হরিয়ানায় গরু জবাই করলে মৃত্যুদণ্ড - গরুর গোশত নিষিদ্ধ যৌন হেনস্তার চেয়ে গুরুতর
মহারাষ্ট্রের
পর এবার হরিয়ানা। গরুর গোশত নিষিদ্ধ করা নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের
সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যেই ভারতজুড়ে তুমুল বিতর্কে বিজেপি। যাবতীয় বিতর্ক,
সমালোচনাকে উড়িয়ে হরিয়ানা-র বিজেপি সরকারও রাজ্যে নিষিদ্ধ করতে চলেছে গরুর
গোশত। হরিয়ানার রাজ্য বাজেট অধিবেশনেই গরুর গোশত নিষিদ্ধ করার কড়া আইন
আনতে চলেছে সে রাজ্যের সরকার। সেই আইনে বলা হয়েছে, হরিয়ানায় গরু জবাই করা
হলে বা গরুর গোশত বিক্রি করলে তা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার আওতায় পড়বে।
অর্থাত্ খুনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এই পদক্ষেপকে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন আখ্যা দিয়ে হরিয়ানা সরকারের রামবিলাস
শর্মার বক্তব্য, গরুর সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা উচিত। এবং গরুর দেখভালের জন্য
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা আবশ্যিক। তাঁর কথায়, 'গরু আমাদের ধর্ম ও সমাজের একটি
পবিত্র প্রাণী। তাই গোহত্যার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী খুবই দুঃখ পান।' গত ৩
মার্চ গরুর মাংস নিষিদ্ধ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার।
গরুর গোশত নিষিদ্ধ যৌন হেনস্তার চেয়ে গুরুতর
মহারাষ্ট্রে
গোরুর মাংস নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে ভারতের তৃণমূল
কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তে রাজ্যসভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে গরুর
গোশত নিষিদ্ধকে যৌন হেনস্থার থেকেও গুরুতর অপরাধ বলে দাবি করেন তৃণমূল এমপি
ডেরেক ও'ব্রায়েন।
বুধবার রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে বক্তব্য পেশের সময় গরুর গোশত নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন, 'এই নিষেধাজ্ঞা শুধু অর্থনীতিতেই প্রভাব ফেলবে না, গরুর গোশত নিষিদ্ধ করা যৌন হেনস্থার থেকেও গুরুতর অত্যাচার।' এই ইস্যুকে শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক থেকে দেখা উচিত নয়। কারণ সংখ্যালঘু ছাড়াও বহু দলিত ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দারা গরুর গোশত খান। গরুর মাংসকে 'গরিব মানুষের প্রোটিন' বলেও মত প্রকাশ করেন তৃণমূল এমপি ডেরেক।
এদিন রাজ্যসভায় গোমাংস নিষিদ্ধ ইস্যুতে ডেরেক আরও বলেন, 'এই নিষেধাজ্ঞার জেরে মুরগি ও মাছের দাম বাড়বে। একই সঙ্গে বেশ একটা বড় অংশের ব্যবসায়ী রোজগারে প্রভাব পড়বে।'
তৃণমূল এমপি ডেরেক ও'ব্রায়েনের বক্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত যেকোনো বিষয় নিয়েই রাজ্যসভার সদস্যরা মত ব্যক্ত করতে পারেন। যদিও ডেপুটি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির বক্তব্য, এই ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা করাই উচিত নয়।
বুধবার রাজ্যসভার জিরো আওয়ারে বক্তব্য পেশের সময় গরুর গোশত নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে ডেরেক বলেন, 'এই নিষেধাজ্ঞা শুধু অর্থনীতিতেই প্রভাব ফেলবে না, গরুর গোশত নিষিদ্ধ করা যৌন হেনস্থার থেকেও গুরুতর অত্যাচার।' এই ইস্যুকে শুধুমাত্র ধর্মীয় দিক থেকে দেখা উচিত নয়। কারণ সংখ্যালঘু ছাড়াও বহু দলিত ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দারা গরুর গোশত খান। গরুর মাংসকে 'গরিব মানুষের প্রোটিন' বলেও মত প্রকাশ করেন তৃণমূল এমপি ডেরেক।
এদিন রাজ্যসভায় গোমাংস নিষিদ্ধ ইস্যুতে ডেরেক আরও বলেন, 'এই নিষেধাজ্ঞার জেরে মুরগি ও মাছের দাম বাড়বে। একই সঙ্গে বেশ একটা বড় অংশের ব্যবসায়ী রোজগারে প্রভাব পড়বে।'
তৃণমূল এমপি ডেরেক ও'ব্রায়েনের বক্তব্য প্রসঙ্গে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন জানান, সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত যেকোনো বিষয় নিয়েই রাজ্যসভার সদস্যরা মত ব্যক্ত করতে পারেন। যদিও ডেপুটি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির বক্তব্য, এই ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা করাই উচিত নয়।
No comments