যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত দেখাল ইরান
মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটরদের চিঠির জবাব দিতে গিয়ে রীতিমতো একহাত দেখিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। |
ইরান
এবার এক খেল দেখাল। সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে একদল মার্কিন
রাজনীতিবিদের হুঁশিয়ারির পর তাঁদের নিজেদের দেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক
আইনের নিয়মনীতি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে তেহরান।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি ৪৭ জন রিপাবলিকান সিনেটরের এক খোলা চিঠির জবাব দিতে গিয়ে তাঁদের রীতিমতো একহাত নিয়েছে ইরান।
চিঠিটিতে ওই রিপাবলিকানরা বলেন, কংগ্রেসের অনুমোদন না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কোনো চুক্তি হলে তা হবে কেবল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির মধ্যে একটি সমঝোতা মাত্র।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ধরনের একটি নির্বাহী চুক্তিকে কলমের এক খোঁচায়ই বাতিল করে দিতে পারেন। ভবিষ্যতে কংগ্রেস চুক্তির যেকোনো শর্তকে যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারবে।’
রিপাবলিকান সিনেটরদের ওই খোলা চিঠির কড়া সমালোচনা করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, রিপাবলিকানদের ওই চিঠি প্রচারণার একটা কৌশলমাত্র।
মার্কিন সিনেটররা প্রায়ই নিজেদের আন্তর্জাতিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মনে করে গর্বে মাটিতে পা ফেলেন না। কিন্তু এবার তাঁদের মাটিতে নামিয়ে এনেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ।
৪৭ জন রিপাবলিকান সিনেটরের উদ্দেশে জারিফ বলেছেন, তাঁরা আন্তর্জাতিক আইন তো বোঝেন-ই না, নিজেদের সংবিধান সম্পর্কেও তাঁদের পুরোপুরি ধারণা নেই।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশ্বটা কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়। আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক পরিচালিত হয় আন্তর্জাতিক আইনে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আইনে নয়। চিঠির লেখকেরা সম্ভবত পুরোপুরি জানেন না যে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে তার সরকার। পররাষ্ট্র-সংক্রান্ত বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব ওই সরকারেরই। অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে তারা যে দায়দায়িত্ব নেবে, সেগুলোর পূরণ করার ভারও সরকারগুলোর। এখানে তারা নিজ দায়িত্ব পালন করুক বা না করুক, আন্তর্জাতিক বিষয়াদির বেলায় অভ্যন্তরীণ আইন কোনো কাজে আসবে না।’
রাষ্ট্রের মধ্যকার কোনো চুক্তি সরকারের মানার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতার কথাও ওই সিনেটরদের মনে করিয়ে দেন জারিফ। তিনি বলেন, ‘লেখকদের আমি জানাতে চাই, পরবর্তী মার্কিন প্রশাসন যদি কলমের এক খোঁচায় কোনো চুক্তিকে বাতিল করে, তবে তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।’
সম্ভাব্য চুক্তিটি কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার কোনো চুক্তি হবে না বলেও উল্লেখ করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তি তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
চুক্তিটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা নিশ্চিত হতে চায় যে—ইরান কোনো পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে পারবে না।
চুক্তিটির বিরোধিতা করছে রিপাবলিকানরা। এ ব্যাপারে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন। এতে ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। তাঁর দাবি, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ আরও সুগম হবে।
ইরানের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়ার পক্ষে রিপাবলিকানদের পাশাপাশি ওবামার দল ডেমোক্রেটিক পার্টির কিছু নেতাও দীর্ঘদিন ধরে সরব। তবে হোয়াইট হাউস বলে আসছে, এ ধরনের চুক্তির জন্য আইনপ্রণেতাদের অনুমোদনের কোনো দরকার নেই।
পরমাণু প্রকল্পের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইরান। এই দাবি নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বলছে, বোমা বানানোই তেহরানের উদ্দেশ্য।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি ৪৭ জন রিপাবলিকান সিনেটরের এক খোলা চিঠির জবাব দিতে গিয়ে তাঁদের রীতিমতো একহাত নিয়েছে ইরান।
চিঠিটিতে ওই রিপাবলিকানরা বলেন, কংগ্রেসের অনুমোদন না নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কোনো চুক্তি হলে তা হবে কেবল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির মধ্যে একটি সমঝোতা মাত্র।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ধরনের একটি নির্বাহী চুক্তিকে কলমের এক খোঁচায়ই বাতিল করে দিতে পারেন। ভবিষ্যতে কংগ্রেস চুক্তির যেকোনো শর্তকে যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারবে।’
রিপাবলিকান সিনেটরদের ওই খোলা চিঠির কড়া সমালোচনা করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, রিপাবলিকানদের ওই চিঠি প্রচারণার একটা কৌশলমাত্র।
মার্কিন সিনেটররা প্রায়ই নিজেদের আন্তর্জাতিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মনে করে গর্বে মাটিতে পা ফেলেন না। কিন্তু এবার তাঁদের মাটিতে নামিয়ে এনেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ।
৪৭ জন রিপাবলিকান সিনেটরের উদ্দেশে জারিফ বলেছেন, তাঁরা আন্তর্জাতিক আইন তো বোঝেন-ই না, নিজেদের সংবিধান সম্পর্কেও তাঁদের পুরোপুরি ধারণা নেই।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশ্বটা কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়। আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক পরিচালিত হয় আন্তর্জাতিক আইনে, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ আইনে নয়। চিঠির লেখকেরা সম্ভবত পুরোপুরি জানেন না যে, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে তার সরকার। পররাষ্ট্র-সংক্রান্ত বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব ওই সরকারেরই। অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে তারা যে দায়দায়িত্ব নেবে, সেগুলোর পূরণ করার ভারও সরকারগুলোর। এখানে তারা নিজ দায়িত্ব পালন করুক বা না করুক, আন্তর্জাতিক বিষয়াদির বেলায় অভ্যন্তরীণ আইন কোনো কাজে আসবে না।’
রাষ্ট্রের মধ্যকার কোনো চুক্তি সরকারের মানার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতার কথাও ওই সিনেটরদের মনে করিয়ে দেন জারিফ। তিনি বলেন, ‘লেখকদের আমি জানাতে চাই, পরবর্তী মার্কিন প্রশাসন যদি কলমের এক খোঁচায় কোনো চুক্তিকে বাতিল করে, তবে তা হবে আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।’
সম্ভাব্য চুক্তিটি কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার কোনো চুক্তি হবে না বলেও উল্লেখ করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কারণ যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় বিশ্বশক্তি তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
চুক্তিটির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা নিশ্চিত হতে চায় যে—ইরান কোনো পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে পারবে না।
চুক্তিটির বিরোধিতা করছে রিপাবলিকানরা। এ ব্যাপারে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেন। এতে ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। তাঁর দাবি, চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ আরও সুগম হবে।
ইরানের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়ার পক্ষে রিপাবলিকানদের পাশাপাশি ওবামার দল ডেমোক্রেটিক পার্টির কিছু নেতাও দীর্ঘদিন ধরে সরব। তবে হোয়াইট হাউস বলে আসছে, এ ধরনের চুক্তির জন্য আইনপ্রণেতাদের অনুমোদনের কোনো দরকার নেই।
পরমাণু প্রকল্পের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইরান। এই দাবি নাকচ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বলছে, বোমা বানানোই তেহরানের উদ্দেশ্য।
No comments