ক্যানসারের প্রকোপ বেশি, চিকিৎসা অপ্রতুল by শেখ সাবিহা আলম
বরুণ কৃষ্ণ অধিকারীর ফুসফুসে ক্যানসার। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এসেছেন বিকিরণ চিকিৎসা বা রেডিয়েশন থেরাপি নিতে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যানসার রেডিয়েশন থেরাপির যন্ত্র দেড় মাস নষ্ট। এসেছেন কুড়িগ্রামের আবদুল আজিজ, ভোলার মহিবুল্লাহ, নওগাঁর রুমানা বেগম। কারণ একটাই, তাঁদের এলাকার সরকারি হাসপাতালের রেডিয়েশন থেরাপির যন্ত্র নষ্ট।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে উপচে পড়া রোগীর ভিড়। তবে এ প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও নাজুক—সবাইকে ঠিক সময়ে প্রয়োজনমতো রেডিয়েশন থেরাপি দিতে পারছে না। গত বুধবার ক্যানসারের চিকিৎসায় দেশের শীর্ষ এই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা যায়, রেডিয়েশন থেরাপির ছয়টি যন্ত্রের তিনটিই নষ্ট। আশা নিয়ে অনেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। অপেক্ষায় আছেন, কখন বিকিরণ দেওয়ার সুযোগ পান।
বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এর সঙ্গে প্রতিবছর নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আড়াই লাখ রোগী। আর বছরে মারা যাচ্ছে দেড় লাখ মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও রোগের প্রকোপের বিবেচনায় দেশে কমপক্ষে ১৬০টি ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র বা হাসপাতাল থাকা দরকার।
তবে দেশে ক্যানসার চিকিৎসার সুযোগ খুবই সীমিত। সরকারি পর্যায়ে ১৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি (ওষুধে চিকিৎসা) দেওয়া হয়। তবে জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অধ্যাপক বলেছেন, সঠিক কেমোথেরাপি দিতে পারেন মেডিকেল অনকোলজিস্ট। কিন্তু সব প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল অনকোলজিস্ট নেই। অন্যরা এই চিকিৎসা দিচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও রোগের প্রকোপের বিবেচনায় দেশে কমপক্ষে ১৬০টি ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র বা হাসপাতাল থাকা দরকার। তবে দেশে ক্যানসার চিকিৎসার সুযোগ খুবই সীমিত বিএসএমএমইউয়ের অনকোলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, সচেতনতার অভাবে রোগের একেবারে শেষ পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে আসে মানুষ। ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগীর রেডিয়েশন থেরাপি দরকার।
তবে সরকারি পর্যায়ে জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই শুধু বিকিরণ চিকিৎসা চালু আছে। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর মেডিকেল কলেজ, সিলেট এম এ জি ওসমানী ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকিরণ চিকিৎসার যন্ত্র নষ্ট।
এর বাইরে ১০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও কেন্দ্রে ক্যানসার চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু এসব হাসপাতালে ব্যয় বেশি। সরকারি হাসপাতালে স্তন ক্যানসারে ১৬টি রেডিয়েশন থেরাপি দিতে খরচ পড়ে ১৪ হাজার ২০০ টাকা, বেসরকারি হাসপাতালে খরচ পড়ে দেড় লাখ থেকে তিন লাখ টাকা। অন্যান্য ক্যানসারের চিকিৎসায়ও খরচের পার্থক্য ব্যাপক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অনকোলজি বিভাগের প্রধান গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যানসার রোগের যে ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, আমরা তার প্রমাণ দিতে পারছি না। আজ যে রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন, তাঁকে আমরা তারিখ দিচ্ছি ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে অথবা মার্চের শুরুতে।’
গত বুধবার জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, বিকিরণ চিকিৎসা দেওয়ার কক্ষের বাইরে কম্বল পেতে শুয়ে ছিলেন রুমানা বেগম। তাঁর মেরুদণ্ডে ক্যানসার। ঢাকায় এসেছেন বগুড়ার ওপর দিয়ে। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক আছেন, কিন্তু বিকিরণ যন্ত্র অচল। ময়মনসিংহের বরুণ কৃষ্ণ অধিকারীকে নিতে হবে ৩৩টি থেরাপি।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক মো. মোয়াররফ হোসেন বলেন, রাতারাতি ১৬০টি কেন্দ্র তৈরি করা যাবে না। কমপক্ষে ২০টি কেন্দ্রেও যদি সেবা দেওয়া যেত, তাহলে রোগীদের কষ্ট কমত। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মো. নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সেবা সম্প্রসারণের জন্য কী কী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকিরণ চিকিৎসায় কোন যন্ত্র ব্যবহৃত হবে, তা নিয়ে নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে মতভেদ আছে। বিকিরণ চিকিৎসার অত্যাধুনিক যন্ত্র লিনিয়ার এক্সিলারেটর। এটা বাজারে আসার আগে ছিল কোবাল্ট-৬০ মেশিন। দুটি যন্ত্রের দামের ফারাক আছে। লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিনের দাম ২০ কোটি টাকার মতো। যন্ত্রটি ভালো, তবে বেশি ব্যবহারে দ্রুত অচল হয়ে যায়। অন্যদিকে কোবাল্ট-৬০ মেশিনের দাম ছয় থেকে নয় কোটি টাকা ও বাংলাদেশে ভালো কাজ করছে। জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটে দিনে লিনিয়ার এক্সিলারেটর যন্ত্রে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া যায় ৫০-৫৫ জনকে, কোবাল্ট মেশিনে দেওয়া হচ্ছে এক শ থেকে দেড় শ জনকে। এ ছাড়া লিনিয়ার এক্সিলারেটর যন্ত্র চালানোর জন্য চিকিৎসা পদার্থবিদ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনবল নেই।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যানসার এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, মানুষের মধ্যে ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। কিন্তু সেবাটা অপ্রতুল। প্রথমে কোবাল্ট মেশিন দিয়েই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়ার একটা লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া যায়। ধীরে ধীরে লিনিয়ার এক্সিলারেটর যন্ত্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে উপচে পড়া রোগীর ভিড়। তবে এ প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও নাজুক—সবাইকে ঠিক সময়ে প্রয়োজনমতো রেডিয়েশন থেরাপি দিতে পারছে না। গত বুধবার ক্যানসারের চিকিৎসায় দেশের শীর্ষ এই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা যায়, রেডিয়েশন থেরাপির ছয়টি যন্ত্রের তিনটিই নষ্ট। আশা নিয়ে অনেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। অপেক্ষায় আছেন, কখন বিকিরণ দেওয়ার সুযোগ পান।
বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এর সঙ্গে প্রতিবছর নতুন করে যুক্ত হচ্ছে আড়াই লাখ রোগী। আর বছরে মারা যাচ্ছে দেড় লাখ মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও রোগের প্রকোপের বিবেচনায় দেশে কমপক্ষে ১৬০টি ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র বা হাসপাতাল থাকা দরকার।
তবে দেশে ক্যানসার চিকিৎসার সুযোগ খুবই সীমিত। সরকারি পর্যায়ে ১৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি (ওষুধে চিকিৎসা) দেওয়া হয়। তবে জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অধ্যাপক বলেছেন, সঠিক কেমোথেরাপি দিতে পারেন মেডিকেল অনকোলজিস্ট। কিন্তু সব প্রতিষ্ঠানে মেডিকেল অনকোলজিস্ট নেই। অন্যরা এই চিকিৎসা দিচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও রোগের প্রকোপের বিবেচনায় দেশে কমপক্ষে ১৬০টি ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র বা হাসপাতাল থাকা দরকার। তবে দেশে ক্যানসার চিকিৎসার সুযোগ খুবই সীমিত বিএসএমএমইউয়ের অনকোলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, সচেতনতার অভাবে রোগের একেবারে শেষ পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে আসে মানুষ। ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগীর রেডিয়েশন থেরাপি দরকার।
তবে সরকারি পর্যায়ে জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই শুধু বিকিরণ চিকিৎসা চালু আছে। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর মেডিকেল কলেজ, সিলেট এম এ জি ওসমানী ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকিরণ চিকিৎসার যন্ত্র নষ্ট।
এর বাইরে ১০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও কেন্দ্রে ক্যানসার চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু এসব হাসপাতালে ব্যয় বেশি। সরকারি হাসপাতালে স্তন ক্যানসারে ১৬টি রেডিয়েশন থেরাপি দিতে খরচ পড়ে ১৪ হাজার ২০০ টাকা, বেসরকারি হাসপাতালে খরচ পড়ে দেড় লাখ থেকে তিন লাখ টাকা। অন্যান্য ক্যানসারের চিকিৎসায়ও খরচের পার্থক্য ব্যাপক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অনকোলজি বিভাগের প্রধান গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ক্যানসার রোগের যে ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, আমরা তার প্রমাণ দিতে পারছি না। আজ যে রোগীর চিকিৎসা প্রয়োজন, তাঁকে আমরা তারিখ দিচ্ছি ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে অথবা মার্চের শুরুতে।’
গত বুধবার জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, বিকিরণ চিকিৎসা দেওয়ার কক্ষের বাইরে কম্বল পেতে শুয়ে ছিলেন রুমানা বেগম। তাঁর মেরুদণ্ডে ক্যানসার। ঢাকায় এসেছেন বগুড়ার ওপর দিয়ে। বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক আছেন, কিন্তু বিকিরণ যন্ত্র অচল। ময়মনসিংহের বরুণ কৃষ্ণ অধিকারীকে নিতে হবে ৩৩টি থেরাপি।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক মো. মোয়াররফ হোসেন বলেন, রাতারাতি ১৬০টি কেন্দ্র তৈরি করা যাবে না। কমপক্ষে ২০টি কেন্দ্রেও যদি সেবা দেওয়া যেত, তাহলে রোগীদের কষ্ট কমত। অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মো. নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সেবা সম্প্রসারণের জন্য কী কী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকিরণ চিকিৎসায় কোন যন্ত্র ব্যবহৃত হবে, তা নিয়ে নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে মতভেদ আছে। বিকিরণ চিকিৎসার অত্যাধুনিক যন্ত্র লিনিয়ার এক্সিলারেটর। এটা বাজারে আসার আগে ছিল কোবাল্ট-৬০ মেশিন। দুটি যন্ত্রের দামের ফারাক আছে। লিনিয়ার এক্সিলারেটর মেশিনের দাম ২০ কোটি টাকার মতো। যন্ত্রটি ভালো, তবে বেশি ব্যবহারে দ্রুত অচল হয়ে যায়। অন্যদিকে কোবাল্ট-৬০ মেশিনের দাম ছয় থেকে নয় কোটি টাকা ও বাংলাদেশে ভালো কাজ করছে। জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউটে দিনে লিনিয়ার এক্সিলারেটর যন্ত্রে রেডিয়েশন থেরাপি দেওয়া যায় ৫০-৫৫ জনকে, কোবাল্ট মেশিনে দেওয়া হচ্ছে এক শ থেকে দেড় শ জনকে। এ ছাড়া লিনিয়ার এক্সিলারেটর যন্ত্র চালানোর জন্য চিকিৎসা পদার্থবিদ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনবল নেই।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যানসার এপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, মানুষের মধ্যে ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। কিন্তু সেবাটা অপ্রতুল। প্রথমে কোবাল্ট মেশিন দিয়েই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়ার একটা লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া যায়। ধীরে ধীরে লিনিয়ার এক্সিলারেটর যন্ত্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
No comments