পাল্টে যাচ্ছে নানা সমীকরণ by- সরাফ আহমেদ
ঐক্য, সহযোগিতা আর শান্তির প্রয়াসে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখার জন্য ২০১২
সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তিতে যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল, তা নিয়ে নানা
ভিন্নমত ছিল। তবে এ মুহূর্তে শান্তির প্রয়াস দূরে থাক, পুরো ইউরোপ মহাদেশ
কেমন যেন নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে। প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা সেই নেতৃত্ব
সংকটকে আরও প্রকট করেছে। সন্ত্রাসের বদলা নিতে আরও পেশিশক্তি, আরও সন্ত্রাস
ও আরও আস্ফালনকেই রক্ষাকবচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই
ফ্রান্সের জঙ্গি বিমানগুলো সিিরয়ার রাকাতে উপর্যুপরি বোমা হামলায় মত্ত
হয়েছে আর ফ্রান্সের বিমানবাহী রণতরি চ্যালস দ্য গল পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দিকে
রওনা করেছে।
প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার রেশ এখন ইউরোপজুড়ে, চারদিকে একটা থমথমে ভাব। নানা দেশের সরকারপ্রধানেরা জরুরি সভা করেছেন এবং আপাতকরণীয় বিষয় নিয়ে ভাবছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ নিজ দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণাসহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধাবস্থা আর পোপ ফ্রান্সিস বলছেন, এই হামলা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আলামত। কিন্তু কী পন্থায় এই সন্ত্রাসী হামলা রোধ করা যায়, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন ইউরোপীয় রাজনীতিকেরা। এই বৈশ্বিক সংকটের উদ্ভব ও উত্তরণের আসল কথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষমতাশালী নেতাদের কারও মুখ থেকেই আসছে না বরং কিছু ক্ষমতালোভী ও জনপ্রিয়তানির্ভর রাজনীতিক এই হামলা এবং ইউরোপে আগত শরণার্থীদের নিয়ে ধান্দাবাজির রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছেন। পোল্যান্ডের সদ্য নির্বাচিত রক্ষণশীল সরকার ১৬ নভেম্বর শপথ নিয়েই শরণার্থীদের না গ্রহণ করার ঘোষণাসহ জার্মান সরকারের শরণার্থী নীতির সমালোচনা করেছে।
যে দেশটিকে ঘিরে আপাতসমস্যা, সেই সিরিয়ার সমস্যার মোকাবিলারও একটি রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে অনেক আগে থেকেই ১৪ নভেম্বর ভিয়েনাতে জাতিসংঘের উদ্যোগে দ্বিতীয় সিরিয়া সম্মেলনের কথা ছিল। কিন্তু তার আগের দিনই প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা সম্মেলনে আসা প্রতিনিধিদের এই সমস্যা আরও দ্রুত সমাধানের তাগাদা দিয়ে যায়। ১৭টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এবারের সম্মেলনে সিরিয়ায় শান্তি প্রচেষ্টার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। মূল লক্ষ্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সরকার ও পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীদের সমন্বয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং তারপর ১৮ মাসের মাথায় একটি নির্বাচনের আয়োজন। তবে এ উদ্যোগের পাশাপাশি আইএস বা ইসলামিক স্টেটের জঙ্গি ও আল নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযান চলতে থাকবে।
এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের সিরীয় সম্মেলনের নতুন দিক হলো এর আগে জেনেভা সম্মেলনে সিরিয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাশার সরকারকে বাইরে রেখে যে শান্তি প্রচেষ্টার কথা ভাবা হয়েছিল, তা থেকে সরে এসে তার সরকারকে নিয়েই সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। ধারণা করা হয়, সম্প্রতি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার সরকারের পক্ষে রাশিয়ার অংশগ্রহণ করার পর থেকেই জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা জোট তাদের বাশারবিরোধী কট্টর নীতি থেকে সরে এসেছে। ভাবার বিষয়, ২০১১ সালে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছিল, তখন থেকেই বাশার সরকারকে সরাতে সিরিয়ার বিরোধী দলগুলো ও পশ্চিমারা যদি রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ বিবাদে না জড়িয়ে পড়ত, তাহলে গত প্রায় পাঁচ বছরে সিরিয়ায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি, ৩০ লাখ মানুষকে শরণার্থীর জীবন বরণ করতে হতো না।
প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার রেশ এখন ইউরোপজুড়ে, চারদিকে একটা থমথমে ভাব। নানা দেশের সরকারপ্রধানেরা জরুরি সভা করেছেন এবং আপাতকরণীয় বিষয় নিয়ে ভাবছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ নিজ দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণাসহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধাবস্থা আর পোপ ফ্রান্সিস বলছেন, এই হামলা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আলামত। কিন্তু কী পন্থায় এই সন্ত্রাসী হামলা রোধ করা যায়, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন ইউরোপীয় রাজনীতিকেরা। এই বৈশ্বিক সংকটের উদ্ভব ও উত্তরণের আসল কথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষমতাশালী নেতাদের কারও মুখ থেকেই আসছে না বরং কিছু ক্ষমতালোভী ও জনপ্রিয়তানির্ভর রাজনীতিক এই হামলা এবং ইউরোপে আগত শরণার্থীদের নিয়ে ধান্দাবাজির রাজনীতিতে লিপ্ত হয়েছেন। পোল্যান্ডের সদ্য নির্বাচিত রক্ষণশীল সরকার ১৬ নভেম্বর শপথ নিয়েই শরণার্থীদের না গ্রহণ করার ঘোষণাসহ জার্মান সরকারের শরণার্থী নীতির সমালোচনা করেছে।
যে দেশটিকে ঘিরে আপাতসমস্যা, সেই সিরিয়ার সমস্যার মোকাবিলারও একটি রোডম্যাপ তৈরির লক্ষ্যে অনেক আগে থেকেই ১৪ নভেম্বর ভিয়েনাতে জাতিসংঘের উদ্যোগে দ্বিতীয় সিরিয়া সম্মেলনের কথা ছিল। কিন্তু তার আগের দিনই প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা সম্মেলনে আসা প্রতিনিধিদের এই সমস্যা আরও দ্রুত সমাধানের তাগাদা দিয়ে যায়। ১৭টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এবারের সম্মেলনে সিরিয়ায় শান্তি প্রচেষ্টার লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। মূল লক্ষ্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সরকার ও পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ট বিদ্রোহীদের সমন্বয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং তারপর ১৮ মাসের মাথায় একটি নির্বাচনের আয়োজন। তবে এ উদ্যোগের পাশাপাশি আইএস বা ইসলামিক স্টেটের জঙ্গি ও আল নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযান চলতে থাকবে।
এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের সিরীয় সম্মেলনের নতুন দিক হলো এর আগে জেনেভা সম্মেলনে সিরিয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাশার সরকারকে বাইরে রেখে যে শান্তি প্রচেষ্টার কথা ভাবা হয়েছিল, তা থেকে সরে এসে তার সরকারকে নিয়েই সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। ধারণা করা হয়, সম্প্রতি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাশার সরকারের পক্ষে রাশিয়ার অংশগ্রহণ করার পর থেকেই জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা জোট তাদের বাশারবিরোধী কট্টর নীতি থেকে সরে এসেছে। ভাবার বিষয়, ২০১১ সালে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছিল, তখন থেকেই বাশার সরকারকে সরাতে সিরিয়ার বিরোধী দলগুলো ও পশ্চিমারা যদি রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ বিবাদে না জড়িয়ে পড়ত, তাহলে গত প্রায় পাঁচ বছরে সিরিয়ায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণহানি, ৩০ লাখ মানুষকে শরণার্থীর জীবন বরণ করতে হতো না।
ফ্রান্সে আপাতসংকট হয়তো শিগগিরই কাটবে, তবে
আগামী ডিসেম্বরে সেখানে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই সন্ত্রাসী
ঘটনার ফায়দা লুটবে অতি জাতীয়তাবাদী বিদেশিবিদ্বেষী মারিন লো পেনের
ন্যাশনাল ফ্রন্ট
ভিয়েনার ইম্পরিয়াল হোটেলে সিরিয়ায় শান্তি উদ্যোগের এই আলোচনা যখন চলছিল,
তখন সারা বিশ্বের দৃষ্টি প্যারিসের সন্ত্রাসী হামলার দিকে আর ইউরোপের নানা
দেশ সন্ত্রাস ঠেকানোর কৌশল নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়েছে। এবারের সন্ত্রাসী
হামলার তাণ্ডব দেখে ইউরোপে অনেকেই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন, নিজেদের অনিরাপদ
ভাবছেন। ফ্রান্সের বা অন্যান্য দেশের সরকারগুলো যে এই ধরনের হামলা ঠেকাতে
অক্ষম বা হিমশিম খাচ্ছে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন এবং নিরাপত্তাহীনতায়
ভুগছেন। ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের মুসলমানদের সংগঠনগুলো প্যারিসের
সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো সংস্রব নেই বলে বিবৃতি দিয়েছে এবং
বলেছে ইসলামিক স্টেট নামের সংগঠনটি ইসলামের নাম ভাঙিয়ে যে হত্যালীলা
চালাচ্ছে, তা ইসলাম ধর্মের পরিপন্থী।
মধ্য জুন থেকে ইউরোপে বিশালসংখ্যক শরণার্থীর আগমনকে কেন্দ্র করে যখন ইউরোপের কিছু রক্ষণশীল দল আর কিছু দেশ তিক্ততা ছড়াচ্ছিল, তখন প্যারিসের ঘটনা তাদের পালে আরও দোলা দিল। জার্মানির ইসলামবিরোধী পেগিডা আন্দোলন বা ফ্রান্সের কট্টরবাদী জ্যঁ পেনের মেয়ে মারিন লো পেনের ন্যাশনাল ফ্রন্ট, সুইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি জিমি আকেশন, বেলজিয়ামের ভ্লামস ব্লকের ফিলিপ ডেভেন্টার, অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টির নেতা হাইনজ ক্রিস্টিয়ান স্টার্খে ও ইতালির লিগা নর্দ দলের উমবের্তো বসি, ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টি, হাঙ্গেরির জবিক পার্টি ও জার্মানির ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, যারা সব সময় অভিবাসী বা বিশেষত ইউরোপে বসবাসরত মুসলমান জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের জন্য প্যারিসের সন্ত্রাসী ঘটনা নতুন সংযোজন।
তবে মূলধারার ইউরোপীয় রাজনীতির বেশ কিছু ব্যক্তিত্ব এর ব্যতিক্রম। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি মার্টিন সুলজ এক বিশেষ আবেদনে বলেছেন, প্যারিসের সন্ত্রাসী ঘটনা নিয়ে ইউরোপে বসবাসরত মুসলমান বা সদ্য আগত শরণার্থীদের বা কোনো ধর্ম সম্প্রদায়কে দায়ী করার কোনো সুযোগ নেই। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ফ্রান্সে আপাতসংকট হয়তো শিগগিরই কাটবে, তবে আগামী ডিসেম্বরে সেখানে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই সন্ত্রাসী ঘটনার ফায়দা লুটবে অতি জাতীয়তাবাদী বিদেশিবিদ্বেষী মারিন লো পেনের ন্যাশনাল ফ্রন্ট। আর জার্মানি বা ইউরোপের নানা দেশে যেখানে বিপুলসংখ্যক মুসলমান শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে, সেসব দেশেও শরণার্থীদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আইন ও নজরদারি বাড়বে। ইতিমধ্যে পোল্যান্ড জানিয়েছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবমতো শরণার্থী গ্রহণ করবে না আর ইউরোপের সবচেয়ে বেশি শরণার্থী গ্রহণ করা দেশ জার্মানিতে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বেশ কিছু নেতা শরণার্থী বিষয়ে কড়াকড়ি আইন করার কথা বলছেন।
প্যারিসের হামলা ইউরোপীয় রাজনীতির অনেক সমীকরণকে পাল্টে দিচ্ছে, সামনে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে।
সরাফ আহমেদ: প্রথম আলোর জার্মানি প্রতিনিধি।
মধ্য জুন থেকে ইউরোপে বিশালসংখ্যক শরণার্থীর আগমনকে কেন্দ্র করে যখন ইউরোপের কিছু রক্ষণশীল দল আর কিছু দেশ তিক্ততা ছড়াচ্ছিল, তখন প্যারিসের ঘটনা তাদের পালে আরও দোলা দিল। জার্মানির ইসলামবিরোধী পেগিডা আন্দোলন বা ফ্রান্সের কট্টরবাদী জ্যঁ পেনের মেয়ে মারিন লো পেনের ন্যাশনাল ফ্রন্ট, সুইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি জিমি আকেশন, বেলজিয়ামের ভ্লামস ব্লকের ফিলিপ ডেভেন্টার, অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টির নেতা হাইনজ ক্রিস্টিয়ান স্টার্খে ও ইতালির লিগা নর্দ দলের উমবের্তো বসি, ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টি, হাঙ্গেরির জবিক পার্টি ও জার্মানির ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, যারা সব সময় অভিবাসী বা বিশেষত ইউরোপে বসবাসরত মুসলমান জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের জন্য প্যারিসের সন্ত্রাসী ঘটনা নতুন সংযোজন।
তবে মূলধারার ইউরোপীয় রাজনীতির বেশ কিছু ব্যক্তিত্ব এর ব্যতিক্রম। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি মার্টিন সুলজ এক বিশেষ আবেদনে বলেছেন, প্যারিসের সন্ত্রাসী ঘটনা নিয়ে ইউরোপে বসবাসরত মুসলমান বা সদ্য আগত শরণার্থীদের বা কোনো ধর্ম সম্প্রদায়কে দায়ী করার কোনো সুযোগ নেই। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ফ্রান্সে আপাতসংকট হয়তো শিগগিরই কাটবে, তবে আগামী ডিসেম্বরে সেখানে অনুষ্ঠেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই সন্ত্রাসী ঘটনার ফায়দা লুটবে অতি জাতীয়তাবাদী বিদেশিবিদ্বেষী মারিন লো পেনের ন্যাশনাল ফ্রন্ট। আর জার্মানি বা ইউরোপের নানা দেশে যেখানে বিপুলসংখ্যক মুসলমান শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে, সেসব দেশেও শরণার্থীদের ব্যাপারে কড়াকড়ি আইন ও নজরদারি বাড়বে। ইতিমধ্যে পোল্যান্ড জানিয়েছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবমতো শরণার্থী গ্রহণ করবে না আর ইউরোপের সবচেয়ে বেশি শরণার্থী গ্রহণ করা দেশ জার্মানিতে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বেশ কিছু নেতা শরণার্থী বিষয়ে কড়াকড়ি আইন করার কথা বলছেন।
প্যারিসের হামলা ইউরোপীয় রাজনীতির অনেক সমীকরণকে পাল্টে দিচ্ছে, সামনে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে।
সরাফ আহমেদ: প্রথম আলোর জার্মানি প্রতিনিধি।
No comments