রাষ্ট্রপতির আহ্বান-ছাত্ররাজনীতির মূল লক্ষ্য দেশ ও জাতির কল্যাণ
ছাত্রসমাজকে লক্ষ করে পারতপক্ষে রাজনৈতিক মহল থেকে কোনো ধরনের সদুপদেশ উচ্চারণের ঘটনা বিরল। আমরা ভুলতে বসেছি যে, দূষিত ছাত্ররাজনীতি নিয়ে একদা দেশের প্রধান দলগুলো উদ্বিগ্ন ছিল। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পরে ছাত্ররাজনীতিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা আমাদের জাতীয় নেতারা অনুভব করেছিলেন। কিন্তু আমরা স্মরণ করতে পারি যে, ছাত্র-সংক্রান্ত বিষয়ে কে কার আগে দলে শুদ্ধিকরণ শুরু করবেন এবং তার ফলাফল কী হবে, সে বিষয়ে তারা সন্দেহমুক্ত হতে পারেননি। কেউ হেরে যেতে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি নেননি। ফলে বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে গেছে। এর স্থায়ী সুরাহা প্রয়োজন।
ছাত্ররাজনীতির মূল লক্ষ্য দেশ ও জাতির কল্যাণ
এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে দীর্ঘদিন পরে নীরবতা ভঙ্গ করলেন। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্ররাজনীতির মূল লক্ষ্য দেশ ও জাতির কল্যাণ।’ এখন ছাত্রদের লক্ষ্য দলের কল্যাণ। রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, ‘কোনো ধরনের লোভ-লালসা চরিতার্থের মনোবৃত্তি যেন আমাদের ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত না করে।’ কিন্তু লোভ-লালসা ছাত্রনেতাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে স্পর্শ করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ কিছুকাল আগে বিদ্যমান বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, তাঁদের সময় ক্যাম্পাসের কোন ভবন থেকে টেন্ডার বিলি করা হতো, সেটা তারা চিনতেন না। আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একমত, শিক্ষার্থীদের মনে রাখা উচিত যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় জনগণের টাকায়। আর অপ্রিয় হলেও সত্য যে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি পর্যন্ত দলীয়বৃত্তে বন্দী হয়ে আছে। আড়াই দশক ধরে ছাত্রসংসদগুলোর নির্বাচন হয় না।
আমরা আশা করব, রাষ্ট্রপতি কেন ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে বলতে গিয়ে সতর্কতামূলক মন্তব্য করেছেন, সেটার তাৎপর্য সংশ্লিষ্ট সব মহল উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ থেকে যাঁদের পাঠ নেওয়া উচিত, তাঁরা যদি এর প্রতি মুখ ঘুরিয়ে রাখেন, তাহলে তা আমাদের সমষ্টিগত অসহায়ত্ববোধকেই আরও তীব্র করবে। সুস্থ ছাত্ররাজনীতিকে হ্যাঁ এবং রুগ্ণ ছাত্ররাজনীতিকে না বলুন।
ছাত্ররাজনীতির মূল লক্ষ্য দেশ ও জাতির কল্যাণ
এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে দীর্ঘদিন পরে নীরবতা ভঙ্গ করলেন। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্ররাজনীতির মূল লক্ষ্য দেশ ও জাতির কল্যাণ।’ এখন ছাত্রদের লক্ষ্য দলের কল্যাণ। রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, ‘কোনো ধরনের লোভ-লালসা চরিতার্থের মনোবৃত্তি যেন আমাদের ছাত্ররাজনীতিকে কলুষিত না করে।’ কিন্তু লোভ-লালসা ছাত্রনেতাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে স্পর্শ করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ কিছুকাল আগে বিদ্যমান বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, তাঁদের সময় ক্যাম্পাসের কোন ভবন থেকে টেন্ডার বিলি করা হতো, সেটা তারা চিনতেন না। আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একমত, শিক্ষার্থীদের মনে রাখা উচিত যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয় জনগণের টাকায়। আর অপ্রিয় হলেও সত্য যে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি পর্যন্ত দলীয়বৃত্তে বন্দী হয়ে আছে। আড়াই দশক ধরে ছাত্রসংসদগুলোর নির্বাচন হয় না।
আমরা আশা করব, রাষ্ট্রপতি কেন ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে বলতে গিয়ে সতর্কতামূলক মন্তব্য করেছেন, সেটার তাৎপর্য সংশ্লিষ্ট সব মহল উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ থেকে যাঁদের পাঠ নেওয়া উচিত, তাঁরা যদি এর প্রতি মুখ ঘুরিয়ে রাখেন, তাহলে তা আমাদের সমষ্টিগত অসহায়ত্ববোধকেই আরও তীব্র করবে। সুস্থ ছাত্ররাজনীতিকে হ্যাঁ এবং রুগ্ণ ছাত্ররাজনীতিকে না বলুন।
No comments