‘কামারুজ্জামানকে আর সময় দেয়া হচ্ছে না’
প্রেসিডেন্টের
কাছে প্রাণভিক্ষা না চাওয়ায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা
কামারুজ্জামানকে আর সময় দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের একটি
অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এর আগে গতকাল সকালে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট
কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানতে
চান। সাক্ষাৎ শেষে তারা এ বিষয়ে কোন কথা বলেননি। ফলে দিনভর এ নিয়ে ছিল
নানা গুঞ্জন। এদিকে সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য দেয়ার পর
কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কারাগারের ভেতরে যান সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তারা। কারাগারের আশপাশের রাস্তায়ও জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। ভেতরে
প্রবেশ করেন চিকিৎসক। এরপর থেকে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে মধ্যরাতের পর কার্যকর
হচ্ছে কামারুজ্জামানের ফাঁসি। কিন্তু রাত সাড়ে ৯টার পর সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তারা কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তাও শিথিল
করে দেয়া হয়। ফলে আবার গুঞ্জন উঠে রাতে ফাঁসি কার্যকর না হওয়ার।
কারা সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পর কারাগারের ভেতরে ফাঁসির প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। সামিয়ানা টানানো থেকে শুরু করে ফাঁসির মঞ্চের সামনে সংশ্লিষ্টদের বসার জন্য চেয়ার নেয়া হয়। আশপাশের দোকানপাটও বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। রাত ৯টার আগেই কারাগারসংলগ্ন সড়কগুলোর যান চলাচল বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাত পৌনে ৯টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন ঢাকা জেলার সহকারী সিভিল সার্জন আহসান হাবীব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ এলাকার উপ-কমিশনার মফিজ উদ্দীন আহমেদ।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ এলাকার উপকমিশনার মফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে কারাগারের জন্য রাতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় দেখার জন্যই তিনি কারাগারের ভেতর যান। তবে রাত সাড়ে ৯টার পর তিনি জানান, তারা কারাগার থেকে বের হয়ে গেছেন। নির্দেশনা পেলে আজ আবার যাবেন।
এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল ও তানভীর মোহাম্মদ আজিম। দুই ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে কিছু সময় কামারুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন। প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করবেন কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানাননি কামারুজ্জামান।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে কোন সিদ্ধান্ত দেননি কামারুজ্জামান । এ বিষয়ে ভাববার জন্য আরও একটু সময় চেয়েছেন তিনি।
সকালে কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটদের সাক্ষতের পর থেকেই এ বিষয়ে কোন প্রকার মন্তব্য করতে চাননি কারা কর্তৃপক্ষ। কারাগার থেকে ম্যাজিস্ট্রেটরা বেরিয়ে যাওয়ার পর কারা ফটকের সামনে যান সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী। তখন এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ‘নো কমেন্টস’ বলে এড়িয়ে যান তিনি।
এর আগে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার রিভিউ খারিজের রায়ে আপিল বিভাগ বলেছিল, যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামি সংবিধান অনুযায়ী প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবেন। তবে এ মামলায় প্রাণভিক্ষার জন্য কারাবিধিতে বেঁধে দেয়া ৭ থেকে ২১ দিনের সময়সীমা প্রযোজ্য হবে না। আসামি প্রাণভিক্ষা চাইলে তার নিষ্পত্তির আগে দণ্ড কার্যকর করা যাবে না। কিন্তু আসামি প্রাণভিক্ষার জন্য কত সময় পাবেন এবং কত দিনের মধ্যে তার নিষ্পত্তি হবে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না থাকায় কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে তার আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, প্রাণভিক্ষার বিষয়ে ভেবে দেখার সময় চেয়েছেন কামারুজ্জামান। এ জন্য তিনি ‘যৌক্তিক সময়ই’ নেবেন।
২০১৩ সালের ৯ই মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন। গত বছরের ৩রা নভেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরদিন তার বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। গত ৫ই মার্চ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন দায়ের করেন কামারুজ্জামান। সোমবার রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার পর ওইদিন কারা কর্তৃপক্ষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যার পর কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তখন কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, খুব কাছ থেকে তারা কামারুজ্জামানকে মোলাকাত করতে পারেননি। সাধারণত শেষ দেখার সময় যে সুযোগ দেয়া হয় তা তাদের দেয়া হয়নি। তাই তারা আশা করছেন তাদের আরও একবার দেখা করার সুযেগ দেয়া হবে।
কারা সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পর কারাগারের ভেতরে ফাঁসির প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। সামিয়ানা টানানো থেকে শুরু করে ফাঁসির মঞ্চের সামনে সংশ্লিষ্টদের বসার জন্য চেয়ার নেয়া হয়। আশপাশের দোকানপাটও বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়। রাত ৯টার আগেই কারাগারসংলগ্ন সড়কগুলোর যান চলাচল বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাত পৌনে ৯টার দিকে কারাগারে প্রবেশ করেন ঢাকা জেলার সহকারী সিভিল সার্জন আহসান হাবীব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ এলাকার উপ-কমিশনার মফিজ উদ্দীন আহমেদ।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ এলাকার উপকমিশনার মফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে কারাগারের জন্য রাতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয় দেখার জন্যই তিনি কারাগারের ভেতর যান। তবে রাত সাড়ে ৯টার পর তিনি জানান, তারা কারাগার থেকে বের হয়ে গেছেন। নির্দেশনা পেলে আজ আবার যাবেন।
এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব জামিল ও তানভীর মোহাম্মদ আজিম। দুই ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে কিছু সময় কামারুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেন। প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করবেন কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত জানাননি কামারুজ্জামান।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে কোন সিদ্ধান্ত দেননি কামারুজ্জামান । এ বিষয়ে ভাববার জন্য আরও একটু সময় চেয়েছেন তিনি।
সকালে কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটদের সাক্ষতের পর থেকেই এ বিষয়ে কোন প্রকার মন্তব্য করতে চাননি কারা কর্তৃপক্ষ। কারাগার থেকে ম্যাজিস্ট্রেটরা বেরিয়ে যাওয়ার পর কারা ফটকের সামনে যান সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী। তখন এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ‘নো কমেন্টস’ বলে এড়িয়ে যান তিনি।
এর আগে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার রিভিউ খারিজের রায়ে আপিল বিভাগ বলেছিল, যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে আসামি সংবিধান অনুযায়ী প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবেন। তবে এ মামলায় প্রাণভিক্ষার জন্য কারাবিধিতে বেঁধে দেয়া ৭ থেকে ২১ দিনের সময়সীমা প্রযোজ্য হবে না। আসামি প্রাণভিক্ষা চাইলে তার নিষ্পত্তির আগে দণ্ড কার্যকর করা যাবে না। কিন্তু আসামি প্রাণভিক্ষার জন্য কত সময় পাবেন এবং কত দিনের মধ্যে তার নিষ্পত্তি হবে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না থাকায় কামারুজ্জামানের ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা তৈরি হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে তার আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, প্রাণভিক্ষার বিষয়ে ভেবে দেখার সময় চেয়েছেন কামারুজ্জামান। এ জন্য তিনি ‘যৌক্তিক সময়ই’ নেবেন।
২০১৩ সালের ৯ই মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন। গত বছরের ৩রা নভেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরদিন তার বিরুদ্ধে মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। গত ৫ই মার্চ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন দায়ের করেন কামারুজ্জামান। সোমবার রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার পর ওইদিন কারা কর্তৃপক্ষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যার পর কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তখন কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, খুব কাছ থেকে তারা কামারুজ্জামানকে মোলাকাত করতে পারেননি। সাধারণত শেষ দেখার সময় যে সুযোগ দেয়া হয় তা তাদের দেয়া হয়নি। তাই তারা আশা করছেন তাদের আরও একবার দেখা করার সুযেগ দেয়া হবে।
No comments