ইরান চুক্তির নিশ্চয়তা নেই -খামেনি
ইরানের
সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তির নিশ্চয়তা নেই বলে মন্তব্য
করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুাল্লাহ আলী খামেনি। ইরানের উন্নয়নের
পরমাণু শিল্প টিকিয়ে রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার দেশটির
‘পরমাণু প্রযুক্তি দিবস’ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক টেলিভিশন বক্তব্যে
তিনি এসব কথা বলেন। খবর এএফপি ও বিবিসির। ইরানের পরমাণু চুক্তি সম্পর্কে
প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। রাষ্ট্রীয় যে কোনো
ব্যাপারে তার কথাই শেষ কথা। খামেনি বলেন, ‘বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু
চুক্তি নিয়ে এ পর্যন্ত যা হয়েছে, তা চূড়ান্ত চুক্তির নিশ্চয়তা দেয় না।’
তিনি বলেন, ‘অবিশ্বস্ত পক্ষ (যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয়জাতি) আমাদের দেশকে
সীমাবদ্ধতায় আটকে দিতে চায়। এটা অন্যায্য।’ খামেনি এটাও জানান যে, তিনি এই
চুক্তি সম্পর্কে কোনো অবস্থান নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘এখানও পক্ষে-বিপক্ষে
অবস্থান নেয়ার মতো কিছু হয়নি। আমি এ চুক্তির পক্ষেও নই, আবার বিপক্ষেও নই।
তবে ইরানের সমঝোতাকারী দলকে আমি সবসময় সমর্থন দিয়ে এসেছি। এই চুক্তি যদি
জাতির স্বার্থ ও মর্যাদা সংরক্ষণ করে তবেই আমি স্বাগত জানাব। খামেনি আরও
বলেন, পরমাণু শিল্প ইরানের উন্নতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পানি নিষ্কাশন,
ওষুধ প্রস্তুত, কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য পরমাণু শিল্প
টিকিয়ে রাখতে হবে। উল্লেখ্য, ২ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডের রাজধানী লুজানে ইরান
ও ছয় বিশ্বশক্তি একটি প্রাথমিক চুক্তিতে উপনীত হয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে
একটি চূড়ান্ত চুক্তি করার কথা রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা না তুললে চুক্তি নয় : রুহানি
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, পরমাণু প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলেই কেবল ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে ইরান। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। রুহানি বলেছেন, ‘ওই একই দিনে সব নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে না নিলে আমরা কোনো চুক্তিতে সই করব না। পরমাণু আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সব পক্ষ সন্তুষ্টবোধ করবে, এমন একটি চুক্তি চাই আমরা।’ অপরদিকে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করে জানিয়েছে, চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তির পর ধাপে ধাপে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
ইরান কখনোই পরমাণু বোমা তৈরি করবে না উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, পরমাণু প্রযুক্তি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে তেহরান। পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থের ভিত্তিতে বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য ইরান প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। পরমাণু প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তেহরানের সাফল্যের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, বলদর্পী শক্তিগুলোর ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো তোয়াক্কা না করেই ইরানি তরুণ এবং বিজ্ঞানীরা জাতীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় পরমাণু প্রযুক্তি দিবসের অনুষ্ঠানে ইরানের তৈরি তিনটি রেডিও মেডিসিন এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি তৈরির ব্যবস্থা উন্মোচন করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সমঝোতার ক্ষেত্রে তেহরানের বিজয় তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ইরানের সবচেয়ে বড় বিজয় হল, বিশ্বের সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে পরাক্রমশালী দেশ অর্থাৎ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, ইরানের মানুষ কখনোই চাপ, নিষেধাজ্ঞা বা বলদর্পিতার কাছে মাথা নত করবেন না।
নিষেধাজ্ঞা না তুললে চুক্তি নয় : রুহানি
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, পরমাণু প্রকল্পকে কেন্দ্র করে আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলেই কেবল ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে ইরান। বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। রুহানি বলেছেন, ‘ওই একই দিনে সব নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে না নিলে আমরা কোনো চুক্তিতে সই করব না। পরমাণু আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সব পক্ষ সন্তুষ্টবোধ করবে, এমন একটি চুক্তি চাই আমরা।’ অপরদিকে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করে জানিয়েছে, চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তির পর ধাপে ধাপে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
ইরান কখনোই পরমাণু বোমা তৈরি করবে না উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, পরমাণু প্রযুক্তি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে তেহরান। পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থের ভিত্তিতে বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য ইরান প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। পরমাণু প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তেহরানের সাফল্যের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, বলদর্পী শক্তিগুলোর ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো তোয়াক্কা না করেই ইরানি তরুণ এবং বিজ্ঞানীরা জাতীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সাফল্য অর্জন করেছে। জাতীয় পরমাণু প্রযুক্তি দিবসের অনুষ্ঠানে ইরানের তৈরি তিনটি রেডিও মেডিসিন এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি তৈরির ব্যবস্থা উন্মোচন করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সমঝোতার ক্ষেত্রে তেহরানের বিজয় তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, ইরানের সবচেয়ে বড় বিজয় হল, বিশ্বের সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে পরাক্রমশালী দেশ অর্থাৎ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, ইরানের মানুষ কখনোই চাপ, নিষেধাজ্ঞা বা বলদর্পিতার কাছে মাথা নত করবেন না।
No comments