ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব
জাতিসঙ্ঘ
মহাসচিব বান কি-মুন ফিলিস্তিনে চলমান সহিংসতায় ইসরাইলের পক্ষ সমর্থন করছেন
বলে অভিযোগ করেছে হামাস। ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র সামি
আবু জুহরি বলেছেন, বান কি-মুন ঘাতক ইহুদিবাদী ও আত্মরক্ষাকারী
ফিলিস্তিনিদের একই দৃষ্টিতে দেখছেন।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ মন্তব্য করলেন আবু জুহরি। প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মুন সাংবাদিকদের বলেন, “পরস্পরকে হত্যা করার কোনো অর্থ হয় না। আমি ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি নেতাদের প্রতি এই আহ্বান জানাচ্ছি, তার যেন তাদের জনগণকে একথা সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলেন যে, কাউকে হত্যা করা যাবে না।”
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের এই মন্তব্যের সমালোচনা করে হামাসের মুখপাত্র বলেন, নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদেরকে হত্যাকারী ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেননি। যারা আত্মরক্ষা করছে এবং যারা তাদেরকে হত্যা করছে তাদের সবাইকে তিনি এক পাল্লায় মেপেছেন। বান কি-মুনের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ইসরাইলের পক্ষে সাফাই গাওয়ার শামিল বলে মন্তব্য করেন হামাসের মুখপাত্র।
ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ইন্তিফাদা গণআন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামি আবু জুহরি বলেন, এই আন্দোলন থামিয়ে দেয়ার যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন ফিলিস্তিনিরা তা চালিয়ে যাবে।জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে শুরু হওয়া এই আন্দোলনকে তৃতীয় ইন্তিফাদা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
গত আগস্টে ইসরাইল মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে চলমান সহিংসতা শুরু হয়। একইসঙ্গে উগ্র ইহুদিবাদীরা নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের উপর যে গণহত্যা চালাচ্ছে তাতেও ফিলিস্তিনি জনগণ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন।
সূত্র : রেডিও তেহরান
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বুধবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ মন্তব্য করলেন আবু জুহরি। প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মুন সাংবাদিকদের বলেন, “পরস্পরকে হত্যা করার কোনো অর্থ হয় না। আমি ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি নেতাদের প্রতি এই আহ্বান জানাচ্ছি, তার যেন তাদের জনগণকে একথা সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলেন যে, কাউকে হত্যা করা যাবে না।”
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের এই মন্তব্যের সমালোচনা করে হামাসের মুখপাত্র বলেন, নিরীহ ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদেরকে হত্যাকারী ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেননি। যারা আত্মরক্ষা করছে এবং যারা তাদেরকে হত্যা করছে তাদের সবাইকে তিনি এক পাল্লায় মেপেছেন। বান কি-মুনের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং ইসরাইলের পক্ষে সাফাই গাওয়ার শামিল বলে মন্তব্য করেন হামাসের মুখপাত্র।
ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ইন্তিফাদা গণআন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামি আবু জুহরি বলেন, এই আন্দোলন থামিয়ে দেয়ার যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন ফিলিস্তিনিরা তা চালিয়ে যাবে।জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নতুন করে শুরু হওয়া এই আন্দোলনকে তৃতীয় ইন্তিফাদা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
গত আগস্টে ইসরাইল মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে চলমান সহিংসতা শুরু হয়। একইসঙ্গে উগ্র ইহুদিবাদীরা নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের উপর যে গণহত্যা চালাচ্ছে তাতেও ফিলিস্তিনি জনগণ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন।
সূত্র : রেডিও তেহরান
No comments