মিয়ানমারে ঐতিহাসিক নির্বাচন: জয়ের পথে সু চির এনএলডি
মিয়ানমারের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে গণতন্ত্রপন্থী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। বহুপ্রত্যাশিত নির্বাচন ঘিরে পাহাড়সমান প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। তবে নির্বাচনে বিজয়ের পরও মানুষের মন থেকে সংশয় দূর হয়নি। শেষ পর্যন্ত এ গণরায় দেশটির মহাশক্তিধর সেনাবাহিনী মেনে নেবে কি না, তা নিয়েই সংশয়। আবার নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও ওয়াশিংটন পোস্টের।
গতকাল যখন এনএলডির বিজয় বার্তা এসে পৌঁছাচ্ছিল, তখন রাস্তার এক ফেরিওয়ালা মা খাইন বার্তা সংস্থা এপিকে বলছিলেন, ‘আমাদের মা সু চি নির্বাচনে জিতুন তাই চাই। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর আছে। আমি তাঁকে খুব শ্রদ্ধা করি। তাঁকে ভালোবাসি। দেশকে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবেন তিনি।’
ইয়াংগুনের বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সী খিন মং থে সু চির ভাষণ শুনছিলেন টেলিভিশনে। খিন মং বলছিলেন, ‘আমি নির্বাচনের ফলাফলে খুব খুশি। শুধু আমি না, পুরো দেশই আজ খুশি। আমাদের দেশের জন্য সু চি সত্যিকারের যোগ্য নেত্রী।’
নির্বাচনে বিজয়ের উৎসব উদ্যাপনে রাজধানী ইয়াংগুনে এনএলডির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিলেন হাজারের বেশি সমর্থক। এঁদের অনেকেরই গায়ে দলীয় লাল রংয়ের টি-শার্ট। সেগুলোর পেছনে লেখা ‘আমাদের জিততেই হবে’।
তবে বিজয়ই তো সব শেষ না। ফলাফল যা-ই হোক একটি পূর্ণ গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের স্বপ্ন এখনো অনেক দূরে। প্রায় আধা শতকের সেনাশাসনের পর ২০১১ সালে সামরিক সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও আধাসামরিক সরকার মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকে। মিয়ানমারের সংবিধান পার্লামেন্টে ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রেখেছে। আবার সু চিকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে দূরে রাখতে ব্যবস্থাও করে রেখেছে। সংবিধান অনুযায়ী, মিয়ানমারের যে নাগরিকের স্বামী/স্ত্রী বা সন্তান বিদেশি নাগরিক, তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির প্রয়াত স্বামী এবং দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক।
যদিও নির্বাচনের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে সু চি সরাসরি বলেন, এনএলডি যদি নির্বাচনে জেতে, তবে ক্ষমতার মূল সুতা তাঁর হাতেই থাকবে। তিনি প্রেসিডেন্টের ওপরে থাকবেন।
নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্ত হওয়ার পর পার্লামেন্টের সদস্য এবং সামরিক বাহিনীর নিয়োগ করা পার্লামেন্ট সদস্যরা তিনটি নাম প্রস্তাব করবেন। এঁদের মধ্যে একজন প্রেসিডেন্ট এবং দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচনের পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মিয়ানমারের রাজনৈতিক অবস্থা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ থাকবে বলেই ধারণা করা যায়। বিশ্লেষক রিচার্ড হোরসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘অং সান সু চি দেশ চালাবেন, এটি সেনাবাহিনীর পক্ষে মেনে নেওয়া শক্ত। তাঁকে ক্ষমতার বাইরে রাখতেই তারা সংবিধানে বিশেষ সংশোধনী এনেছে।’
সু চি একাধিকবার বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের খাতিরে তিনি সেনাবাহিনী এবং জাতিগোষ্ঠীভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে তাঁর সেই ইচ্ছের বাস্তবায়ন কতটা সুচারুভাবে সম্পন্ন হতে পারবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
গতকাল যখন এনএলডির বিজয় বার্তা এসে পৌঁছাচ্ছিল, তখন রাস্তার এক ফেরিওয়ালা মা খাইন বার্তা সংস্থা এপিকে বলছিলেন, ‘আমাদের মা সু চি নির্বাচনে জিতুন তাই চাই। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর আছে। আমি তাঁকে খুব শ্রদ্ধা করি। তাঁকে ভালোবাসি। দেশকে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবেন তিনি।’
ইয়াংগুনের বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সী খিন মং থে সু চির ভাষণ শুনছিলেন টেলিভিশনে। খিন মং বলছিলেন, ‘আমি নির্বাচনের ফলাফলে খুব খুশি। শুধু আমি না, পুরো দেশই আজ খুশি। আমাদের দেশের জন্য সু চি সত্যিকারের যোগ্য নেত্রী।’
নির্বাচনে বিজয়ের উৎসব উদ্যাপনে রাজধানী ইয়াংগুনে এনএলডির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিলেন হাজারের বেশি সমর্থক। এঁদের অনেকেরই গায়ে দলীয় লাল রংয়ের টি-শার্ট। সেগুলোর পেছনে লেখা ‘আমাদের জিততেই হবে’।
তবে বিজয়ই তো সব শেষ না। ফলাফল যা-ই হোক একটি পূর্ণ গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের স্বপ্ন এখনো অনেক দূরে। প্রায় আধা শতকের সেনাশাসনের পর ২০১১ সালে সামরিক সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় নিলেও আধাসামরিক সরকার মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকে। মিয়ানমারের সংবিধান পার্লামেন্টে ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রেখেছে। আবার সু চিকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে দূরে রাখতে ব্যবস্থাও করে রেখেছে। সংবিধান অনুযায়ী, মিয়ানমারের যে নাগরিকের স্বামী/স্ত্রী বা সন্তান বিদেশি নাগরিক, তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির প্রয়াত স্বামী এবং দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক।
যদিও নির্বাচনের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে সু চি সরাসরি বলেন, এনএলডি যদি নির্বাচনে জেতে, তবে ক্ষমতার মূল সুতা তাঁর হাতেই থাকবে। তিনি প্রেসিডেন্টের ওপরে থাকবেন।
নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্ত হওয়ার পর পার্লামেন্টের সদস্য এবং সামরিক বাহিনীর নিয়োগ করা পার্লামেন্ট সদস্যরা তিনটি নাম প্রস্তাব করবেন। এঁদের মধ্যে একজন প্রেসিডেন্ট এবং দুজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচনের পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মিয়ানমারের রাজনৈতিক অবস্থা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ থাকবে বলেই ধারণা করা যায়। বিশ্লেষক রিচার্ড হোরসে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘অং সান সু চি দেশ চালাবেন, এটি সেনাবাহিনীর পক্ষে মেনে নেওয়া শক্ত। তাঁকে ক্ষমতার বাইরে রাখতেই তারা সংবিধানে বিশেষ সংশোধনী এনেছে।’
সু চি একাধিকবার বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের খাতিরে তিনি সেনাবাহিনী এবং জাতিগোষ্ঠীভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করতে প্রস্তুত। তবে তাঁর সেই ইচ্ছের বাস্তবায়ন কতটা সুচারুভাবে সম্পন্ন হতে পারবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
No comments