পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই পরাজিত করবে : খোকন
আসন্ন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী
সাঈদ খোকন বলেছেন, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সাথে আমাদের এই নির্বাচনী যুদ্ধ।
এই নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই
আমাদের পরাজিত করবে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ‘বিতর্কিত’দের সমর্থন দেয়াকে কেন্দ্র করে সভায় ব্যাপক হৈ-চৈ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্ব ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক ড. আবদুর রাজ্জাক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ফজলে নূর তাপস, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সাঈদ খোকন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ৭১’র পরাজিত শক্তির কাছে পরাজিত হওয়ার কারণ নেই। আমি বিশ্বাস করি, ঢাকাবাসী অতীতের মত আমাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেবে না।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নাই আমাদের পরাজিত করে। আপনারা ধৈর্য্য ধরবেন। সবাই মিলে কাজ করবেন।
এসময় বিএনপির হরতাল-অবরোধে মানুষ হত্যার বিচারের আহ্বান জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, গত তিন মাসে তারা একজন নয়, দু’জন নয়, শতাধিক নিরাপরাধ মানুষের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছে। এর কি কোনো বিচার হবে না? ২৮ এপ্রিল সিটি নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে আপনারা এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
বাবার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, যে বন্ধন, আবেগ ঢাকার সাথে আমার ও আমার পরিবারের তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। এর স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। একটি করে ভোট প্রার্থনা করে আমাকে বিজয়ী করেন। বাসযোগ্য একটি ঢাকা আপনাদের উপহার দিতে পারব।
ব্যাপক হৈ-চৈ ও হাতাহাতি
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ‘বিতর্কিত’দের সমর্থন দেয়াকে কেন্দ্র করে সভায় ব্যাপক হৈ-চৈ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
সভার শুরুতেই দফায় দফায় মঞ্চে প্রার্থীদের সাথে হাতাহাতি হয়। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে শান্ত হলেও উত্তপ্ত থাকে দর্শক সারি। নেতারা দফায় দফায় শান্ত করতে চাইলেও কোনো লাভ হয়নি। পরে দ্রুত বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করার কৌশল নেন আয়োজকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশী ছিলেন ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তার পরিবর্তে সেখানে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে এম এ হামিদকে। এম এ হামিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর লোক বলে দাবি করছে আসাদের সমর্থকরা। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফালুর সাথে হামিদ ও তার পরিবারের একান্ত ছবিও প্রকাশ করে তারা। ৮ এপ্রিল আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলরদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। যার প্রকাশ্য রূপ নেয় আজকের এ মতবিনিময় সভায়। তাদের স্লোগানের ভাষা ছিল, হামিদকে মানি না, মানব না। আসাদ ভাই, আসাদ ভাই। বিএনপি নেতাকে মানি না, মানব না। আসাদ ভাই, আসাদ ভাই। ২২ থেকে ২৭ বছরের তরুণদেরকে গায়ের পোষাক খুলেও স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ‘বিতর্কিত’দের সমর্থন দেয়াকে কেন্দ্র করে সভায় ব্যাপক হৈ-চৈ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্ব ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক ড. আবদুর রাজ্জাক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, ফজলে নূর তাপস, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান সিরাজ, ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সাঈদ খোকন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ৭১’র পরাজিত শক্তির কাছে পরাজিত হওয়ার কারণ নেই। আমি বিশ্বাস করি, ঢাকাবাসী অতীতের মত আমাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেবে না।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নাই আমাদের পরাজিত করে। আপনারা ধৈর্য্য ধরবেন। সবাই মিলে কাজ করবেন।
এসময় বিএনপির হরতাল-অবরোধে মানুষ হত্যার বিচারের আহ্বান জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, গত তিন মাসে তারা একজন নয়, দু’জন নয়, শতাধিক নিরাপরাধ মানুষের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেছে। এর কি কোনো বিচার হবে না? ২৮ এপ্রিল সিটি নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে আপনারা এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
বাবার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, যে বন্ধন, আবেগ ঢাকার সাথে আমার ও আমার পরিবারের তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। এর স্বীকৃতি স্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। একটি করে ভোট প্রার্থনা করে আমাকে বিজয়ী করেন। বাসযোগ্য একটি ঢাকা আপনাদের উপহার দিতে পারব।
ব্যাপক হৈ-চৈ ও হাতাহাতি
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ‘বিতর্কিত’দের সমর্থন দেয়াকে কেন্দ্র করে সভায় ব্যাপক হৈ-চৈ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
সভার শুরুতেই দফায় দফায় মঞ্চে প্রার্থীদের সাথে হাতাহাতি হয়। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে শান্ত হলেও উত্তপ্ত থাকে দর্শক সারি। নেতারা দফায় দফায় শান্ত করতে চাইলেও কোনো লাভ হয়নি। পরে দ্রুত বক্তব্য দিয়ে সভা শেষ করার কৌশল নেন আয়োজকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশী ছিলেন ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তার পরিবর্তে সেখানে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে এম এ হামিদকে। এম এ হামিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর লোক বলে দাবি করছে আসাদের সমর্থকরা। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফালুর সাথে হামিদ ও তার পরিবারের একান্ত ছবিও প্রকাশ করে তারা। ৮ এপ্রিল আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলরদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। যার প্রকাশ্য রূপ নেয় আজকের এ মতবিনিময় সভায়। তাদের স্লোগানের ভাষা ছিল, হামিদকে মানি না, মানব না। আসাদ ভাই, আসাদ ভাই। বিএনপি নেতাকে মানি না, মানব না। আসাদ ভাই, আসাদ ভাই। ২২ থেকে ২৭ বছরের তরুণদেরকে গায়ের পোষাক খুলেও স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
No comments