ওবামার স্বাস্থ্যবিমা বাতিলে প্রস্তাব
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চালু করা স্বাস্থ্যবিমা বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। এটি বাতিলে অনেক আগে থেকেই প্রচারণা চালাচ্ছিলেন রিপাবলিকানরা। স্বাস্থ্যবিমা গ্রহণের জন্য বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে রিপাবলিকান পার্টি। এটি কিনতে সরকারের ভর্তুকি কমানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের জটিল এবং ব্যয়বহুল স্বাস্থ্যব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রবল বিরোধিতার পরও তিনি ‘অ্যাফোর্ডেবল হেলথ কেয়ার’ কর্মসূচি চালু করতে সক্ষম হয়েছিলেন। শুরু থেকেই রিপাবলিকান পার্টি ওবামা কেয়ারের বিরোধিতা করছিল। কিন্তু বিকল্প কোনো প্রস্তাব না দিতে পারায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচার থেকে ওবামা কেয়ার বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা দেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বিকেলে রিপাবলিকান পার্টি বিকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করে। এর মাধ্যমে ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিল এবং প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়। রিপাবলিকানদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিমা কিনতে কাউকে বাধ্য করা হবে না। বিমা না নেওয়ার কারণে কাউকে জরিমানা দিতে হবে না। ‘আমেরিকান হেলথ কেয়ার অ্যাক্টস’ নামে উপস্থাপিত এই প্রস্তাবে বিমাগ্রহীতাদের কর ক্রেডিট দেওয়া হবে।
ওবামা কেয়ারে নিম্নআয়ের লোকজনের জন্য স্বাস্থ্যবিমা কেনার ক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকি দেওয়ার বিধান ছিল। রিপাবলিকান পার্টির স্বাস্থ্যবিমা প্রস্তাবে বার্ষিক একক ৭৫ হাজার ডলার বা পরিবার মিলে ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারের নিম্ন আয়ের লোকজনের জন্য বয়স অনুযায়ী কর ক্রেডিট দেওয়া হবে। রিপাবলিকান পার্টির নতুন প্রস্তাবে রাজ্য সরকার পরিচালিত মেডিকেইড ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হবে। বিকল্প প্রস্তাব দেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবার সংস্কার যে কত জটিল, তা তাঁর জানা ছিল না। স্বাস্থ্যসেবার প্রস্তাব নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যে কতটা ঐকমত্য, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের যাচাই-বাছাইয়ের পর এপ্রিলের শেষ দিকে প্রস্তাবটি কংগ্রেসে যাবে। কংগ্রেস অনুমোদন করলেও স্বাস্থ্যবিমা নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দুই দলের আইনপ্রণেতারা বাগ্বিতণ্ডায় নামবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সিনেটে অনুমোদন পাওয়ার পরই স্বাস্থ্যবিমা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনের জন্য যাবে। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে স্বাস্থ্যবিমা আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments