এরদোগান, সিসি এবং পশ্চিমা কপটতা by সুমাইয়া ঘানুশি
তুরস্কে
পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার সাথে সাথে পশ্চিমা রাজধানীগুলোতে যেন
শেষকৃত্যের শোকাবহ পরিবেশ নেমে এলো। ইউরোপ-আমেরিকার গণমাধ্যমে এই ফলকে
চিত্রিত করা হয়েছে ‘বড় ধরনের ধাক্কা’ বা ‘তুরস্কের জন্য একটি কালো দিন’
হিসেবে। প্রতিবেদন, সম্পাদকীয় বা উপসম্পাদকীয়গুলোতে দেশটির বিবর্ণ এক চিত্র
উঠে এসেছে। যেখানে তুরস্কে ‘স্বৈরতন্ত্র ফেরা’ এবং ‘গণতন্ত্র টেকার’
আশঙ্কা প্রবল।
তবে এই ধরনের ম্লান বিশ্লেষণগুলোতে একটি সত্য অনুপস্থিত। তা হলো গত জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। সে দফায় পার্লামেন্টে তার দলের প্রতিনিধিত্ব কমে গিয়েছিল। যে কারণে ঐক্যের সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রস্তাব বিরোধী দলগুলো কঠোরভাবে নাকচ করে দেয়। তুরস্কের সংবিধান অনুসারে আগাম নির্বাচনের ডাক দেন এরদোগান।
তবে এরদোগানকে নব্য ‘ওসমানীয় সুলতান’ অভিহিত করা পশ্চিমা গণমাধ্যম তার চার পাশের জর্ডান, উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের দেশগুলো এবং ইরাক বা সিরিয়ার মতো দেশগুলোর প্রসঙ্গ তোলেনি। যেখানে স্বৈরাচার-দুরাচার এখনো মাথা উঁচু করে টিকে আছে।
তবে একটু দূরের প্রতিবেশীকে বিবেচনা করতে গেলেই আমরা দেখতে পাবো এক সামরিক জেনারেলের শাসন। মাত্র দুই বছর আগে এক রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। দেশের একমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অপহরণ করে কারাগারে পাঠিয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভকারীদের ট্যাংকে পিষে মেরে তার ক্ষমতায় আরোহণ। সমসাময়িক ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ঘটনা এটি।
তবে এই শাসক পশ্চিমাদের অতি পছন্দনীয়। পশ্চিমা দেশগুলোর রাজধানীতে তার সম্মানে লাল কার্পেট বিছিয়ে দেয়া হয়। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে আজ (লেখাটি ৫ নভেম্বর প্রকাশিত) তাকে সম্মান জানাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
এই অঞ্চলের মানুষের কাছে পশ্চিমারা যে বার্তা পাঠিয়েছেন তা বেশ স্পষ্ট এবং জোরালো হয়। এমন একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কর যা আমাদের প্রয়োজন ও পছন্দের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ অথবা স্বৈরাচারীই থাকুক। সে ক্ষেত্রে তাদের ভাড়া করা ‘বিশেষজ্ঞ’, ‘মন্তব্যকারী’ ও ‘বিশ্লেষকেরা’ হাজির হয়ে যাবে। বোঝানো হবে, এটাই সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবস্থা। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সংস্কারেরও বহু চিত্র আঁকা হবে। আর তাতে যদি না কুলায় তা হলে ‘কিসিঞ্জার-অলব্রাইট’-এর দ্বারস্থ হলেই চলবে।
এবার তুরস্কের নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ ভোটার অংশ নিয়েছেন। মিসরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটার অনুপস্থিতির হারও একই। ফিল্ড মার্শাল এবং তার ওয়াশিংটন ও লন্ডনের সমর্থনকারীদের প্রত্যাখ্যান করার এই একটি মাত্র পথই খোলা ছিল তাদের সামনে। তবে তাতে দেশটিতে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি।
এরদোগান যতই বৈধ হন না কেন, লাল কার্পেট গড়িয়ে দেয়া হবে (মিসরের প্রেসিডেন্ট) সিসির জন্যই। তবে কারো কারো জন্য মিসরই গণতন্ত্রের পথে রয়েছে। দেশটিতে পাঁচটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে বা কয়েক দশক ধরে সামরিক শাসন চলছে- তাতে কী এসে যায়?
পশ্চিমা গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে তুরস্কের নির্বাচনে যারা একে পার্টিকে (এরদোগনের দল) ভোট দিয়েছে তারা অসহিষ্ণু ও বিচার বিবেচনাহীন জনতা। এরদোগানের ‘নিরপেক্ষ বাণিজ্য’ বা ‘জাতীয়তাবাদী প্রচারে’ তারা বিভ্রান্ত হয়েছেন। যদিও বারবারই বলা হচ্ছে, তুরস্কে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বা নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা অনেক আগেই দূর করে দিয়েছেন এরদোগান।
ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন বা লিবিয়ার কারণে সীমান্তগুলো অশান্ত হয়ে উঠলেও তুর্কিদের অর্থনৈতিক বা নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। এর মধ্যেও তারা ২০ লাখ সিরীয় উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছে। যাদের এক-চতুর্থাংশকেও ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করতে পারেনি।
তুরস্কের নির্বাচনে লাখ লাখ লোক অংশ নিয়েছে। ভোট তাকেই দিয়েছে যে তাদের দৃষ্টিতে তাদের স্বার্থ ও আশঙ্কার ব্যাপারে সবচেয়ে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবে। (সারা বিশ্বের গণতন্ত্রেই ভোটাররা এই কাজটিই করেন)।
মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে পশ্চিমা সাংবাদিক ও বিশ্লেষকেরা যে প্রতিবেদন তৈরি করেন সেগুলো কখনোই তাদের বেঁধে দেয়া সীমাকে অতিক্রম করে বাস্তবতাকে ছোঁয় না। সাধারণ নারী-পুরুষের উদ্দেশ্য, তাদের তৎপরতাকেও সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা বুঝতে পারেন না। ঔপনিবেশিক সময়ে মিশনারি, ভ্রমণকারী বা ঔপনিবেশ ধরে রাখার জন্য যারা এসেছেন তাদের ওই সময়ের দৃষ্টিভঙ্গিই আজো ধরে রেখেছেন বিশেষজ্ঞ, মন্তব্যকারী বা সাংবাদিকেরা। অতীতে সাঙ্কেতিক ভাষায় যে বার্তা পাঠানো হতো আজ সেটাই খবরের কাঠামোতে প্রকাশ করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের খুব কম মানুষই এখন পশ্চিমাদের এই বাচালতাকে গুরুত্ব দেয়। এর আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইরাকে দখলদারিত্ব কায়েম করে দেশটিকে ধ্বংস করে দেয় তারা। এখন জাতিগোষ্ঠীগত হানাহানিতে দেশটি বিপর্যস্ত। বাগদাদে মুক্তির মিষ্টি সুবাস নেই। বরং মৃত্যুর শোক আর গৃহযুদ্ধ ও সন্ত্রাসের ধোঁয়া উড়ছে। এখন আর ওবামা (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট) বিপ্লবের গান ধরেন না। বা তাহরির স্কয়ারের (মিসরের) বিদ্রোহী হওয়ার সাধও তার নেই।
বিপ্লবীরা আজ জেলের অন্ধকারে পচে মরছে। আর তাদের বন্দিকারীরা পশ্চিমা শহরগুলোতে ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যেও সত্যিকারের স্বৈরাচারের দিকে আঙ্গুল তোলা বা তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টার পরিবর্তে এই অঞ্চলের একমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করা হচ্ছে। পশ্চিমা রাজনীতিক, মন্তব্যকারীদের বাহিনী আর বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে ছোট্ট একটি উপদেশ; বিশ্বাস করুন, এই অঞ্চলের গণতন্ত্রের প্রশ্নে নীরবতাই সর্বোৎকৃষ্ট।
তবে এই ধরনের ম্লান বিশ্লেষণগুলোতে একটি সত্য অনুপস্থিত। তা হলো গত জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। সে দফায় পার্লামেন্টে তার দলের প্রতিনিধিত্ব কমে গিয়েছিল। যে কারণে ঐক্যের সরকার গঠনের প্রয়োজন হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রস্তাব বিরোধী দলগুলো কঠোরভাবে নাকচ করে দেয়। তুরস্কের সংবিধান অনুসারে আগাম নির্বাচনের ডাক দেন এরদোগান।
তবে এরদোগানকে নব্য ‘ওসমানীয় সুলতান’ অভিহিত করা পশ্চিমা গণমাধ্যম তার চার পাশের জর্ডান, উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের দেশগুলো এবং ইরাক বা সিরিয়ার মতো দেশগুলোর প্রসঙ্গ তোলেনি। যেখানে স্বৈরাচার-দুরাচার এখনো মাথা উঁচু করে টিকে আছে।
তবে একটু দূরের প্রতিবেশীকে বিবেচনা করতে গেলেই আমরা দেখতে পাবো এক সামরিক জেনারেলের শাসন। মাত্র দুই বছর আগে এক রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। দেশের একমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অপহরণ করে কারাগারে পাঠিয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভকারীদের ট্যাংকে পিষে মেরে তার ক্ষমতায় আরোহণ। সমসাময়িক ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ঘটনা এটি।
তবে এই শাসক পশ্চিমাদের অতি পছন্দনীয়। পশ্চিমা দেশগুলোর রাজধানীতে তার সম্মানে লাল কার্পেট বিছিয়ে দেয়া হয়। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে আজ (লেখাটি ৫ নভেম্বর প্রকাশিত) তাকে সম্মান জানাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
এই অঞ্চলের মানুষের কাছে পশ্চিমারা যে বার্তা পাঠিয়েছেন তা বেশ স্পষ্ট এবং জোরালো হয়। এমন একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা কর যা আমাদের প্রয়োজন ও পছন্দের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ অথবা স্বৈরাচারীই থাকুক। সে ক্ষেত্রে তাদের ভাড়া করা ‘বিশেষজ্ঞ’, ‘মন্তব্যকারী’ ও ‘বিশ্লেষকেরা’ হাজির হয়ে যাবে। বোঝানো হবে, এটাই সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবস্থা। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সংস্কারেরও বহু চিত্র আঁকা হবে। আর তাতে যদি না কুলায় তা হলে ‘কিসিঞ্জার-অলব্রাইট’-এর দ্বারস্থ হলেই চলবে।
এবার তুরস্কের নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ ভোটার অংশ নিয়েছেন। মিসরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটার অনুপস্থিতির হারও একই। ফিল্ড মার্শাল এবং তার ওয়াশিংটন ও লন্ডনের সমর্থনকারীদের প্রত্যাখ্যান করার এই একটি মাত্র পথই খোলা ছিল তাদের সামনে। তবে তাতে দেশটিতে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠায় কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি।
এরদোগান যতই বৈধ হন না কেন, লাল কার্পেট গড়িয়ে দেয়া হবে (মিসরের প্রেসিডেন্ট) সিসির জন্যই। তবে কারো কারো জন্য মিসরই গণতন্ত্রের পথে রয়েছে। দেশটিতে পাঁচটি সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে বা কয়েক দশক ধরে সামরিক শাসন চলছে- তাতে কী এসে যায়?
পশ্চিমা গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে তুরস্কের নির্বাচনে যারা একে পার্টিকে (এরদোগনের দল) ভোট দিয়েছে তারা অসহিষ্ণু ও বিচার বিবেচনাহীন জনতা। এরদোগানের ‘নিরপেক্ষ বাণিজ্য’ বা ‘জাতীয়তাবাদী প্রচারে’ তারা বিভ্রান্ত হয়েছেন। যদিও বারবারই বলা হচ্ছে, তুরস্কে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বা নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা অনেক আগেই দূর করে দিয়েছেন এরদোগান।
ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন বা লিবিয়ার কারণে সীমান্তগুলো অশান্ত হয়ে উঠলেও তুর্কিদের অর্থনৈতিক বা নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। এর মধ্যেও তারা ২০ লাখ সিরীয় উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছে। যাদের এক-চতুর্থাংশকেও ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করতে পারেনি।
তুরস্কের নির্বাচনে লাখ লাখ লোক অংশ নিয়েছে। ভোট তাকেই দিয়েছে যে তাদের দৃষ্টিতে তাদের স্বার্থ ও আশঙ্কার ব্যাপারে সবচেয়ে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবে। (সারা বিশ্বের গণতন্ত্রেই ভোটাররা এই কাজটিই করেন)।
মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে পশ্চিমা সাংবাদিক ও বিশ্লেষকেরা যে প্রতিবেদন তৈরি করেন সেগুলো কখনোই তাদের বেঁধে দেয়া সীমাকে অতিক্রম করে বাস্তবতাকে ছোঁয় না। সাধারণ নারী-পুরুষের উদ্দেশ্য, তাদের তৎপরতাকেও সাংস্কৃতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা বুঝতে পারেন না। ঔপনিবেশিক সময়ে মিশনারি, ভ্রমণকারী বা ঔপনিবেশ ধরে রাখার জন্য যারা এসেছেন তাদের ওই সময়ের দৃষ্টিভঙ্গিই আজো ধরে রেখেছেন বিশেষজ্ঞ, মন্তব্যকারী বা সাংবাদিকেরা। অতীতে সাঙ্কেতিক ভাষায় যে বার্তা পাঠানো হতো আজ সেটাই খবরের কাঠামোতে প্রকাশ করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যের খুব কম মানুষই এখন পশ্চিমাদের এই বাচালতাকে গুরুত্ব দেয়। এর আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইরাকে দখলদারিত্ব কায়েম করে দেশটিকে ধ্বংস করে দেয় তারা। এখন জাতিগোষ্ঠীগত হানাহানিতে দেশটি বিপর্যস্ত। বাগদাদে মুক্তির মিষ্টি সুবাস নেই। বরং মৃত্যুর শোক আর গৃহযুদ্ধ ও সন্ত্রাসের ধোঁয়া উড়ছে। এখন আর ওবামা (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট) বিপ্লবের গান ধরেন না। বা তাহরির স্কয়ারের (মিসরের) বিদ্রোহী হওয়ার সাধও তার নেই।
বিপ্লবীরা আজ জেলের অন্ধকারে পচে মরছে। আর তাদের বন্দিকারীরা পশ্চিমা শহরগুলোতে ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যেও সত্যিকারের স্বৈরাচারের দিকে আঙ্গুল তোলা বা তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টার পরিবর্তে এই অঞ্চলের একমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করা হচ্ছে। পশ্চিমা রাজনীতিক, মন্তব্যকারীদের বাহিনী আর বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে ছোট্ট একটি উপদেশ; বিশ্বাস করুন, এই অঞ্চলের গণতন্ত্রের প্রশ্নে নীরবতাই সর্বোৎকৃষ্ট।
সুমাইয়া
ঘানুশি ব্রিটিশ-তিউনেসীয় লেখক এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।
ব্যক্তিগত জীবনে তিউনেসিয়ার আন নাহদা প্রধান ড. রশিদ ঘানুশির কন্যা তিনি।
গত ৫ নভেম্বর হাফিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এই লেখাটির অনুবাদ করেছেন তানজিলা
কাওকাব।
No comments