নেতানিয়াহু কি খেপেছেন? by রবার্ট ফিস্ক
ইসরায়েলের
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কি খানিকটা পাগল হয়ে গেছেন? আমি এটাকে
বিচ্যুতি বলতে নারাজ। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের কথার উত্তরে
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যা বললেন, তাতে আমি বুঝলাম, তিনি কিছুটা
অপ্রকৃতিস্থ। মুন গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলিদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার
পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন, ‘তরুণ ফিলিস্তিনিরা বিচ্ছিন্নতা ও হতাশার গভীর
অনুভূতি থেকে এসব করছে।’
বান কি মুন ঠিক কথাই বলেছেন, ‘গত ৫০ বছরের দখলদারি চলতে থাকা ও শান্তির প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার কারণে ফিলিস্তিনিদের হতাশা বেড়েছে।’ সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘সব যুগেই দেখা গেছে, নিপীড়িত মানুষেরা প্রকৃতিগতভাবে দখলদারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।’
আমি জানি, জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে বিশ্ব রাজনীতিতে মুনের ক্ষমতা ফিজির নেতাদের সমান (ফিজির নেতাদের অশ্রদ্ধা করার জন্য বলছি না)। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের মহাসচিবকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ উৎসাহিত করার জন্য কেন সমালোচনা করলেন?
আপনারা মনে করতে পারেন, তিনি ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের কথা বলছিলেন, কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও রাশিয়ার ইরানের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে কিছুটা খাপছাড়া হয়ে গেছেন, সে কারণেই হয়তো নিধিরাম সর্দার মুনের দিকে তির ছুড়েছেন তিনি।
কিন্তু আমাদের এ কথাও মনে রাখতে হবে যে এই নেতানিয়াহুই নিউইয়র্কে জাতিসংঘের দপ্তরে কালো ফিউজ দিয়ে বোমার এক হাস্যকর কার্টুন করেছিলেন, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীকে এটা দেখানো যে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে কী হতে পারে। অক্লান্ত লেখক ইউরি আভিনেরিসহ বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি লেখক নেতানিয়াহুর এই হাস্যকর কাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। এর মধ্যে কার্টুনের মতো একটা ব্যাপার ছিল, আমি আপনাদের বলতে পারি।
এটা মার্কিন, ইউরোপীয় ও রুশদের থামাতে পারত না, বিশেষত এ কারণে যে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখলেও ইউরোপ তা করত না। কিন্তু নেতানিয়াহু কি এটা বুঝতে পারেন না যে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তাঁর আচরণের কারণে ইউরোপীয়রা কতটা খেপত? ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লঁরা ফ্যাবিয়াস কী বলেছেন, তিনি কি তা লক্ষ করেননি? লঁরা বলেছিলেন, শান্তিপ্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে ফ্রান্স ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।’ আমি মনে করি না যে সেখানে শান্তিপ্রক্রিয়া বলে কিছু ছিল। কারণ এটা সব সময়ই ছিল দখলদারদের সঙ্গে দখলীকৃতদের লড়াই, যেখানে সবাইকে ভান ধরতে হতো যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সমপর্যায়ে রয়েছে। ব্যাপারটা কখনোই এমন ছিল না, এখনো নয়।
এবার একটু ইতিহাসের দোহাই পারা যাক। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে জর্ডানের পশ্চিম তীর দখল করে নেয়। তারা সেখানে বসতি স্থাপন করে, পশ্চিম যেটাকে ইসরায়েলি ‘বসতি’ হিসেবে আখ্যা দেয়, অনেকটা আমেরিকার গহিন পশ্চিমে পশ্চিমা ‘বসতির’ মতো, যেটা ইসরায়েলিদের বসতি স্থাপনকে অনেকটা ইউরোপীয় মেজাজ দিয়েছিল। এরপর তারা দেখল, অন্যের জমিতে বেআইনিভাবে বসতি স্থাপন করার জন্য পশ্চিম তার সমালোচনা করছে। ইসরায়েল সরকার ঠিক কাজটিই করেছে, যে বিষয়ে অনেক ইসরায়েলিই এত দিন বিতর্ক করে এসেছে, কারণ এর ফলে ইসরায়েল জাতিসংঘের নির্ধারিত সীমান্তের বাইরেও ভূমির ‘মালিক’ হয়েছে। এর ফলে ইসরায়েলই এখন একমাত্র দেশ, যে এখনো উপনিবেশবাদী যুদ্ধ করছে।
ফিলিস্তিনিরা বলেছে, এটা একদম চুরির শামিল, অটোমান ও ব্রিটিশ শাসনে তারা এ ভূমির বৈধ মালিক ছিল। ঠিক কথাই বলেছে তারা। ফিলিস্তিনিদের দখলে থাকা জমি এভাবেই ইসরায়েলিরা কেড়ে নিয়েছে আর সেখানকার পণ্য যেমন সবজিসহ অন্যান্য জিনিস অবৈধভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বিক্রি করত তারা। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন এর প্রতিবাদ করেছে, তখন তারা দুর্বৃত্তের মতো তাকে সেমিটীয়বিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এভাবেই ঘৃণার সঞ্চার হয়েছে।
আমি সন্দেহ করি, মুন যে ইহুদিদের আরব ভূমি দখল করে নেওয়ার কথা বলেছিলেন, সেটাই আসলে নেতানিয়াহুর পছন্দ হয়নি। তিনি যা বলেছিলেন তা হলো, ‘ধারাবাহিকভাবে এই বসতি স্থাপন চলতে থাকলে তা ফিলিস্তিনি জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি অবজ্ঞার শামিল’, আমি বরং ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি। মুন যা বলেছেন আমরাও তা জানি। সেটা হলো অধিকৃত মানুষ দখলদারির বিরোধিতা করে, যেখান থেকে ওই ভূমি ‘ঘৃণা ও চরমপন্থার উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়’। ইরাকিরা কি এভাবে আমাদের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? আফগানরাই–বা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? আর ফিলিস্তিনি ইহুদিরাই-বা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যখন সেখানে ব্রিটিশরা ছিল?
কিন্তু এখন ‘ফিলিস্তিনে’ (দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইদানীং এই ইনভার্টেড কমা হরদম ব্যবহার করতে হচ্ছে) পরাধীন মানুষ আছে। আমরা জানি, দখলদারির মধ্যে কী হতে পারে। মানুষ হয় সাংঘাতিকভাবে প্রতিরোধ করে, না হয় তারা চলে যায়। ফিলিস্তিনিরা ভূমি ছেড়ে চলে গেলেই বোধ হয় নেতানিয়াহু খুশি হতেন। কারণ তাহলে তিনি আরও দ্রুত তাদের ভূমি দখল করতে পারতেন। কিন্তু তারা যদি পশ্চিম তীর থেকে ইউরোপের পথ ধরে, তাহলে কী হবে? আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি, আরব ও মুসলমানরা কীভাবে অস্ট্রিয়া ও জার্মানির দিকে গিয়েছে। গাজার গোবরের স্তূপ থেকে মানুষ ছোট নৌকায় করে গ্রিস ও ইতালির দিকে যেতে শুরু করলে ব্যাপারটা কেমন হবে?
মধ্যপ্রাচ্যে অনেক বিপদ আছে, যে ব্যাপারে ইউরোপীয়দের আরও সচেতন হওয়া উচিত। বা তারা কি সেটা বুঝতে পেরেও বলতে চায় না? বা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কি সত্য জানেন না? নাকি তিনি খেপেছেন?
দ্য ইনডিপেনডেন্ট থেকে নেওয়া, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
রবার্ট ফিস্ক: দ্য ইনডিপেনডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি।
বান কি মুন ঠিক কথাই বলেছেন, ‘গত ৫০ বছরের দখলদারি চলতে থাকা ও শান্তির প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার কারণে ফিলিস্তিনিদের হতাশা বেড়েছে।’ সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘সব যুগেই দেখা গেছে, নিপীড়িত মানুষেরা প্রকৃতিগতভাবে দখলদারির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।’
আমি জানি, জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে বিশ্ব রাজনীতিতে মুনের ক্ষমতা ফিজির নেতাদের সমান (ফিজির নেতাদের অশ্রদ্ধা করার জন্য বলছি না)। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের মহাসচিবকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ উৎসাহিত করার জন্য কেন সমালোচনা করলেন?
আপনারা মনে করতে পারেন, তিনি ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের কথা বলছিলেন, কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও রাশিয়ার ইরানের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে কিছুটা খাপছাড়া হয়ে গেছেন, সে কারণেই হয়তো নিধিরাম সর্দার মুনের দিকে তির ছুড়েছেন তিনি।
কিন্তু আমাদের এ কথাও মনে রাখতে হবে যে এই নেতানিয়াহুই নিউইয়র্কে জাতিসংঘের দপ্তরে কালো ফিউজ দিয়ে বোমার এক হাস্যকর কার্টুন করেছিলেন, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীকে এটা দেখানো যে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে কী হতে পারে। অক্লান্ত লেখক ইউরি আভিনেরিসহ বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি লেখক নেতানিয়াহুর এই হাস্যকর কাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। এর মধ্যে কার্টুনের মতো একটা ব্যাপার ছিল, আমি আপনাদের বলতে পারি।
এটা মার্কিন, ইউরোপীয় ও রুশদের থামাতে পারত না, বিশেষত এ কারণে যে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখলেও ইউরোপ তা করত না। কিন্তু নেতানিয়াহু কি এটা বুঝতে পারেন না যে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তাঁর আচরণের কারণে ইউরোপীয়রা কতটা খেপত? ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লঁরা ফ্যাবিয়াস কী বলেছেন, তিনি কি তা লক্ষ করেননি? লঁরা বলেছিলেন, শান্তিপ্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে ফ্রান্স ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।’ আমি মনে করি না যে সেখানে শান্তিপ্রক্রিয়া বলে কিছু ছিল। কারণ এটা সব সময়ই ছিল দখলদারদের সঙ্গে দখলীকৃতদের লড়াই, যেখানে সবাইকে ভান ধরতে হতো যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সমপর্যায়ে রয়েছে। ব্যাপারটা কখনোই এমন ছিল না, এখনো নয়।
এবার একটু ইতিহাসের দোহাই পারা যাক। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে জর্ডানের পশ্চিম তীর দখল করে নেয়। তারা সেখানে বসতি স্থাপন করে, পশ্চিম যেটাকে ইসরায়েলি ‘বসতি’ হিসেবে আখ্যা দেয়, অনেকটা আমেরিকার গহিন পশ্চিমে পশ্চিমা ‘বসতির’ মতো, যেটা ইসরায়েলিদের বসতি স্থাপনকে অনেকটা ইউরোপীয় মেজাজ দিয়েছিল। এরপর তারা দেখল, অন্যের জমিতে বেআইনিভাবে বসতি স্থাপন করার জন্য পশ্চিম তার সমালোচনা করছে। ইসরায়েল সরকার ঠিক কাজটিই করেছে, যে বিষয়ে অনেক ইসরায়েলিই এত দিন বিতর্ক করে এসেছে, কারণ এর ফলে ইসরায়েল জাতিসংঘের নির্ধারিত সীমান্তের বাইরেও ভূমির ‘মালিক’ হয়েছে। এর ফলে ইসরায়েলই এখন একমাত্র দেশ, যে এখনো উপনিবেশবাদী যুদ্ধ করছে।
ফিলিস্তিনিরা বলেছে, এটা একদম চুরির শামিল, অটোমান ও ব্রিটিশ শাসনে তারা এ ভূমির বৈধ মালিক ছিল। ঠিক কথাই বলেছে তারা। ফিলিস্তিনিদের দখলে থাকা জমি এভাবেই ইসরায়েলিরা কেড়ে নিয়েছে আর সেখানকার পণ্য যেমন সবজিসহ অন্যান্য জিনিস অবৈধভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বিক্রি করত তারা। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন এর প্রতিবাদ করেছে, তখন তারা দুর্বৃত্তের মতো তাকে সেমিটীয়বিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এভাবেই ঘৃণার সঞ্চার হয়েছে।
আমি সন্দেহ করি, মুন যে ইহুদিদের আরব ভূমি দখল করে নেওয়ার কথা বলেছিলেন, সেটাই আসলে নেতানিয়াহুর পছন্দ হয়নি। তিনি যা বলেছিলেন তা হলো, ‘ধারাবাহিকভাবে এই বসতি স্থাপন চলতে থাকলে তা ফিলিস্তিনি জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি অবজ্ঞার শামিল’, আমি বরং ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি। মুন যা বলেছেন আমরাও তা জানি। সেটা হলো অধিকৃত মানুষ দখলদারির বিরোধিতা করে, যেখান থেকে ওই ভূমি ‘ঘৃণা ও চরমপন্থার উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হয়’। ইরাকিরা কি এভাবে আমাদের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? আফগানরাই–বা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? আর ফিলিস্তিনি ইহুদিরাই-বা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যখন সেখানে ব্রিটিশরা ছিল?
কিন্তু এখন ‘ফিলিস্তিনে’ (দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইদানীং এই ইনভার্টেড কমা হরদম ব্যবহার করতে হচ্ছে) পরাধীন মানুষ আছে। আমরা জানি, দখলদারির মধ্যে কী হতে পারে। মানুষ হয় সাংঘাতিকভাবে প্রতিরোধ করে, না হয় তারা চলে যায়। ফিলিস্তিনিরা ভূমি ছেড়ে চলে গেলেই বোধ হয় নেতানিয়াহু খুশি হতেন। কারণ তাহলে তিনি আরও দ্রুত তাদের ভূমি দখল করতে পারতেন। কিন্তু তারা যদি পশ্চিম তীর থেকে ইউরোপের পথ ধরে, তাহলে কী হবে? আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি, আরব ও মুসলমানরা কীভাবে অস্ট্রিয়া ও জার্মানির দিকে গিয়েছে। গাজার গোবরের স্তূপ থেকে মানুষ ছোট নৌকায় করে গ্রিস ও ইতালির দিকে যেতে শুরু করলে ব্যাপারটা কেমন হবে?
মধ্যপ্রাচ্যে অনেক বিপদ আছে, যে ব্যাপারে ইউরোপীয়দের আরও সচেতন হওয়া উচিত। বা তারা কি সেটা বুঝতে পেরেও বলতে চায় না? বা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কি সত্য জানেন না? নাকি তিনি খেপেছেন?
দ্য ইনডিপেনডেন্ট থেকে নেওয়া, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
রবার্ট ফিস্ক: দ্য ইনডিপেনডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধি।
No comments