মুন্সিপাড়া মহল্লার ঠিকাদার আবদুল গফুর ওরফে তোতা মিয়ার ছেলে শুভকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় তার বাড়িতে। পরে শিশুর বাবার কাছে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে রেজাউল। রফাদফা শেষে ৩ লাখ টাকা
মিটলেও ওই শিশুর বাবা পুলিশের আশ্রয় নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রেজাউল গলা টিপে হত্যার পর নিজ ঘরে টেলিভিশনের বাক্সে লুকিয়ে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে গভীর রাতে শুভর লাশ বাড়ির খুলিয়ানে খড়ের পালার নিকটে ফেলে রাখে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো ৩-৪ জন জড়িত থাকার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত সে একাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এমনই তথ্য দিয়েছে পুলিশের কাছে।
প্রতিবেশি রেজাউল ইসলাম, রেদোয়ান হোসেনসহ অনেকেই জানান, রেজাউল একজন সবজি বিক্রেতা। বড় ভাই পান বিক্রেতা আর তার বাবা ছিল কলা বিক্রেতা। অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে চলতো তাদের পরিবার। সম্প্রতি রেজাউল স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি অটোভ্যান কিনে তা চালানো শুরু করে।
শুভর বাবা আবদুল গফুর জানান, অল্প সময়ের মধ্যে আমার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করেছে পুলিশ। আশা করি এই অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে আরো যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরুজ্জামান চৌধুরী জানান, ইতিমধ্যে মামলার মূল হোতাসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে সবকিছু শেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না।
No comments