ফুটপাতে বীরশ্রেষ্ঠদের ম্যুরাল ও জীবনী
বিশাল ফুটপাত। পাশে আছে নানান জাতের নানান রঙের মৌসুমি ফুলের বাগান, ফলের গাছ, কৃত্রিম ঝরনা। পায়ে হাঁটার আলাদা রাস্তা। বাহারি মাছের নান্দনিক লেক। হেঁটে ক্লান্ত হলে বিশ্রামের জন্য একটু পর পর কংক্রিটের তৈরি বসার স্থান।
আর এসবের মাঝেই নির্দিষ্ট দূরত্বে তৈরি হয়েছে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীরশ্রেষ্ঠদের ম্যুরাল। ম্যুরালের পাশেই ছোট গোলাকার বৃত্তে লেখা তাঁদের জীবনী এবং মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অবদান। রাজধানীর রেডিও ব্লু হোটেলের বিপরীতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ফুটপাতে চোখে পড়বে সাত বীরশ্রেষ্ঠর ম্যুরাল ও জীবনী। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) তত্ত্বাবধানে এবং ভিনাইল ওয়ার্ল গ্রুপের নকশা ও অর্থায়নে বনানী রেলওয়ে ওভারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ছয় কিলোমিটারব্যাপী ‘ডিজিটাল ও সবুজ সড়ক’ প্রকল্পের অধীনে এই ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে। ফুটপাত ব্যবহারকারী বনানীর বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বীরশ্রেষ্ঠদের ছোট জীবনীসমৃদ্ধ এমন ম্যুরাল তৈরির সৃজনশীল ও শিক্ষণীয় উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এখন ফুটপাত ব্যবহারকারী সবাই বাংলার এই বীর সন্তানদের দেশপ্রেম আর আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে পারবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণাধীন এই ডিজিটাল ও সবুজ সড়কের কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনের অংশটি এখন অনেক পথচারীবান্ধব। তাই অনেকেই এখন সময় করে সকাল-বিকেল হাঁটতে আসেন এখানে। সঙ্গে নিয়ে আসেন ছোটদের। হাঁটার ফাঁকেই চোখ বুলিয়ে নেন বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি ও জীবনীতে। প্রাপ্তবয়স্কদের অনেকেও ম্যুরালে চোখ রাখেন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব, অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপনকারী যোদ্ধার স্বীকৃতিস্বরূপ সাত শহীদকে দেওয়া হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব। খিলক্ষেতের খাঁপাড়া থেকে চিকিৎসা নিতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে এসেছিলেন ফৌজিয়া আক্তার। সঙ্গে আসা নাতিকে নিয়ে চোখ বোলাচ্ছিলেন ম্যুরালগুলোতে।
No comments