‘নিরাপত্তাহীনতায়’ এলাকা ছাড়লেন লাবণ্য হিজড়া by কাজী আনিছ
লাবণ্য হিজড়া। |
ব্লগার
ওয়াশিকুর রহমানের দুই হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিয়ে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।
‘সাহসিকা’ আখ্যা দিয়ে তাঁকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও হয়েছে অনেক। দেশ ও
দেশের বাইরে তাঁর সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেছেন অনেকে। কিন্তু নিরাপত্তার
অভাবে ভয়ে শেষমেশ তিনি ঢাকা ছেড়েই চলে গেলেন। তিনি লাবণ্য হিজড়া।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের দক্ষিণ বেগুনবাড়ীতে প্রকাশ্যে ওয়াশিকুরকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পালানোর সময় জিকরুল্লাহ ও আরিফুলকে ধরে ফেলেন লাবণ্য। পরে আশপাশের আরও কয়েকজন হিজড়া ও স্থানীয় লোকজন দৌড়ে গিয়ে দুই হত্যাকারীকে আটকে ফেলেন। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন ৩১ মার্চ ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন বাদী হয়ে জিকরুল্লাহ ও আরিফুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তভার ডিবিকে দেওয়া হয়।
গত ১ সেপ্টেম্বর ডিবি পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ওই পাঁচ আসামি হলেন জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, জুনায়েদ ওরফে তাহের ও হাসিব আবদুল্লাহ। এঁদের মধ্যে জিকরুল্লাহ, আরিফুল ও সাইফুল কারাগারে আছেন। অন্য দুজন পলাতক। মামলায় লাবণ্য ও আরেক হিজড়াসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অন্য হিজড়াদের সঙ্গে থাকতেন লাবণ্য। আজ বিকেলে অনন্যা নামের তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অনন্যা বলেন, ‘ঘটনার কয়েকদিন পর সাংবাদিকসহ অনেকে লাবণ্যের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিউজ করেছেন। তখন হত্যাকারী ধরিয়ে দেওয়া হলেও লাবণ্য এত বেশি ভয় পায়নি। কিন্তু পরে আর কেউ কোনো খোঁজ না নেওয়ায় লাবণ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন।’
অনন্যা বলেন, ‘কে কে জানি আমাদের ফোন করত। লাবণ্যকে ফোন করত। কথাবার্তা শুনে সন্দেহ লাগত। এতে লাবণ্য আরও বেশি ভয় পাইয়া যায়। এক পর্যায়ে ভয়ে সে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তবে সে এখন কোথায় আছে, তা আমি জানি না।’
লাবণ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনন্যা হিজড়া স্বপ্না নামের আরেক হিজড়ার মুঠোফোন নম্বর দেন। যোগাযোগ করা হলে স্বপ্না বলেন, ‘এতদিন পর খোঁজ নিলেন। লাবণ্য তো ভয়ে পালিয়ে গেল। আর ঢাকায় আসবে না। শুধু লাবণ্য না, আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
স্বপ্নার কাছ থেকে লাবণ্যের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করা হয়। অপর প্রান্ত থেকে হৃদয় পরিচয়ে একজন প্রথমে বলেন, ‘আমি লাবণ্য নামের কাউকে চিনি না।’ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর এবার তিনি বলেন, ‘লাবণ্য আমার পরিচিত। মোবাইলের সিমটি লাবণ্যের। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে লাবণ্য সিমটি আমাকে দিয়ে দিয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস ধরে লাবণ্যের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। অন্য কোনো মুঠোফোন নম্বরও লাবণ্য দেয়নি। সে কোথায় আছে জানি না।’
ওয়াশিকুর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মশিউর রহমান বর্তমানে র্যাবে কর্মরত। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মামলার সব কাগজপত্র ডিবিতে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। লাবণ্যের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।’
চলতি বছরের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের দক্ষিণ বেগুনবাড়ীতে প্রকাশ্যে ওয়াশিকুরকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পালানোর সময় জিকরুল্লাহ ও আরিফুলকে ধরে ফেলেন লাবণ্য। পরে আশপাশের আরও কয়েকজন হিজড়া ও স্থানীয় লোকজন দৌড়ে গিয়ে দুই হত্যাকারীকে আটকে ফেলেন। পরে তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন ৩১ মার্চ ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন বাদী হয়ে জিকরুল্লাহ ও আরিফুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তভার ডিবিকে দেওয়া হয়।
গত ১ সেপ্টেম্বর ডিবি পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ওই পাঁচ আসামি হলেন জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, জুনায়েদ ওরফে তাহের ও হাসিব আবদুল্লাহ। এঁদের মধ্যে জিকরুল্লাহ, আরিফুল ও সাইফুল কারাগারে আছেন। অন্য দুজন পলাতক। মামলায় লাবণ্য ও আরেক হিজড়াসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অন্য হিজড়াদের সঙ্গে থাকতেন লাবণ্য। আজ বিকেলে অনন্যা নামের তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অনন্যা বলেন, ‘ঘটনার কয়েকদিন পর সাংবাদিকসহ অনেকে লাবণ্যের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। নিউজ করেছেন। তখন হত্যাকারী ধরিয়ে দেওয়া হলেও লাবণ্য এত বেশি ভয় পায়নি। কিন্তু পরে আর কেউ কোনো খোঁজ না নেওয়ায় লাবণ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন।’
অনন্যা বলেন, ‘কে কে জানি আমাদের ফোন করত। লাবণ্যকে ফোন করত। কথাবার্তা শুনে সন্দেহ লাগত। এতে লাবণ্য আরও বেশি ভয় পাইয়া যায়। এক পর্যায়ে ভয়ে সে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তবে সে এখন কোথায় আছে, তা আমি জানি না।’
লাবণ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনন্যা হিজড়া স্বপ্না নামের আরেক হিজড়ার মুঠোফোন নম্বর দেন। যোগাযোগ করা হলে স্বপ্না বলেন, ‘এতদিন পর খোঁজ নিলেন। লাবণ্য তো ভয়ে পালিয়ে গেল। আর ঢাকায় আসবে না। শুধু লাবণ্য না, আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’
স্বপ্নার কাছ থেকে লাবণ্যের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করা হয়। অপর প্রান্ত থেকে হৃদয় পরিচয়ে একজন প্রথমে বলেন, ‘আমি লাবণ্য নামের কাউকে চিনি না।’ সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর এবার তিনি বলেন, ‘লাবণ্য আমার পরিচিত। মোবাইলের সিমটি লাবণ্যের। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে লাবণ্য সিমটি আমাকে দিয়ে দিয়েছে। প্রায় পাঁচ মাস ধরে লাবণ্যের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। অন্য কোনো মুঠোফোন নম্বরও লাবণ্য দেয়নি। সে কোথায় আছে জানি না।’
ওয়াশিকুর হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার মশিউর রহমান বর্তমানে র্যাবে কর্মরত। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি মামলার সব কাগজপত্র ডিবিতে বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। লাবণ্যের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।’
No comments