ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত by আহমেদ জামাল
লন্ডনে
অবস্থানরত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর
রাজ্জাকের দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ২০১৩ সালের ১৭ই ডিসেম্বর দেশত্যাগ
করেন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ডিফেন্স টিমের প্রধান এই আইনজীবী।
ইতিমধ্যে প্রায় দুবছর পার হতে চললেও শিগগিরই তার দেশে ফেরার কোন সম্ভাবনা
নেই বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল পদে থাকলেও রাজনীতির মাঠে খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন না ব্যারিস্টার রাজ্জাক। মূলত জামায়াত নেতাদের আইনি বিষয়গুলোর দেখাশোনা করতেন তিনি। কূটনীতিক মহলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তার। তবে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের মানবতাবিরোধী মামলার বিচার কাজ শুরু হলে তিনি আলোচনায় আসেন। একই সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মুহাম্মদ কামারুজ্জামান গ্রেপ্তার হলে দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টিও দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে তার ওপর। টানা দুবছর জামায়াত শীর্ষ নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আইনি লাড়াই চালান তিনি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টি সামাল দেন। তবে ২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর পাঁচ দিনের মাথায় দেশত্যাগ করেন জামায়াতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এ আইনজীবী। তার পরদিন ১৮ই ডিসেম্বর রাজধানীর কলাবাগান থানায় ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় জামায়াতের ৩২ নেতাকর্মী সমর্থকের সঙ্গে ব্যারিস্টার রাজ্জাককেও আসামি করা হয়। এরপর এখন পর্যন্ত তিনি আর দেশে ফেরেননি। এরই মধ্যে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে গেছে। দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে নেতাদের মামলায় সর্বোচ্চ আইনি লড়াই চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জামায়াতের ভেতরে এক ধরনের আলোচনা রয়েছে। তবে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী বলেন, চলমান প্রেক্ষাপটে তার দেশে থাকা না থাকার মধ্যে লাভ-ক্ষতির তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। কারণ, তিনি থাকলেও মামলার ফলাফল যা হতো না থাকাতেও তাই হচ্ছে বলে তাদের ধারণা। বিদেশে অবস্থান করলেও ব্যারিস্টার রাজ্জাক তাদের অনেক আইনি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন বলেও জানান এ আইনজীবী।
এদিকে কলাবাগান থানায় ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বাদী পুলিশের এসআই আবুল কালাম আজাদ এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মোর্শেদ আলী ইতিমধ্যে ঢাকার বাইরে বদলি হয়েছেন। তবে তদন্ত শেষে ওই মামলার চার্জশিট থেকে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের নামটি বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানান কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল। ঘটনার সময় তার দেশে না থাকার বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে।
প্রসঙ্গত ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ঢাকা থেকে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখান থেকে যান লন্ডনে এবং বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। তার জুনিয়র আইনজীবী এবং দলীয় সূত্রের দাবি, তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব, বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে দলের পক্ষে কাজ করছেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল পদে থাকলেও রাজনীতির মাঠে খুব বেশি সক্রিয় ছিলেন না ব্যারিস্টার রাজ্জাক। মূলত জামায়াত নেতাদের আইনি বিষয়গুলোর দেখাশোনা করতেন তিনি। কূটনীতিক মহলের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তার। তবে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের মানবতাবিরোধী মামলার বিচার কাজ শুরু হলে তিনি আলোচনায় আসেন। একই সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মুহাম্মদ কামারুজ্জামান গ্রেপ্তার হলে দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টিও দেখাশোনার দায়িত্ব পড়ে তার ওপর। টানা দুবছর জামায়াত শীর্ষ নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আইনি লাড়াই চালান তিনি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টি সামাল দেন। তবে ২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর পাঁচ দিনের মাথায় দেশত্যাগ করেন জামায়াতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এ আইনজীবী। তার পরদিন ১৮ই ডিসেম্বর রাজধানীর কলাবাগান থানায় ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় জামায়াতের ৩২ নেতাকর্মী সমর্থকের সঙ্গে ব্যারিস্টার রাজ্জাককেও আসামি করা হয়। এরপর এখন পর্যন্ত তিনি আর দেশে ফেরেননি। এরই মধ্যে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে গেছে। দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে নেতাদের মামলায় সর্বোচ্চ আইনি লড়াই চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জামায়াতের ভেতরে এক ধরনের আলোচনা রয়েছে। তবে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের ঘনিষ্ঠ এক আইনজীবী বলেন, চলমান প্রেক্ষাপটে তার দেশে থাকা না থাকার মধ্যে লাভ-ক্ষতির তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। কারণ, তিনি থাকলেও মামলার ফলাফল যা হতো না থাকাতেও তাই হচ্ছে বলে তাদের ধারণা। বিদেশে অবস্থান করলেও ব্যারিস্টার রাজ্জাক তাদের অনেক আইনি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন বলেও জানান এ আইনজীবী।
এদিকে কলাবাগান থানায় ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার বাদী পুলিশের এসআই আবুল কালাম আজাদ এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মোর্শেদ আলী ইতিমধ্যে ঢাকার বাইরে বদলি হয়েছেন। তবে তদন্ত শেষে ওই মামলার চার্জশিট থেকে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের নামটি বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানান কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল। ঘটনার সময় তার দেশে না থাকার বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে।
প্রসঙ্গত ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ঢাকা থেকে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখান থেকে যান লন্ডনে এবং বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। তার জুনিয়র আইনজীবী এবং দলীয় সূত্রের দাবি, তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব, বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে দলের পক্ষে কাজ করছেন।
No comments