সিলেট আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানোর তাগিদ অর্থমন্ত্রীর
সিলেট আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানোর তাগিদ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে তৃণমূলেও দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার রাতে সিলেটের হাফিজ কমপ্লেক্সে সিলেট আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এ তাগিদ দেন। এ সময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের অনেক কথাও শুনেন। প্রতি বছর অর্থমন্ত্রী একবার হলেও দলীয় নেতাদের সঙ্গে এভাবে বৈঠক করেন। ২০১১ সালের ২১শে নভেম্বর ৭০ সদস্যের সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত নেতা আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানকে সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। ওই সময় কমিটি গঠন নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখা দিলেও এক পর্যায়ে তা থেমে যায়। একসঙ্গে ওই সময়ই সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে সভাপতি ও আসাদ উদ্দিন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই দুটি কমিটি এখন মেয়াদোত্তীর্ণ। দলীয় নেতারা জানান, আলোচনায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে ৬ মাসের মধ্যে সম্মেলনের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন অর্থমন্ত্রী। নেতারা মহানগরের সব কটি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ছয় মাসের বদলে এক বছর সময় চান। তবে, অর্থমন্ত্রী বলেছেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটি করতে হবে। তৃর্ণমূলে দলকে চাঙ্গা করতে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, আলোচনা সভায় সংগঠনের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন। সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহসভাপতি ইমরান আহমদ, মহানগরের সহসভাপতি সিরাজ বখত, মফুর আলী, যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার, বিজিত চৌধুরী, মহানগরের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন মিত্র, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সুজাত আলী রফিক প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে সদ্য প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক মরহুম আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দলীয় নেতারা জানান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানের মৃত্যুতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ শূন্য হয়ে গেছে। বর্তমান লুৎফুর রহমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে এখনও দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এসব বিষয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অবগত করা হয়েছে।
সিলেট ছাত্রলীগে অস্থিরতা: বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকে সিলেট ছাত্রলীগে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের বেপরোয়াভাব, সংঘর্ষ ও অস্ত্রের ব্যবহার সিলেট নগরবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সর্বশেষ হামলার শিকার হয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরী। রোববার রাতে টিলাগড়ে ক্যাডারদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাখার কমিটি ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরী। এই কমিটি মেনে নিতে পারেনি ছাত্রলীগ টিলাগড় গ্রুপের একাংশের নেতাকর্মীরা। এর জের ধরে টিলাগড় পয়েন্টে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সমর্থকরা রায়হানের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন রায়হান। রায়হানের ওপর হামলার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা টিলাগড় পয়েন্টে আসলে কামরুল সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হন। পুলিশ গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে। সংঘর্ষ চলাকালে টুটুল নামের এক ছাত্রলীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এইচএম কামরুল ইসলাম, সঞ্জয় চৌধুরী ও ছাত্রলীগ নেতা মিঠু তালুকদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে সোমবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিয়ানীবাজার কলেজে ছাত্রলীগের মূলধারা ও পাভেল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। শনিবার ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মদনমোহন কলেজে নিজ দলের ক্যাডারদের হামলায় ছুরিকাহত হন রুমেল আহমদ। গত মাসের শেষের দিকে আধিপত্য নিয়ে নগরীর খাসদবীরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মোহন মিয়াসহ অন্তত ৫ জন আহত হন। আগস্টে মদনমোহন কলেজে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান আবদুল আলী নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। একটি ভুয়া জিডির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষারও আলোচনায় আসেন।
সিলেট ছাত্রলীগে অস্থিরতা: বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকে সিলেট ছাত্রলীগে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগের বেপরোয়াভাব, সংঘর্ষ ও অস্ত্রের ব্যবহার সিলেট নগরবাসীকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সর্বশেষ হামলার শিকার হয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরী। রোববার রাতে টিলাগড়ে ক্যাডারদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাখার কমিটি ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও সাধারণ সম্পাদক এম. রায়হান চৌধুরী। এই কমিটি মেনে নিতে পারেনি ছাত্রলীগ টিলাগড় গ্রুপের একাংশের নেতাকর্মীরা। এর জের ধরে টিলাগড় পয়েন্টে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সমর্থকরা রায়হানের ওপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন রায়হান। রায়হানের ওপর হামলার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা টিলাগড় পয়েন্টে আসলে কামরুল সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হন। পুলিশ গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে। সংঘর্ষ চলাকালে টুটুল নামের এক ছাত্রলীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক এইচএম কামরুল ইসলাম, সঞ্জয় চৌধুরী ও ছাত্রলীগ নেতা মিঠু তালুকদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে সোমবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিয়ানীবাজার কলেজে ছাত্রলীগের মূলধারা ও পাভেল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। শনিবার ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মদনমোহন কলেজে নিজ দলের ক্যাডারদের হামলায় ছুরিকাহত হন রুমেল আহমদ। গত মাসের শেষের দিকে আধিপত্য নিয়ে নগরীর খাসদবীরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মোহন মিয়াসহ অন্তত ৫ জন আহত হন। আগস্টে মদনমোহন কলেজে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান আবদুল আলী নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী। একটি ভুয়া জিডির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষারও আলোচনায় আসেন।
No comments