সম্ভাবনাময় ফুল- গোলাপের বিকল্প হবে নন্দিনী! by আশিস আচার্য
নাম যে তার নিন্দনী৷ গতকাল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তোলা l ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন |
হঠাৎ
দেখলে মনে হতে পারে গোলাপ। আবার খাড়া পাতাসহ ডগা দূর থেকে অনেকটা
টিউলিপের মতো দেখায়। রঙেরও ছড়াছড়ি। প্রায় ৪৫টি রঙের এ ফুলটি গাছ থেকে
তোলার পর ১৫ দিন পর্যন্ত সতেজ থাকে।
ফুলটির জাপানি নাম তরুকোগিকিও। আমাদের দেশে ইউস্টোমা নামেই বেশি পরিচিত। কেউ কেউ বলেন লিসিয়েন্থাস। বেশ কদর থাকলেও দাম চড়া। তাই ফুলটি কয়েকটি দূতাবাস আর নামীদামি হোটেলেই বেশি দেখা যায়। কেউ কেউ শখ করে ঘরেও রাখেন। খুচরা বাজারে প্রতিটির দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
তবে ফুলটি বেশ কম দামেই পাওয়া যেতে পারে, এমন আশার কথা জানালেন ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক এ এফ এম জামাল উদ্দিন। ফুলটি বর্তমানে চীন থেকে আমদানি হলেও তা দেশের মাটিতেই উৎপাদন করা সম্ভব। এ বিষয়ে তাঁর গবেষণা নিবন্ধটি বাংলাদেশ কৃষি ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞান সাময়িকী দি এগ্রিকালচারিস্টস-এ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জানালেন, বাণিজ্যিকভাবে ফুলটি দেশে উৎপাদন শুরু হলে প্রতিটির দাম পড়বে ১০ টাকার মতো।
প্রায় ১৭ বছর ধরে এই বিদেশি ফুল নিয়ে কাজ করছেন জামাল উদ্দিন। তিনি ফুলটির নাম দিয়েছেন নন্দিনী। বৈজ্ঞানিক নাম Eustoma grandiflorum। তিনি জাপান থেকে বীজ ও মাটি নিয়ে এসেছিলেন। সেই মাটিতে ২০০৭ সালে ফুটেছিল ফুলটি। তিনি জানালেন, নন্দিনী একটি উন্নতমানের কাট-ফ্লাওয়ার। গাছ থেকে যেসব ফুল তুলে ঘর কিংবা মঞ্চ সাজানোর কাজে বেশি দিন ব্যবহার করা যায়, তা কাট-ফ্লাওয়ার।
বর্ণবৈচিত্র্যের কারণে ফুলটি অল্প সময়ের মধ্যে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ফুলের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রকি পর্বত এলাকায় ইউস্টোমার উৎপত্তি। মেক্সিকো, ক্যারিবীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশের উষ্ণ অঞ্চলেও এই ফুল হয়।
জাপানের বাজারে প্রায় ৪৫ রকমের তরুকোগিকিও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আটটি রঙের নন্দিনী ফোটানো সম্ভব হয়েছে। জামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাপান এবং আমাদের দেশে ফোটা নন্দিনীর মধ্যে গুণগত মিল রয়েছে। পার্থক্য কেবল বীজের অঙ্কুরোদ্গমে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এ ফুলের সবচেয়ে ভালো মানের বীজ তৈরি হচ্ছে, যার অঙ্কুরোদ্গম হার ৮০ ভাগের বেশি। আর কোনো দেশে এত ভালো মানের বীজ উৎপাদন করা এখনো সম্ভব হয়নি।’
নন্দিনী ফুলটি বুনো বৈশিষ্ট্যের। ঝড়, বৃষ্টি, প্রচণ্ড গরম বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এটি অক্ষত থাকে। প্রতিটি ফুল শক্ত ডাঁটা বা বৃন্তের ওপর থাকে বলে কখনো বেঁকে যায় না বা নুয়ে পড়ে না। একটানা ১৫ দিন পর্যন্ত ফুলটি অবিকল থাকে বলে দাম এত বেশি। ফুলদানির পানিতে সুক্রোজ মিশিয়ে ২৫ দিন পর্যন্ত তাজা রাখা যায়। একটি গাছে একাধিক ফুল ফোটে। কলিগুলো ধারাবাহিকভাবে ফোটে বলে গাছটি ফুলশূন্য হয় না। একেকটি গাছ একাধিক মৌসুমে ফুল দিতে পারে। প্রতি মৌসুমে একটি গাছ থেকে অন্তত ১২০টি ফুল পাওয়া যেতে পারে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফুলের সঙ্গে চলে আসা কলিগুলো ঘরের স্বাভাবিক পরিবেশে ফুলদানিতেই কয়েক দিন পর সম্পূর্ণ ফোটে। সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ফুলটি ফুটলেও সারা বছরই উৎপাদন সম্ভব।
জামাল উদ্দিন জানালেন, বেলে ও দোআঁশ মাটিতে নন্দিনীর বীজ ভালো হয়। অঙ্কুরোদ্গমের ১০-১২ দিন সময় লাগে। বীজ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হয়, এ দেশের আবহাওয়ায় তিন মাস পর্যন্ত লেগে যায়।
লবণ-সহনশীল ফুলটি বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে চাষ করার সুযোগ রয়েছে। ফলে সেখান থেকে নৌপথে পরিবহন করাটাও সহজ হবে। অন্যান্য ফসল উৎপাদনের বিরতিতে ফুলটি উৎপাদন করা যাবে। জামাল উদ্দিন মনে করেন, বাংলাদেশে নন্দিনী উৎপাদনের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশগুলোতে ফুলটির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী হতে পারেন। তবে এ জন্য শিল্প গড়ে তুলতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা ইউস্টোমার সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছেন। তাঁদের মতে, গোলাপের বিকল্প হিসেবে ফুলটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ফুলের ব্যবসা বাংলাদেশ এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি, অনেকাংশেই বিদেশি ফুল আমদানির ওপর নির্ভরশীল। নন্দিনীর বাণিজ্যিক উৎপাদনে সাফল্য এলে ফুলের পাশাপাশি বীজ ও চারা রপ্তানি করেও বিদেশের বাজার ধরার সুযোগ রয়েছে।
রাজধানীর শাহবাগের হাতে গোনা দু-একটি দোকানে ইউস্টোমা পাওয়া যায়। গুলশান ডিসিসি মার্কেটের ফুলের দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউস্টোমা নামের ফুলটির দাম বেশি হওয়ায় সব সময় রাখা হয় না। তবে বিশেষ ফরমাশ পেলে তারা ফুলটি জোগাড় করে দিতে পারে।
বনানী ১২ নম্বরের ফুলের দোকানগুলোতে ইউস্টোমা ফুল বিক্রি হয়। সেখানকার দোকানিরা জানালেন, চীন থেকে ফুলটি আমদানি করা হয়। তাঁরা মূলত বিদেশি লোকজনের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ ফুল বিক্রি করেন। দাম অনেক বেশি পড়ে, তাই জনসাধারণের কাছে ফুলটির চাহিদা কম।
গুলশান ২ এলাকার ফুলের দোকান ‘পুষ্পনীড়’-এর ব্যবস্থাপক এস আর বাবু প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি গোছা (বান্ডল) ফুলের দাম পড়ে ৯০০ টাকা। চাহিদা খুব বেশি নেই, তবে দাম কমলে চাহিদা বাড়তেও পারে। দেশে উৎপাদন করতে পারলে অনেক সাশ্রয় হবে।
নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মার বাসায় গিয়ে দেখা গেল, ফুলদানিতে শোভা পাচ্ছে নন্দিনী ফুল। এটির চাষের সম্ভাবনা ও উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এই প্রকৃতিবিজ্ঞানী প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশি অনেক ফুল বাংলাদেশে আগেও এসেছে। এ ধরনের ফুল এখানকার প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে কোনো ঝুঁকি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আর এই ফুল স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
ফুলটির জাপানি নাম তরুকোগিকিও। আমাদের দেশে ইউস্টোমা নামেই বেশি পরিচিত। কেউ কেউ বলেন লিসিয়েন্থাস। বেশ কদর থাকলেও দাম চড়া। তাই ফুলটি কয়েকটি দূতাবাস আর নামীদামি হোটেলেই বেশি দেখা যায়। কেউ কেউ শখ করে ঘরেও রাখেন। খুচরা বাজারে প্রতিটির দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
তবে ফুলটি বেশ কম দামেই পাওয়া যেতে পারে, এমন আশার কথা জানালেন ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক এ এফ এম জামাল উদ্দিন। ফুলটি বর্তমানে চীন থেকে আমদানি হলেও তা দেশের মাটিতেই উৎপাদন করা সম্ভব। এ বিষয়ে তাঁর গবেষণা নিবন্ধটি বাংলাদেশ কৃষি ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞান সাময়িকী দি এগ্রিকালচারিস্টস-এ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জানালেন, বাণিজ্যিকভাবে ফুলটি দেশে উৎপাদন শুরু হলে প্রতিটির দাম পড়বে ১০ টাকার মতো।
প্রায় ১৭ বছর ধরে এই বিদেশি ফুল নিয়ে কাজ করছেন জামাল উদ্দিন। তিনি ফুলটির নাম দিয়েছেন নন্দিনী। বৈজ্ঞানিক নাম Eustoma grandiflorum। তিনি জাপান থেকে বীজ ও মাটি নিয়ে এসেছিলেন। সেই মাটিতে ২০০৭ সালে ফুটেছিল ফুলটি। তিনি জানালেন, নন্দিনী একটি উন্নতমানের কাট-ফ্লাওয়ার। গাছ থেকে যেসব ফুল তুলে ঘর কিংবা মঞ্চ সাজানোর কাজে বেশি দিন ব্যবহার করা যায়, তা কাট-ফ্লাওয়ার।
বর্ণবৈচিত্র্যের কারণে ফুলটি অল্প সময়ের মধ্যে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ফুলের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে। ধারণা করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের রকি পর্বত এলাকায় ইউস্টোমার উৎপত্তি। মেক্সিকো, ক্যারিবীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর অংশের উষ্ণ অঞ্চলেও এই ফুল হয়।
জাপানের বাজারে প্রায় ৪৫ রকমের তরুকোগিকিও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আটটি রঙের নন্দিনী ফোটানো সম্ভব হয়েছে। জামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জাপান এবং আমাদের দেশে ফোটা নন্দিনীর মধ্যে গুণগত মিল রয়েছে। পার্থক্য কেবল বীজের অঙ্কুরোদ্গমে। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এ ফুলের সবচেয়ে ভালো মানের বীজ তৈরি হচ্ছে, যার অঙ্কুরোদ্গম হার ৮০ ভাগের বেশি। আর কোনো দেশে এত ভালো মানের বীজ উৎপাদন করা এখনো সম্ভব হয়নি।’
নন্দিনী ফুলটি বুনো বৈশিষ্ট্যের। ঝড়, বৃষ্টি, প্রচণ্ড গরম বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগেও এটি অক্ষত থাকে। প্রতিটি ফুল শক্ত ডাঁটা বা বৃন্তের ওপর থাকে বলে কখনো বেঁকে যায় না বা নুয়ে পড়ে না। একটানা ১৫ দিন পর্যন্ত ফুলটি অবিকল থাকে বলে দাম এত বেশি। ফুলদানির পানিতে সুক্রোজ মিশিয়ে ২৫ দিন পর্যন্ত তাজা রাখা যায়। একটি গাছে একাধিক ফুল ফোটে। কলিগুলো ধারাবাহিকভাবে ফোটে বলে গাছটি ফুলশূন্য হয় না। একেকটি গাছ একাধিক মৌসুমে ফুল দিতে পারে। প্রতি মৌসুমে একটি গাছ থেকে অন্তত ১২০টি ফুল পাওয়া যেতে পারে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফুলের সঙ্গে চলে আসা কলিগুলো ঘরের স্বাভাবিক পরিবেশে ফুলদানিতেই কয়েক দিন পর সম্পূর্ণ ফোটে। সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ফুলটি ফুটলেও সারা বছরই উৎপাদন সম্ভব।
জামাল উদ্দিন জানালেন, বেলে ও দোআঁশ মাটিতে নন্দিনীর বীজ ভালো হয়। অঙ্কুরোদ্গমের ১০-১২ দিন সময় লাগে। বীজ থেকে চারা উৎপাদনের জন্য তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হয়, এ দেশের আবহাওয়ায় তিন মাস পর্যন্ত লেগে যায়।
লবণ-সহনশীল ফুলটি বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে চাষ করার সুযোগ রয়েছে। ফলে সেখান থেকে নৌপথে পরিবহন করাটাও সহজ হবে। অন্যান্য ফসল উৎপাদনের বিরতিতে ফুলটি উৎপাদন করা যাবে। জামাল উদ্দিন মনে করেন, বাংলাদেশে নন্দিনী উৎপাদনের সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল। ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশগুলোতে ফুলটির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী হতে পারেন। তবে এ জন্য শিল্প গড়ে তুলতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা ইউস্টোমার সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছেন। তাঁদের মতে, গোলাপের বিকল্প হিসেবে ফুলটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ফুলের ব্যবসা বাংলাদেশ এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি, অনেকাংশেই বিদেশি ফুল আমদানির ওপর নির্ভরশীল। নন্দিনীর বাণিজ্যিক উৎপাদনে সাফল্য এলে ফুলের পাশাপাশি বীজ ও চারা রপ্তানি করেও বিদেশের বাজার ধরার সুযোগ রয়েছে।
রাজধানীর শাহবাগের হাতে গোনা দু-একটি দোকানে ইউস্টোমা পাওয়া যায়। গুলশান ডিসিসি মার্কেটের ফুলের দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউস্টোমা নামের ফুলটির দাম বেশি হওয়ায় সব সময় রাখা হয় না। তবে বিশেষ ফরমাশ পেলে তারা ফুলটি জোগাড় করে দিতে পারে।
বনানী ১২ নম্বরের ফুলের দোকানগুলোতে ইউস্টোমা ফুল বিক্রি হয়। সেখানকার দোকানিরা জানালেন, চীন থেকে ফুলটি আমদানি করা হয়। তাঁরা মূলত বিদেশি লোকজনের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ ফুল বিক্রি করেন। দাম অনেক বেশি পড়ে, তাই জনসাধারণের কাছে ফুলটির চাহিদা কম।
গুলশান ২ এলাকার ফুলের দোকান ‘পুষ্পনীড়’-এর ব্যবস্থাপক এস আর বাবু প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি গোছা (বান্ডল) ফুলের দাম পড়ে ৯০০ টাকা। চাহিদা খুব বেশি নেই, তবে দাম কমলে চাহিদা বাড়তেও পারে। দেশে উৎপাদন করতে পারলে অনেক সাশ্রয় হবে।
নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মার বাসায় গিয়ে দেখা গেল, ফুলদানিতে শোভা পাচ্ছে নন্দিনী ফুল। এটির চাষের সম্ভাবনা ও উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এই প্রকৃতিবিজ্ঞানী প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশি অনেক ফুল বাংলাদেশে আগেও এসেছে। এ ধরনের ফুল এখানকার প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে কোনো ঝুঁকি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা নেই। আর এই ফুল স্থানীয় জীববৈচিত্র্যের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
No comments