ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি করেও অবৈধ বাংলাদেশী!
অবৈধ
বাংলাদেশী হিসেবে সন্দেহভাজন ভারতীয় নাগরিক সৈয়দ শরিফ উদ্দিন খান যাকে
সম্প্রতি ধর্ষণের অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার বড় ভাই গতকাল
চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। বলেছেন, আমি, আমার বাবা ও আরেক ভাই ভারতীয়
সেনাবাহিনীতে ছিলাম। আমরা বাংলাদেশী নই, ভারতীয়। উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগে
গ্রেপ্তার এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর পর সৈয়দ শরিফ উদ্দিনকে অপহরণ ও
গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। হত্যার পরে তার লাশ প্রকাশ্যে একটি ঘড়ির টাওয়ারে
ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনা ঘটেছে নাগাল্যান্ডে। এই গণপিটুনির সঙ্গে জড়িত বলে
সন্দেহভাজনরা নাগা। আর নিহতের স্ত্রীও একজন নাগা। আমার ভাইয়ের স্ত্রী হলি
খান জন্মসূত্রে একজন নাগা। আট বছর ধরে তারা সুখের সংসার গড়েছিলেন। তিনি এবং
তাদের তিন বছরের মেয়ে স্নেহা যদি আমাদের পরিবারে ফিরে আসে, তাহলে আমরা
তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবো। যদিও নাগা ছেলেরা আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
কলকতায় নিহত শরিফের বড় ভাই সৈয়দ জামাল উদ্দিন খান গতকাল সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, আমাদের অবৈধ বাংলাদেশী হিসেবে চিত্রিত করার বিষয়টি একটি মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া গতকাল তার অনলাইনে এক নিজস্ব প্রতিবেদনে বলেছে, জামাল উদ্দিনের বাড়ি দক্ষিণ আসামের করিমগঞ্জের বোসলা গ্রামে। নাগাল্যান্ডের দিমাপুরে বৃহস্পতিবার ধর্ষণ করার অভিযোগে তার জ্যেষ্ঠ ভাই শরিফকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।
জামাল বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, আমাদের অবৈধ বাংলাদেশী পরিবার হিসেবে টার্গেট করা হয়। আর সুপরিকল্পিতভাবে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। পুরোটাই সাজানো। আমার ভাইকে খুন করে অবৈধ বাংলাদেশীর লেবেল আঁটানোই হলো চক্রান্তের অংশ। তার ভাষায়, আমাদের পরিবারকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করার চেয়ে বড় মিথ্যা আর কিছুই হতে পারে না। কারণ আমাদের পিতা সৈয়দ হোসেন খান ভারতের মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্য ছিলেন। সাত ভাইয়ের মধ্যে দুজনই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলাম। আমি কাজ করেছি আসাম রেজিমেন্টে। এসব সত্ত্বেও আমাদের পরিবারকে অবৈধ বাংলাদেশী হিসেবে ঠাহর করানো হচ্ছে।
জামাল উদ্দিন বলেন, শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী হলি খানের এক দূরসম্পর্কীয় নাগা আত্মীয় অভিযোগ করেছেন, শরিফ তাকে ধর্ষণ করেছেন। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আমরা পরে জানতে পারি, ধর্ষণের অভিযোগ বানোয়াট। কারণ ওই নারী ধর্ষণের শিকার হননি। কিন্তু তদুপরি আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হলো এবং তাকে উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা ব্যূহ দিয়ে ঘেরা একটি কারাগারে পাঠানো হলো। আর সেখান থেকে রজহস্যজনকভাবে আমার ভাইকে অপহরণ করা হলো এবং তিনি কথিত মতে জনরোষের শিকার হলেন। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হলো।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি প্রশ্ন রাখেন, একজন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যের ভাইয়ের প্রতি আপনারা কেমন করে এ আচরণ করতে পারলেন? তিনি তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যাথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন এবং বলেছেন, যারা তার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের বিচারের জন্য অবিলম্বে আদালতে সোপার্দ করা হোক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নাগাল্যান্ডে এ পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জামাল উদ্দিন বলেন, তারা দরিদ্র আর তাই বেশি শঙ্কিত। আমাদের পুরো পরিবারের মধ্যে বর্তমানে মাত্র কয়েকজনই আয় করেন। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্য এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তিনি ‘বিচার ও ত্রাণ’ প্রার্থনা করেছেন।
কলকতায় নিহত শরিফের বড় ভাই সৈয়দ জামাল উদ্দিন খান গতকাল সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, আমাদের অবৈধ বাংলাদেশী হিসেবে চিত্রিত করার বিষয়টি একটি মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া গতকাল তার অনলাইনে এক নিজস্ব প্রতিবেদনে বলেছে, জামাল উদ্দিনের বাড়ি দক্ষিণ আসামের করিমগঞ্জের বোসলা গ্রামে। নাগাল্যান্ডের দিমাপুরে বৃহস্পতিবার ধর্ষণ করার অভিযোগে তার জ্যেষ্ঠ ভাই শরিফকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।
জামাল বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, আমাদের অবৈধ বাংলাদেশী পরিবার হিসেবে টার্গেট করা হয়। আর সুপরিকল্পিতভাবে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। পুরোটাই সাজানো। আমার ভাইকে খুন করে অবৈধ বাংলাদেশীর লেবেল আঁটানোই হলো চক্রান্তের অংশ। তার ভাষায়, আমাদের পরিবারকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করার চেয়ে বড় মিথ্যা আর কিছুই হতে পারে না। কারণ আমাদের পিতা সৈয়দ হোসেন খান ভারতের মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্য ছিলেন। সাত ভাইয়ের মধ্যে দুজনই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলাম। আমি কাজ করেছি আসাম রেজিমেন্টে। এসব সত্ত্বেও আমাদের পরিবারকে অবৈধ বাংলাদেশী হিসেবে ঠাহর করানো হচ্ছে।
জামাল উদ্দিন বলেন, শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী হলি খানের এক দূরসম্পর্কীয় নাগা আত্মীয় অভিযোগ করেছেন, শরিফ তাকে ধর্ষণ করেছেন। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আমরা পরে জানতে পারি, ধর্ষণের অভিযোগ বানোয়াট। কারণ ওই নারী ধর্ষণের শিকার হননি। কিন্তু তদুপরি আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হলো এবং তাকে উচ্চমাত্রার নিরাপত্তা ব্যূহ দিয়ে ঘেরা একটি কারাগারে পাঠানো হলো। আর সেখান থেকে রজহস্যজনকভাবে আমার ভাইকে অপহরণ করা হলো এবং তিনি কথিত মতে জনরোষের শিকার হলেন। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হলো।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি প্রশ্ন রাখেন, একজন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যের ভাইয়ের প্রতি আপনারা কেমন করে এ আচরণ করতে পারলেন? তিনি তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যাথাযথ তদন্ত দাবি করেছেন এবং বলেছেন, যারা তার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের বিচারের জন্য অবিলম্বে আদালতে সোপার্দ করা হোক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নাগাল্যান্ডে এ পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জামাল উদ্দিন বলেন, তারা দরিদ্র আর তাই বেশি শঙ্কিত। আমাদের পুরো পরিবারের মধ্যে বর্তমানে মাত্র কয়েকজনই আয় করেন। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্য এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তিনি ‘বিচার ও ত্রাণ’ প্রার্থনা করেছেন।
No comments