ফটিকছড়ি স্টেডিয়াম-জনসভার প্রতিশ্রুতি বনাম বাস্তবতার প্রয়োজন
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে একটি স্টেডিয়াম হওয়ার কথা। কেননা, দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করার কথা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষগুলো ভুলে গেলেও এলাকাবাসী ভোলেননি। বিশেষ করে ফটিকছড়ির ক্রীড়া পিপাসু মহল ও খেলোয়াড়েরা আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে কী ধরনের পর্যালোচনা করা হয়? এবং প্রধানমন্ত্রী তথা সরকারপ্রধানের প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসগুলোকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা হিসেবে দেখে কি না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়?
২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট ফটিকছড়ি উপজেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে রাজনৈতিক জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে সামনের মাঠটিতে তিনি স্টেডিয়াম বানানোর প্রতিশ্রুতি দেন। সাধারণত এরপর স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় দপ্তরের সঙ্গে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন রূপায়ণের প্রক্রিয়া, অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে। এ ক্ষেত্রে তার কিছুই করা হয়নি। সড়ক বিভাগের ওই মাঠটি এখনো আছে, তবে তা ব্যবহৃত হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী রাখার কাজে। তাহলে কি প্রতিশ্রুতিটি কেবলই কথার কথা ছিল?
দ্বিতীয়ত, ফটিকছড়ির জনগণ আসলেই সেখানে স্টেডিয়াম চায় নাকি হাসপাতাল চায়? কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চায় নাকি কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী প্রকল্প চায়? সেটা কি জানার চেষ্টা করা হয়েছিল? অনেক সময় জনপ্রিয়তার আশায় অনেক রকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বটে, কিন্তু পরে তা ভুলে যাওয়া হয়। এ ধরনের প্রতিশ্রুতি জনতুষ্টিবাদী রাজনীতির হাতিয়ার, যার উদ্দেশ্য জনগণকে তাৎক্ষণিকভাবে খুশি করা। এর বদলে উন্নয়নের লক্ষ্য হওয়া উচিত তাদের সত্যিকার কোনো প্রয়োজন মেটানো কিংবা তাদের জীবন ও বাস্তবতাকে আরও উন্নত করবে, এমন টেকসই দূরদর্শী প্রকল্প গ্রহণ।
আমরা আশা করব, প্রথমত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। দ্বিতীয়ত, জনসভায় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো যাতে বাস্তবতার নিরিখে গভীর চিন্তাপ্রসূত হয়। তাতে সরকারেরও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, জনগণেরও উপকার হবে।
২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট ফটিকছড়ি উপজেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে রাজনৈতিক জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই জনসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে সামনের মাঠটিতে তিনি স্টেডিয়াম বানানোর প্রতিশ্রুতি দেন। সাধারণত এরপর স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় দপ্তরের সঙ্গে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন রূপায়ণের প্রক্রিয়া, অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে। এ ক্ষেত্রে তার কিছুই করা হয়নি। সড়ক বিভাগের ওই মাঠটি এখনো আছে, তবে তা ব্যবহৃত হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী রাখার কাজে। তাহলে কি প্রতিশ্রুতিটি কেবলই কথার কথা ছিল?
দ্বিতীয়ত, ফটিকছড়ির জনগণ আসলেই সেখানে স্টেডিয়াম চায় নাকি হাসপাতাল চায়? কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় চায় নাকি কোনো কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী প্রকল্প চায়? সেটা কি জানার চেষ্টা করা হয়েছিল? অনেক সময় জনপ্রিয়তার আশায় অনেক রকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বটে, কিন্তু পরে তা ভুলে যাওয়া হয়। এ ধরনের প্রতিশ্রুতি জনতুষ্টিবাদী রাজনীতির হাতিয়ার, যার উদ্দেশ্য জনগণকে তাৎক্ষণিকভাবে খুশি করা। এর বদলে উন্নয়নের লক্ষ্য হওয়া উচিত তাদের সত্যিকার কোনো প্রয়োজন মেটানো কিংবা তাদের জীবন ও বাস্তবতাকে আরও উন্নত করবে, এমন টেকসই দূরদর্শী প্রকল্প গ্রহণ।
আমরা আশা করব, প্রথমত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। দ্বিতীয়ত, জনসভায় দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো যাতে বাস্তবতার নিরিখে গভীর চিন্তাপ্রসূত হয়। তাতে সরকারেরও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, জনগণেরও উপকার হবে।
No comments