শিয়া মসজিদে হত্যা-সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিন
বগুড়ার শিয়া মসজিদে গুলি করে মুয়াজ্জিন হত্যা বাংলাদেশে ধারাবাহিক
সন্ত্রাস-নাশকতারই অংশ। দুই বিদেশি নাগরিক এবং হোসেনি দালানে তাজিয়া
মিছিলের প্রস্তুতিকালে গ্রেনেড হামলা করে দুজন এবং ব্লগার-প্রকাশক হত্যার
ঘটনাগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র থাকাও অসম্ভব নয়। কয়েকটি হামলার ক্ষেত্রে ধরনগত
মিলও পাওয়া যায়। এসব ঘটনার প্রায় প্রতিটিতেই আইএসসহ বিভিন্ন নাম ব্যবহার
করে দায় স্বীকার করা হয়েছে। এই প্রচারণা যারাই করুক, তাদের উদ্দেশ্য যে
জঙ্গিবাদ উসকে দিয়ে দেশকে বিভক্তি ও হানাহানির দিকে ঠেলে দেওয়া, তাতে
সন্দেহ নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে একই গোষ্ঠী এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তাঁর দাবির ভিত্তি থাকতে পারে, কিন্তু কোনো একটি ঘটনাতেও নির্ভরযোগ্য তদন্ত ও তথ্য–প্রমাণ হাজির করার ব্যর্থতা মানা যায় না। এর আগে পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান, মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী, ইমাম মাহদীর প্রধান সেনাপতি দাবিদার লুৎফর রহমানসহ ছয়জন খুন এবং চট্টগ্রামে ল্যাংটা ফকির রহমতউল্লাসহ দুজনকে হত্যার ধরনেও অনেক মিল রয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু কোনো হত্যারই কূলকিনারা হয়নি। ব্লগার-প্রকাশকদের হত্যায় জড়িতদের এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিষয়েও সরকারি ব্যর্থতা হতাশাজনক। এসব ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে হেলাফেলা করার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
মুয়াজ্জিন নিহত ইমামসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ
আইএস বা যেই জঙ্গি গোষ্ঠীই দায় স্বীকার করুক না কেন, প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। জানা দরকার এর পেছনে কোন মহল ও উদ্দেশ্য কাজ করছে। কেনই বা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে। হোসেনি দালানে বোমা হামলার পর বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা চাই। একই সঙ্গে সরকারের উচিত জঙ্গিগোষ্ঠীকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলার ক্ষেত্র তৈরি করা। বিরোধী দলগুলোকেও এর অংশ করে নিতে হবে। রাজনৈতিক ও দলীয় স্বার্থের চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও জীবনের অধিকার বড়।
বাংলাদেশের সব ধর্ম, মত ও পথের মানুষের উচিত হিংসা, অসহিষ্ণুতা ও হত্যার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া। ‘আমি আক্রান্ত নই’ ভাবা অথবা সন্ত্রাস-বর্বরতাকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করা কিংবা এর ‘ফায়দা’ উশুলের চিন্তা হবে আত্মঘাতী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে একই গোষ্ঠী এসব ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তাঁর দাবির ভিত্তি থাকতে পারে, কিন্তু কোনো একটি ঘটনাতেও নির্ভরযোগ্য তদন্ত ও তথ্য–প্রমাণ হাজির করার ব্যর্থতা মানা যায় না। এর আগে পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান, মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী, ইমাম মাহদীর প্রধান সেনাপতি দাবিদার লুৎফর রহমানসহ ছয়জন খুন এবং চট্টগ্রামে ল্যাংটা ফকির রহমতউল্লাসহ দুজনকে হত্যার ধরনেও অনেক মিল রয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু কোনো হত্যারই কূলকিনারা হয়নি। ব্লগার-প্রকাশকদের হত্যায় জড়িতদের এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিষয়েও সরকারি ব্যর্থতা হতাশাজনক। এসব ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে হেলাফেলা করার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
মুয়াজ্জিন নিহত ইমামসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ
আইএস বা যেই জঙ্গি গোষ্ঠীই দায় স্বীকার করুক না কেন, প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। জানা দরকার এর পেছনে কোন মহল ও উদ্দেশ্য কাজ করছে। কেনই বা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে। হোসেনি দালানে বোমা হামলার পর বগুড়ায় শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা চাই। একই সঙ্গে সরকারের উচিত জঙ্গিগোষ্ঠীকে সম্মিলিতভাবে মোকাবিলার ক্ষেত্র তৈরি করা। বিরোধী দলগুলোকেও এর অংশ করে নিতে হবে। রাজনৈতিক ও দলীয় স্বার্থের চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও জীবনের অধিকার বড়।
বাংলাদেশের সব ধর্ম, মত ও পথের মানুষের উচিত হিংসা, অসহিষ্ণুতা ও হত্যার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া। ‘আমি আক্রান্ত নই’ ভাবা অথবা সন্ত্রাস-বর্বরতাকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করা কিংবা এর ‘ফায়দা’ উশুলের চিন্তা হবে আত্মঘাতী।
No comments